লগ ইন
 

Logo

গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র এর প্রকল্প সমূহ

গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র: যাত্রা শুরম্ন ‘গ্রামে চল গ্রাম গড়’ মূলমন্ত্র দিয়ে

গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র: যাত্রা শুরম্ন ‘গ্রামে চল গ্রাম গড়’ মূলমন্ত্র দিয়ে

১৯৭২ সালের এপ্রিল মাসের শেষ রবিবার “বাংলাদেশ ফিল্ড হাসপাতাল” গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রে রূপান্তর হয়। গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র অনেকের কাছে ‘জিকে’ (GK) নামে পরিচিতি লাভ করে। যাত্রা শুরম্ন হয় “গ্রামে চল গ্রাম গড়” মূলমন্ত্র নিয়ে। লক্ষণীয়, হুকুম দিয়ে ‘গ্রামে যাও’ নির্দেশ দিয়ে গ্রাম গড়া নয়। শিক্ষিত কর্মীদের উদ্যোগী হয়ে নিজেরা গ্রামে গিয়ে, গ্রামে বসবাস করে, গ্রামবাসীকে সাথে নিয়ে তাদের সাথে আলাপ-আলোচনা করে কর্মপদ্ধতি ও কর্মসূচি নির্বাচনই ছিল মূল লক্ষ্য। তাই উদ্যোক্তাদের সকলেই শুরম্ন থেকেই সাভারের গ্রামে অবস্থান করেছেন। অনেকে তাঁবুতে থেকেছেন, রাত্রিযাপন করেছেন।

 

মূল উদ্দেশ্য 

১.    সুলভে সার্বিক ও সমন্বিত স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করার পদ্ধতি খুঁজে বের করা।

২.   সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডের মাধ্যমে দরিদ্র জনগোষ্ঠী বিশেষ করে নারীদের ক্ষমতায়ন করা এবং বৃহত্তর জনগোষ্ঠীর অধিকার সংরক্ষণের দৃঢ় প্রচেষ্টা চালানো।

৩.   দেশের সাধারণ মানুষের ভাগ্যের উন্নতির জন্য কিছু দৃষ্টানত্মমূলক কার্যক্রম গ্রহণ করা, যার সফলতা ভবিষ্যতে সরকারী বা বেসরকারী কর্মকান্ড ও পরিকল্পনাকে প্রভাবিত করতে পারে।

৪.    প্রতিটি কর্মক্ষেত্রে পরনির্ভরশীলতা কমিয়ে আনা এবং স্বনির্ভরতা অর্জন।

স্বাস্থ্য কার্যক্রম:

১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় প্রতিষ্ঠিত ”বাংলাদেশ ফিল্ড হাসপাতাল” থেকে আহত মুক্তিযোদ্ধাদের সেবা প্রদানের পাশাপাশি বাংলাদেশী শরণার্থীদের মাঝে স্বাস্থ্য সেবা প্রদান করাই ছিল স্বাস্থ্য বিভাগের প্রধান কাজ।

উদ্দেশ্য:

  1. সার্বিক ও সমন্বিত স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করার পদ্ধতি খুঁজে বের করা।
  2. তৃণমূল পর্যায়ে বিশেষ করে মানুষের ঘরের দোরগোড়ায় প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা পৌছে দেওয়া।

        3. সুলভে উন্নত মানের স্বাস্থ্য সেবা প্রদান করা।

স্বাস্থ্য বিভাগের কার্যাবলী নিন্মরূপ

স্বাস্থ্য বিভাগের কার্যাবলী নিন্মরূপ:

 

  1. প্রাথমিক স্বাস্থ্য পরিচর্যা
  2. উচ্চতর স্বাস্থ্য পরিচর্যা
  3. বিশেষজ্ঞ স্বাস্থ্য পরিচর্যা
  4. পুষ্টি উন্নয়ন ও সুলভে উন্নত মানের প্রয়োজনীয় ওষুধের নিশ্চিতকরণ
  5. চর অঞ্চলের জন্য বিশেষ স্বাস্থ্যসেবা প্রকল্প

 

প্রাথমিক স্বাস্থ্য পরিচর্যাগুলি নিম্নরূপ:

 

            ক) এন্টিনেটাল কেয়ার

            খ) পোষ্টনেটাল কেয়ার

            গ) বাড়িতে প্রসব

            ঘ) নবজাতক ও শিশু পরিচর্যা

            ঙ) পরিবার পরিকল্পনা

            চ) টিকাদান কর্মসূচি

            ছ) সাধারন রোগের চিকিৎসা

            জ) অত্যবশ্যকীয় ওষুধ সরবরাহ

            ঝ) হত দরিদ্র ও অতি দরিদ্রদের সাহায্য করা

            ঞ) বয়ষ্ক সেবা

            ট) প্রতিবন্ধি সেবা

            ঠ) কমিউনিটি ফিজিওথেরাপী

 

উচ্চতর স্বাস্থ্য পরিচর্যাগুলি নিন্মরূপ:

 

            ক) বহি:বিভাগ

            খ) প্যাথলজি

            গ) দনত্ম

            ঘ) জরম্নরী বিভাগ

            ঙ) ফিজিওথেরাপী

            চ) আয়ুর্বেদ

            ছ) বার্ন ও পস্নাস্টিক সার্জারী

            জ) কনসালটেন্ট

            ঝ) বস্নাডট্রান্সফিউশন

            ঞ) প্রসূতি বিভাগ

            ট) অপারেশন

            ঠ) রেফারেল

সামাজিকবনায়নওপরিবেশউন্নয়ন

সামাজিকবনায়নওপরিবেশউন্নয়ন:                                                                               

প্রাকৃতিক পরিবেশেেও ভারসাম্য রড়্গা ও পরিবেশ উণ্নয়নের লড়্গ্যে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র তার প্রকল্প এলাকায় সামাজিক বরনায়নের অধিনে বসতভীটায় ফলজ ও বনজ গাছ, সড়ক বনায়ন, শিড়্গা প্রতিষ্ঠান, কেলস্না , সাইক্লোন শেল্টার, পাহাড় ও সমতল এলাকা বনায়ন করছে। সামাজিক বনায়নের পাশাপাশি পরিবেশ উন্নয়নের বিভিন্ন মাধ্যম যেমন পরিবেশ বান্ধব চুলা ,সৌরবাতী, আর্সিনিক মুক্ত বিশুদ্ধ পানি, বসতভীটায় নার্সারী স্থাপন ও ফলজ ও বনজ বাগান সৃজন ইত্যাদী বাসত্মবায়ন করছে।

দুর্যোগ মোকাবেলায় গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের মৌলিক অবদানসমূহ হচ্ছে

দুর্যোগ মোকাবেলায় গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের মৌলিক অবদানসমূহ হচ্ছে :

  1. দুর্গত এলাকার জনগণকে দুর্যোগকালে ত্রাণকর্মে দ্রুত সম্পৃক্ত করা, জলাশয় পরিষ্কার ও পরিবেশ উন্নয়ন।
  2. স্বাস্থ্যকর্মী ও স্বেচ্ছাসেবকদের সহায়তায় ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাসে মৃত ব্যক্তিদের দু্রত কবর দেয়া এবং মৃত হাঁস-   

           মুরগী ও পশুপাখি মাটির নীচে চাপা দেবার ব্যবস্থা করা।

  1. স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবকদের সহায়তায় স্থানীয় পর্যায়ে প্রতিদিন হাতে বেলা হাজার হাজার রম্নটি তৈরি করে স্থানীয়ভাবে

           ও দূরদূরানেত্ম বিতরণ।

  1. অপুষ্টি রোধে দুর্গতদের মধ্যে উচ্চ ক্যালোরির বিস্কুট ও দুর্যোগ উত্তরকালে ফুডমি বিতরণের প্রবর্তন।
  2. স্থানীয় ছাত্রদের সঙ্গে নিয়ে গণস্বাস্থ্য মেডিকেল টিমসমূহের মাধ্যমে দুর্গত মানুষকে চিকিৎসা পরিষেবা প্রদান।
  3. বিধ্বসত্মস্কুলকে উচ্চভূমিতে পুনঃ নির্মাণ করে ভবিষ্যতে প্রয়োজনে দুর্যোগকালে আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার  

           করা।

চর অঞ্চলের জন্য বিশেষ স্বাস্থ্যসেবা প্রকল্প নিম্নরূপ

চর অঞ্চলের জন্য বিশেষ স্বাস্থ্যসেবা প্রকল্প নিম্নরূপ:

 

নয়টি প্রাথমিক স্বাস্থ্য সেবা প্রদান সেন্টার ও একটি রেফারেল হাসপাতাল নিয়ে চরস্বাস্থ্যসেবা প্রকল্প গঠিত। প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রগুলিতে দুটি শয্যা সহ সাধারন ছোট অপারেশনের সুবিধা রয়েছে। ভ্রাম্যমান মেডিকেল টিমের মাধ্যমে ক্যাম্প করে বিভিন্ন রোগ যেমন: প্রসূতি সেবা, কার্ডিওলজি চিকিৎসা, দন্ত সেবা, চোখের চিকিৎসা অপারেশন সহ, ছোট ছোট অপারেশন, ফিজিওথেরাপী ও অন্যান্য রোগের চিকিৎসা করা হয়। এই মেডিকেল টিমের সঙ্গে দন্ত পরীক্ষা আধুনিক যন্ত্রপাতি, চোখ চিকিৎসার আধুনিক যন্ত্রপাতি, আল্ট্রাসনো মেসিন, কার্ডিওগ্রাফী মেসিন, প্যাথলজি সামগ্রী সহ একাধিক বিশেষজ্ঞ ডাক্তার ও অন্যা ডাক্তার থাকে। নিয়মিতভাবে চক্ষুক্যাম্প করে চোখের আপারেশন করা হয়।

বিশেষায়িত ভ্রাম্যামান মেডিকেল ক্যাম্পের লক্ষ্য

গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র বিশেষায়িত ভ্রাম্যামান মেডিকেল ক্যাম্প:

গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র শুরম্ন থেকেই সাধারন, সুবিধাবঞ্চিত মানুষের চিকিৎসা সেবার জন্য স্থায়ী চিকিৎসা সেবার পাশাপাশি ভ্রাম্যমান টিমের মাধ্যমে গণমানুষের চিকিৎসা সেবা দিয়ে আসছে। বিভিন্ন সময় সময় বন্যা, সিডর, আইলা, খরা সহ নানা দূর্যোগকালীন সময়ে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র মানুষের পাশে দাড়িয়ে অন্যান্য সেবার পাশাপাশি চিকিৎসা সেবা দিয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র্র ১২ সেপ্টেম্বর ২০১১ তারিখ থেকে বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলে উপকূলীয় জেলা পটুয়াখালী জেলার গলাচিপা উপজেলার বিভিন্ন দূর্গম চরাঞ্চলে ভ্রাম্যমান চিকিৎসার এক নব দিগন্ত সূচনা করে। প্রচলিত অর্থে ভ্রাম্যমান চিকিৎসা সেবা বলতে বহিঃবিভাগে রোগী দেখা বুঝালেও এদিন থেকে শুরম্ন হয় বিশেষায়িত ভ্রাম্যমান মোবাইল ক্যাম্প। এই ক্যাম্পগুলিতে বিশেষজ্ঞ ডাক্তার, মাইক্রোবায়োলজিস্ট, ফিজিওথেরাপিস্ট, ফার্মাসিস্ট, নবীন চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মী, সকল  আধুনিক সুযোগ সুবিধার সমন্বয়ে পূর্ণাঙ্গ চিকিৎআ সেবা প্রদান করা হয়। যদিও গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র এর আগেও দেশের বিভিন্ন স্থানে ভ্রাম্রমান চিকিৎসা সেবা দিয়েছে কিন্তু বৃহৎ পরিসরে সমস্ত সুবিধার সমন্বয় ঘটিয়ে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসা সেবা গলাচিপা থেকেই শুরম্ন হয়। গলাচিপা ক্যাম্পের সফলতার ধারাবিহকতায় পরবর্তীতে চুনারম্ন ঘাটের আশা কমপেস্নক্স, সিলেটের বিশ্বনাথ, ফেনীর সোনাগাজী ভোলা জেলার চরফ্যাশন এবং নরসিংদীতে ক্যাম্প করাহয়। 

 

বিশেষায়িত ভ্রাম্যামান মেডিকেল ক্যাম্পের লক্ষ্য:

  • সুবিধা বঞ্চিত মানুষের চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করা।
  • দূর্গম অঞ্চলে মানুষের কাছে আধুনিক চিকিৎসা সেবা পৌছে দেয়া।
  • মহিলা রোগী যারা বিভিন্ন কারনে দূরে যেতে পারে না তাদের চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করা।
  • আধুনিক যন্ত্রপাািতর মাধ্যমে দ্রূত রোগ নির্ণয় করে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া।

ভ্রাম্যমান চিকিৎসা সেবার জাতীয় ও অন্তর্জাতিক ভাবে দৃষ্টান্ত স্থাপন করা।

গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র ভ্রাম্যমান ক্লিনিক

গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র ভ্রাম্যমান ক্লিনিক:

 

বিশেষায়িত ভ্রাম্যামান মেডিকেল ক্যাম্পের মাধ্যমে যেমন প্রত্যন্ত এলাকার দরিদ্র মানুষদেরকে স্বাস্থ্য সেবা দেওয়া হয় তেমনি গণস্বাস্থ্য ভ্রাম্যমান ক্লিনিকের মাধ্যমে শহরের দরদ্রি মানুষদেরকে স্বাস্থ্য সেবা দেওয়া হয়। শহরের বেশীরভাগ দুরিদ্র মানুষ বস্তিতে অসাস্থ্যকর পরিবেশে বসবাস করে। শহরের অতি উচ্চ মূলের স্বাস্থ্য সেবা পাওয়া তাদের জন্য একেবারেই অসম্ভব। এই সমস্ত দরিদ্র মানুষের কথা বিবেচনা করে গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালকে কেন্দ্র করে একটি এবং গণস্বাস্থ্য টঙ্গী হাসপাতালকে কেন্দ্র করে একটি মোবাইল ক্লিনিক পরিচালনা করা হয়। প্রতিটি মোবাইল ভ্যান ১৫/২০ টি স্পটকে টার্গেট করে ক্লিনিক পরিচালনা করে।

 

ভ্রাম্যামান ক্লিনিকের লক্ষ্য: 

  • শহরের দরিদ্র সুবিধা বঞ্চিত মানুষের চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করা।
  • আধুনিক চিকিৎসা সেবার কাছাকাছি থাকে কিন্তু অর্থের অভাবে এই চিকিৎসা গ্রহন করা তাদের পক্ষে সম্ভব নয় সেইসকল মানুষের কাছে এই সেবা পৌছে দেয়া।
  • স্বল্প আয়ের নারী কারখানা শ্রমিকদের আধুনিক চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করা।

যাদের নিয়ে ভ্রাম্যামান ক্লিনিক গঠিত করা হয়ঃ

যাদের নিয়ে ভ্রাম্যামান ক্লিনি গঠিত করা হয়ঃ

 

ক্রমিক নং

পদবী

০১

বিশেষজ্ঞ ডাক্তার

০২

ইন্টার্ন ডাক্তার

০৩

মহিলা স্বাস্থ্য কর্মী

০৪

মহিলা কমিউনিটি স্বাস্থ্য কর্মী

০৫

মহিলা ইন্টার্ন ফিজিওথেরাপীষ্ট

০৬

ফার্মাসিস্ট

০৭

ফিজিওথেরাপীষ্ট

০৮

মহিলা ড্রাইভার

০৯

স্বাস্থ্য কর্মী

 

 

এই মোবাইল ক্লিনিকের মাধ্যমে যে সস্ত রোগের চিকিৎসা করা সম্ভব হয়না তাদের গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতাল অথবা গণস্বাস্থ্য টঙ্গী হাসপাতালে রেফার করা হয়।