ইকো-সোশ্যাল ডেভলপমেন্ট অর্গানাইজেশন (ইএসডিও) এর প্রকল্প সমূহ
Nutrition in City Ecosystems (NICE)
সহযোগি সংস্থাঃ সাসটেইনেবল এগ্রিকালচার ফাউন্ডেশন (সাফ) বাংলাদেশ
প্রকল্পের লক্ষ্য:
নগরের জনসংখ্যার বিশেষ করে নারী, যুবক এবং পিছিয়ে পরা জনগোষ্ঠীর স্বাস্থ্য, উন্নত পুষ্টি নিশ্চিত এবং দারিদ্রতা হ্রাস ।
প্রকল্পের উদ্দেশ্য :
-
নগরাঞ্চলে পুষ্টিকর, নিরাপদ খাদ্য যা স্থানীয়ভাবে টেকসই কৃষি অনুশীলন পদ্ধতিতে উৎপাদিত হয় এবং যা সাশ্রয়ী মূল্যে স্বাস্থ্যকর খাদ্যের চাহিদা বৃদ্ধি ও পর্যাপ্ততা নিশ্চিত করা
-
নারী ও যুবউদ্যোক্তার মাধ্যমে নগরের বাজারে স্থানীয়, নিরাপদ, পুষ্টিকর এবং সাশ্রয়ী মূল্যের খাবারের সরবরাহ বৃদ্ধি করা।
-
স্থানীয় সরকার, বেসরকারী খাত এবং নাগরিক সমাজের খাদ্য ব্যবস্থার উন্নয়ন এবং পুষ্টির জন্য কর্মরত সংস্থাগুলিকে একত্রিত করে, পুষ্টি সম্পর্কিত শিক্ষা এবং সর্বোত্তম অনুশীলনগুলো ছড়িয়ে দেওয়া এবং একটি সক্রিয় স্কেল আপ কৌশল অনুসরণ করা।
মাইক্রোফিন্যান্স কর্মসূচি
ভিশনঃ
পারস্পারিক ভেদাভেদ মুক্ত একটি সমতা ভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠা করা।
মিশনঃ
ব্যাপক আয় বৃদ্ধিমূলক কার্যক্রম, খাদ্য নিরাপত্তা, প্রাথমিক শিক্ষা ও সাক্ষরতা, স্বাস্থ্য ও পুষ্টি, মানবাধিকার ও সুশাসন, পরিবেশ উন্নয়ন ইত্যাদি কর্মসূচির মাধ্যমে দরিদ্র্য জনগণের আয় বৃদ্ধি করে অর্থনৈতিক দারিদ্র হ্রাস এবং মানবীয় সুকুমার বৃত্তিসমূহের চর্চা ও উৎকর্ষ সাধন। সংস্থা তার এই লক্ষ্যে দৃঢ় এবং সেজন্য কার্যকরভাবে মানবাধিকার পরিস্থিতি উত্তরণ, মানবীয় মর্যাদা ও নারী-পুরুষের সমতা নিশ্চিতকরণে লক্ষিত জনগোষ্ঠীর সামাজিক, অর্থনৈতিক ও মানবীয় গুণাবলীর ক্ষমতায়ণে কাজ করছে। সার্বিকভাবে নারী এবং বিশেষভাবে শিশুরা ইএসডিও-এর কার্যক্রমের মূল কেন্দ্র বিন্দু। সকল ধরণের সেবায় অতিদরিদ্র মানুষের সুযোগ ও অভিগম্যতা নিশ্চিত করা।
বাংলাদেশে গ্রাম আদালত সক্রিয়করণ (৩য় পর্যায়) প্রকল্প
দাতা সংস্থাঃ ইউএনডিপি ও ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন
প্রকল্পের লক্ষ্য:
বংলাদেশের গ্রামীণ এলাকার জনগণ বিশেষত নারী, জাতিগত সংখ্যালঘু এবং সুবিধাবঞ্চিত গোষ্ঠীর মানুষের ন্যায়বিচারের সুযোগ বৃদ্ধি করা।
প্রকল্পের উদ্দেশ্য:
১. স্থানীয় কর্তৃপক্ষের সক্ষমতা উন্নয়ন পূর্বক জনগণের ন্যায় বিচারের চাহিদা পূরণের লক্ষ্যে গ্রাম আদালতের মাধ্যমে আইনি সেবা প্রদানের জন্য স্থানীয় বিচার ব্যবস্থার উন্নয়ন।
২. গ্রামীণ এলাকায় বসবাসকারী জনগণ, বিশেষ করে নারী, দরিদ্র এবং অন্যান্য সুবিধাবঞ্চিত গোষ্ঠীকে ছোটখাটো বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য গ্রাম আদালতে প্রবেশাধিকার বৃদ্ধি নিশ্চিত করা।
থ্রাইভিং থ্রো ইকুইটি, ইকোনোমিক এম্পাওয়ারমেন্ট এ্যান্ড ক্লাইমেট রেজিলিয়েন্স- থ্রাইভ প্রকল্প
সহযোগি সংস্থাঃ হেকস ইপার, সুইজারল্যান্ড প্রকল্পের লক্ষ্য: কমিউনিটি এবং সিস্টেম এ্যাকটরদের নেতৃত্বে পরিচালিত স্থানীয় জলবায়ু কার্যক্রমের মাধ্যমে জলবায়ু স্মার্ট এবং দুর্যোগ-সহনশীল বাংলাদেশ গড়ে তোলা প্রকল্পের উদ্দেশ্য: উদ্দিষ্ট জনগোষ্ঠীর মানুষ জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ঝুঁকি মোকাবেলা করতে সক্ষম, তাদের অভিযোজন ক্ষমতা শক্তিশালী হয়েছে এবং এই সক্ষমতা তারা রুপান্তরিত/স্থানান্তরিত (সকলের মাঝে) করতে পারবে। স্থানীয় পর্যায়ের দায়িত্বশীল (সরকারি-বেসরকারি) কর্তৃপক্ষ তাদের কার্যক্রম এবং নীতি সমূহে পরিবর্তনের মাধ্যমে একটি জলবায়ু স্মার্ট ও দূর্যোগ প্রতিরোধী বাংলাদেশ এর দিকে অগ্রসর হবে
Sustainable Microenterprise and Resilient Transformation (SMART) project
সহযোগি সংস্থাঃ পল্লী-কর্ম সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ) অর্থায়নেঃ বিশ্ব ব্যাংক প্রকল্পের উদ্দেশ্য: ক্ষুদ্র-উদ্যোগে সম্পদ-সাশ্রয়ী ও ঘাত-সহিষ্ণু সবুজ প্রবৃদ্ধি ত্বরান্বিত করা। ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের প্রযুক্তি নির্ভর ও পরিবেশসম্মত এবং ‘সম্পদের কার্যকরী ব্যবহারের মাধ্যমে পরিচ্ছন্ন উৎপাদন’ (Resource Efficient and Cleaner Production- RECP) করার পাশাপাশি ক্ষুদ্র উদ্যোগসমূহে সবুজ প্রবৃদ্ধি সঞ্চার করার লক্ষ্যে Sustainable Microenterprise and Resilient Transformation(SMART) প্রকল্পটি গৃহীত হয়েছে। পাঁচ বছর মেয়াদি (২০২৩-২০২৮) এই প্রকল্প দেশব্যাপী প্রক্রিয়াজাত, কৃষিএবংসেবাখাতের অন্তর্ভুক্ত ৮০,০০০ ক্ষুদ্র উদ্যোগে RECP প্রযুক্তির ব্যবহারের মাধ্যমে পরিবেশগত টেকসহিতা অক্ষুণ্ন রেখে ক্ষুদ্র উদ্যোগগুলোর সম্পদ সাশ্রয় ও উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি করার লক্ষ্য মাত্রা নিশ্চিতে অঙ্গীকারবদ্ধ।গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সহায়তায় পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ) কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন এ প্রকল্পটি বিশ্ব ব্যাংক ও পিকেএসএফ-এর যৌথ অর্থায়নে পরিচালিত। প্রকল্পের মোট বাজেট ৩০ কোটি মার্কিন ডলার, যার মধ্যে বিশ্বব্যাংক এবং পিকেএসএফ যথাক্রমে ২৫ কোটি ও ৫ কোটি মার্কিন ডলার অর্থায়ন করবে।