লগ ইন
 

Logo

সি ডি এ এর প্রকল্প সমূহ

Sustainable Organization for Land Rights And Agrarian Reform (SOLAR)

এনজিও’র নাম: কমিউনিটি ডেভেলপমেন্ট এসোসিয়েশন (সিডিএ)

ঠিকানা: উপশহর, ব্লক#১, বাড়ী#৫১, দিনাজপুর-৫২০০।

প্রকল্পের নামঃ সাসটেইনএ্যাবল অর্গানাইজেশন ফর ল্যান্ড রাইটস এন্ড এ্যাগরেরিয়ান রিফর্ম (সোলার)

প্রকল্পের মেয়াদঃ

ক. শুরুর তারিখঃ ১ জুলাই ২০২২। 

খ. সমাপ্তির তারিখঃ ৩০ জুন ২০২৫।

প্রকল্প এলাকাঃ

ক্রমিক               

জেলা/সিটি কর্পোরেশন 

উপজেলা/থানা 

দিনাজপুর

দিনাজপুর সদর, চিরিরবন্দর, খানসামা, বোচাগঞ্জ, বিরল, কাহারোল, বীরগঞ্জ,  পার্বতীপুর, ফুলবাড়ি।

ঠাকুরগাঁও

            পীরগঞ্জ, রাণীশংকৈল, হরিপুর, বালিয়াডাংগি, ঠাকুরগাঁও সদর।

 

দাতা সংস্থার নামঃ ব্রেড ফর দ্যা ওয়ার্ল্ড।

 

বাংলাদেশের উত্তর পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলি খরা কবলিত, এই অঞ্চলের বেশীর ভাগ মানুষজন দারিদ্র সীমার নীচে বাস করে এ কারনে তারা খাদ্য স্বল্পতা এবং অসুস্থতায় ভোগে। সাধারনভাবে দেখা যায় যে সেপ্টেম্বর অক্টোবর মাসে গ্রামীন দরিদ্র মানুষগুলো বেশী অসুস্থতায় ভোগে সেইসময় তাদের বাড়ীতে খাবার থাকে না পাশাপাশি এই সময়ে অসুস্থতা জনিত খরচ বেড়ে যায়। শতকার ৫০ ভাগ এর বেশী পরিবার তাদের দৈনিক খাবার ২ থেকে ১ বেলা কমিয়ে দেয় আবার কখনো কখনো না খেয়ে থাকে। এ অবস্থা চলতে থাকলে বাংলাদেশে দারিদ্র নির্মূল করা যাবেনা এবং এসডিজির লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হবে না।    

বাংলাদেশের উত্তর পশ্চিমাঞ্চলের মানুষজনের জীবনযাত্রা কৃষি নির্ভর এবং তাদের প্রাথমিক আয়ের উৎস্য কৃষিভিত্তিক। বেশীরভাগ কৃষিজমি অল্প কিছু লোকের মালিকানায় রয়েছে। অল্পকিছূ চিনির মিল ছাড়া এই এলাকায় কোন বড় শিল্পকারখানা নেই যেখানে এই এলাকার লোকজনদের কর্মসংস্থান হতে পারে ফলে বেশীরভাগ মানুষ কৃষিশ্িরমক এবং কৃষি মৌসুমে যখন কাজ থাকে তখন তারা আয় করতে পারে কিন্তু মজুরী কম হওয়ার দরুন তারা যা আয় করে তা দিয়ে সারা বছর সংসার চলে না। কিছূ কিছু পরিবার কাজের সন্ধানে বাংলাদেশের অন্যান্য জেলাগুলিতে গিয়ে থাকে। এ অঞ্চলের অনেক পরিবার এখন এনজিও ঋণের কারনে বসতবাড়ী এবং গবাদিপশু পালন করে কিছু সম্পদে অভিগম্যতা লাভ করেছে কিন্তু চরম দরিদ্র সীমার নীচে বসবাসকারী লোকগুলোর অবস্থার পরিবর্তন তথা কাংখিত উন্নয়ন সম্ভব হয়ে উঠেনি, ফলশ্রুতিতে শিশু শ্রমসহ অন্যান্য সামাজিক অবস্থার পরিবর্তন সম্ভব হয়নি।        

 গত ডিসেম্বর ডিসেম্বর/২০১৮ মাসে কর্মশালার মাধ্যমে প্রয়োজনীয়তা যাচাই জরিপ করা হয় যেখানে জনসংগঠনের বিভিন্ন স্তরের নেতৃবৃন্দ, সিডিএ’র বিভিন্ন স্তরের কর্মী সহ স্থানীয় গন্য মান্য ব্যক্তি বর্গ উপস্থিত ছিলেন এবং তাদের মতামত প্রদান করেন।

 

খ. প্রকল্পটির যৌক্তিকতা এবং জাতীয় পরিকল্পনার সাথে (যথা: সাসটেইনএ্যাবল ডেভেলপমেন্ট গোল (এসডিজি), রূপকল্প ২০৪১ ও সরকারের

 

খাতভিত্তিক উদ্দেশ্যাবলী) প্রাসঙ্গিকতা

প্রায় ১৪৪,০০০ বর্গ কিলোমিটার জুড়ে বাংলাদেশের ভূখন্ড, এর মধ্যে শতকরা ৬৩ ভাগ জমি কৃষি জমি। দেশের লোকসংখ্যা ১৬ কোটি (প্রায়) যার মধ্যে শতকরা ৮৫ জন লোক গ্রামে বাস করে। শতকরা ৪০ ভাগ জিডিপি আসে কৃষি থেকে। ভুমি মালিকানা ক্রমশ মুষ্টিমেয় কিছু লোকের হাতে চলে আসছ্ ে৭০ ভাগ আবাদি জমির মালিকানা মাত্র ২০ ভাগ মানুষের যারা ধনী এবং কৃষিজীবী নয় অপরপক্ষ্যে শতকার ৫ ভাগ আবাদি জমি শতকরা ৪৫ ভাগ ক্ষুদ্র ও মাঝারী কৃষকের মাঝে আছে যারা মূলত কৃষিজীবী। 

বাংলাদেশের রূপকল্প-২০৪১ অনুযায়ী কৃষিসংস্কার খুব জরুরী এবং দারিদ্র দূরিকরনের, সহস্রাব্দের লক্ষ্য অর্জন এবং জলবায়ৃ পরিবর্তন নিয়ন্ত্রনের জন্য ভূমি-কৃষিসংস্কার যথেষ্ট সম্ভাবনাময় সেক্টর। ভূমি-কৃষিসংস্কার পরিবেশ বান্ধব কৃষি উৎপাদনে বিশেষ ভুমিকা রাখে এবং কৃষিতে কাঠামোগত পরিবর্তন এবং জমির মালিকানা ব্যবস্থায় পরিবর্তন আনতে পারে। এখানে উল্লেখ করা প্রয়োজন যে বাংলাদেশ তথা বাংলাদেশের উত্তর পশ্চিমাঞ্চলের জন্য সরকারী খাস জমি বাংলাদেশের কৃষি-ভূমি সংস্কারে বিশেষ ভূমিকা রাখে কারন সকল প্রকার খাস জমি মোট কৃষি জমির শতকরা ৩৭ ভাগ।   

বাংলাদেশের নারীরা ঐতিহাসিক ভাবে জমির মালিকানা থেকে বঞ্চিত এবং ভুমি মালিকানায় তারা আইনগত, প্রশাসনিকভাবে, সামাজিক এবং আদর্শিকভাবে বঞ্চনার শিকার। বাংলাদেশে নারীর জন্য ভূমির মালিকানা সমস্যার কারন, একারনেই ভূমিতে নারীর সমঅধিকারের বিষয়টিও প্রকল্পের বিবেচ্য বিষয়।

 

বাংলাদেশের ভূমি মন্ত্রণালয় এর জারিকৃত ভূমি সংস্কার উন্নয়ন কর্মসূচী ১৯৮৭ সার্কূলার অনুযায়ী, অধ্যাদেশ ১১৭ থেকে ১৩২ পর্যন্ত বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থাদের অনুঘটক হিসেবে বা সহায়তাকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে গ্ররুত্বের কথা বলা হয়েছে। প্রচারিত সার্কূলার অনুযায়ী সিডিএ স্থানীয় বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থা হিসেবে, স্থানীয় পর্যায়ে সরকারী খাস জমি বন্দোবস্ত কমিটির সদস্যপদ লাভ করেছে।   

গ. উদেশ্যসমূহঃ

১.প্রকল্প সময়ের মধ্যে দিনাজপুর এবং ঠাকুরগাঁও জেলার গ্রামীণ দরিদ্র জনগোষ্ঠি, প্রকল্পের অধীনে প্রশিক্ষন, তথ্য অধিকার প্রয়োগ বিষয়ক  আলোচনা সভার মাধ্যমে স্থানীয় সরকার এবং সুশিল সমাজের প্রতিনিধীদের সমন্বয়ে স্থানীয় পরিসেবা সমূহে অভিগম্যতা বৃদ্ধির সক্ষমতা লাভ করবেন যা তাদের খাদ্যাধিকার, ভূমি অধিকার এবং কর্মসংস্থানের অধিকার লাভে সহায়ক হবে।

২.প্রকল্প সময়ের মধ্যে দিনাজপুর এবং ঠাকুরগাঁও জেলার প্রকল্পের লক্ষিত ভূমিহীন পরিবার সমূহ সরকারী খাস জমিতে আবেদন, সরকারী জলাভূমি সমুহ লিজ গ্রহন বিষয়ে সহায়তা লাভ করবেন যা থেকে ভূমিহীন পরিবার সমূহ সরকারী খাস জমি, খাস জলাশয় তে অভিগম্যতা লাভ করবেন যা তাদের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে এবং খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতের ক্ষেত্রে সহায়ক হবে।

৩.প্রকল্প সময়ের মধ্যে দিনাজপুর এবং ঠাকুরগাঁও জেলার গ্রামীণ দরিদ্র জনগোষ্ঠি প্রশিক্ষন, আলোচনা সভা, সেমিনার, র‌্যালি আয়োজন এবং তথ্য সরবরাহের মাধ্যমে ভুমির উর্বরতা, আধুনিক কৃষি সরঞ্জামাদির ব্যবহার, সমবায় আন্দোলন ত্বরান্বিত করণ, পরিবেশ এবং জীব বৈচিত্র সংরক্ষন, কৃষি শ্রমজীবীদের কর্মসংস্থান এবং বাজার ব্যবস্থার অধিকার বিষয়ে সক্ষমতা অর্জন করবেন এবং স্থানীয় সমস্যার আলোকে দাবী সম্বলিত স্মারকলিপি নীতি নির্ধারক মহলে প্রেরন করবেন।