আরডিআরএস বাংলাদেশ সম্পর্কে
আরডিআরএস বাংলাদেশ এর ইতিহাস:
ভারতের কুচবিহারের শরনার্থী শিবিরে লুথেরান ওয়ার্ল্ড ফেডারেশন বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে শরনার্থীদের মানবিক সহায়তা প্রদান শুরু করে।
1971 (শরনার্থী সাহায্য):
পশ্চিমবঙ্গের বাংলাদেশী শরনার্থীদের মাঝে ত্রানকার্য পরিচালনা, খাদ্য, আশ্রয়, চিকিৎসা সেবা প্রদানসহ শরনার্থীদের মাঝে নিরাপত্তাবোধ জাগানো।
1972 (প্রত্যাবর্তানকারী শরনার্থী সাহায্য):
শরনার্থীদের মৌলিক চাহিদা যেমন খাদ্য, বাসস্থান, পরিধেয় ও চিকিৎসা সেবা পূরন, বিদ্যালয়, রাস্থাঘাট ও ব্রীজ নিরমান, হালের বলদ ও বীজ প্রদান। যুদ্ধবিদ্ধস্ত জনসাধারণ ও তাদের সন্তানদের ভবিষ্যত গঠনের জন্য প্রয়োজনীয় সম্পদ ও দক্ষতা বৃদ্ধির নিমিত্তে সংস্থা গড়ে তোলা।
1973-1975 (ত্রান ও পূণর্বাসন):
সকল ধরনের নির্মাণ কাজের মাধ্যমে অবকাঠামো মজবুত করা এবং কর্মসংস্থান, প্রশিক্ষন ও সেবাসমূহ বিশেষকরে শিশু যত্নের দ্বারা সামাজিক পরিবেশকে উন্নত করা। জনগণের আর্থিক ও সামাজিক স্বনির্ভারতার লক্ষ্যে এই সময়ে সমবায় সংস্থা সমূহের সাথে কাজ শুরু করা হয়। সরকারী পরিকল্পনায় সহায়তা প্রদান ও দেশের চাহিদা মেটাতে প্রকল্প সমূহ গৃহীত হয়।
1976-1983 (উদ্ভাবন):
এই সময়ে আরডিআরএস বাংলাদেশ ভিন্ন ভিন্ন খাতে কাজ শুরু করে। খাতগুলো হলো- কৃষি, নির্মান কাজ, স্বাস্থ্য ও পুষ্টি, পরিবার-পরিকল্পনা, মহিলা কার্যাক্রম, ব্যবহারিক শিক্ষা, ক্ষুদ্র শিল্প, দূর্যোগ মোকাবেলা প্রস্তুতি প্রভৃতি। এই কর্মাকান্ডগুলি আরডিআরএস বাংলাদেশ এর ভবিষ্যত প্রকল্পসমূহের ভিত্তি। জনগণের অংশগ্রহনে অবকাঠামো নির্মান কার্যক্রমটি সম্প্রসারিত হতে থাকে।
1984-1987:
আরডিআরএস এর নানাবিধ সামাজিক ও কারিগরী উদ্ভাবন এই সময়ে উল্লেখযোগ্য। যেমন- ট্রেডল পাম্প, অল্প খরচে দূর্যোগ প্রতিরোধমূলক নির্মান কাজ, মেয়েদের সাইকেল আরোহন, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নকশা, প্রশিক্ষন ম্যানুয়াল, ঘরে বসে সিল্ক সূতো কাটা, একক ও সমবায় ভিত্তিক কার্যক্রম থেকে সম্পদ স্থানান্তর করা হয় দলীয় কার্যক্রম পদ্ধতিতে। খাতওয়ারী সকল কার্যক্রম অব্যাহত থাকে।
1988-1995:
সকল মৌলিক কার্যক্রমে সমন্বিত কর্মসূচী ও রুরাল ওয়ার্কার্স প্রকল্পের সাথে একিভূত করা হয়। সেই সাথে মহিলা বিষয়ক কার্যক্রম, ঋনদান ও পরিবেশ বিষয়ে গুরুত্ব দেয়া হয়। অসহায় জনগোষ্ঠী যেমন-চরের অধিবাসী, ভূমিহীন ও ক্ষুদ্র চাষীর প্রতি বিশেষ সহায়তা প্রদান করা হয়। লালমনিরহাটে সামাজিক (কমিউনিটি) স্বাস্থ্য কার্যক্রম অব্যাহত থাকে। সর্বোপরি আরডিআরএস সংস্থাটিকেই ঢেলে সাজানো হয় এবং দক্ষতা বৃদ্ধির নিমিত্তে কর্মী প্রশিক্ষনের ব্যবস্থা করা হয়।
1996-2000:
স্থানীয়করণ ও স্বায়ত্বশাসিত বাংলাদেশী সংস্থায় রুপান্তরের মাধ্যমে সৃষ্ট ধর্মীয়, সামাজিক, অর্থনৈতিক ও পরিবেশ সচেতন কর্মসূচীর পূণ সমন্বিত পল্লি উন্নয়ন, যেখানে থাকবে সংগঠন সমূহের অংশগ্রহন, নারী উন্নয়ন ও পরিবেশের প্রতি যত্নশীলতা।
2000-2010:
ডা: সেলিমা রহমান (সামাজিক স্বাস্থ্য কর্মসূচী) সর্বপ্রথম মহিলা পরিচালক হিসাবে দায়িত্ব গ্রহন করেন। 2010 সালে সমন্বিত কর্মসূচীকে উন্নয়ন ও ক্ষুদ্রঋন এই দুইভাগে ভাগ করা হয়। এই সময়ে আদিবাসীদের উন্নয়নের জন্য আদিবাসী প্রকল্প হাতে নেয়া হয়। নর্থ বেঙ্গল ইনষ্টিটিউট প্রতিষ্ঠা লাভ করে। 2004 সালে অতি দরিদ্রদের জন্য ক্ষুদ্রঋন কর্মসূচী কাজ শুরু করে। 2005 সালে সর্বপ্রথম মহিলা পরিচালক নিয়োগপ্রাপ্ত হন। প্রান্তিক ও ক্ষুদ্র কৃষকদের নিয়ে ক্ষুদ্রঋন কাজ শুরু করে। জামালপুর, হবিগঞ্জ ও মৌলভিবাজর এ কাজ শুরু হয় এবং আরডিআরএস এন্টারপ্রাইজ প্রাইভেট লিমিটেড প্রতিষ্ঠা লাভ করে।
2006-2010:
প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা বৃদ্ধি;
বাজার অর্থনিতি;
সেল্ফ ফাইন্যান্স:
তৃনমূল জনসংগঠনের উপর অধিকতর গুরুত্বারোপ;
জেন্ডার বৈচিত্রতা;
পরিবেশ উন্নয়ন ও ঝুঁকি হ্রাস;
সুশাসন;
অধিকার ভিত্তিক পন্থা;
রিসোর্স মবিলাইজেশন;
উন্নয়ন অংশিদারিত্ব বৃদ্ধি।
আরডিআরএস বাংলাদেশ এর চার (4) ধরনের পদক্ষেপ:
প্রাতিষ্ঠানিক উন্নয়ন
সামাজিক সচেতনতা
অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি
নাগরিক সম্পৃক্ততা
আরডিআরএস বাংলাদেশ এর প্রধান কর্মসূচী সমূহ এবং উন্নয়ন অগ্রাধিকার:
সামাজিক ক্ষমতায়ন
মানসম্মত জীবন
প্রাকৃতিক সম্পদ ও পরিবেশ
অর্থনৈতিক ক্ষমতায়ন
লক্ষ্য: গ্রামীন দরিদ্র জনগোষ্ঠী স্বতন্ত্র ও সমষ্ঠিগত প্রচেষ্টায় অর্থবহ রাজনৈতিক, সামাজিক এবং অর্থনৈতিক ক্ষমতায়ন, মানসম্মত জীবনযাপন, ন্যায়বিচার এবং টেকসই পরিবেশ অর্জন করবে।
উদ্দেশ্য: আরডিআরএস বাংলাদেশ গ্রামীন দরিদ্র জনগোষ্ঠী এবং তাদের সংগঠনের সাথে কাজ করছে। যাতে তারা নাগরিক অধিকার সম্পর্কে জানে ও প্রতিষ্ঠা করতে পারে।ক্ষমতায়নের জন্য প্রয়োজনীয় যোগ্যতা ও আত্নবিশ্বাস এবং প্রতিবন্ধকতা মোকাবেলার সক্ষমতা অর্জন করতে পারে এবং স্থানীয় প্রতিষ্ঠানসমূহে সুশাসন উন্নয়ন করতে পারে এবং মানসম্মত জীবনযাপনের জন্য প্রয়োজনীয় সুযোগ, সম্পদ ও সেবায় প্রান্তিক জনগোষ্ঠির অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে পারে।
আরডিআরএস বাংলাদেশ এর ইতিহাস:
ভারতের কুচবিহারের শরনার্থী শিবিরে লুথেরান ওয়ার্ল্ড ফেডারেশন বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে শরনার্থীদের মানবিক সহায়তা প্রদান শুরু করে।
1971 (শরনার্থী সাহায্য):
পশ্চিমবঙ্গের বাংলাদেশী শরনার্থীদের মাঝে ত্রানকার্য পরিচালনা, খাদ্য, আশ্রয়, চিকিৎসা সেবা প্রদানসহ শরনার্থীদের মাঝে নিরাপত্তাবোধ জাগানো।
1972 (প্রত্যাবর্তানকারী শরনার্থী সাহায্য):
শরনার্থীদের মৌলিক চাহিদা যেমন খাদ্য, বাসস্থান, পরিধেয় ও চিকিৎসা সেবা পূরন, বিদ্যালয়, রাস্থাঘাট ও ব্রীজ নিরমান, হালের বলদ ও বীজ প্রদান। যুদ্ধবিদ্ধস্ত জনসাধারণ ও তাদের সন্তানদের ভবিষ্যত গঠনের জন্য প্রয়োজনীয় সম্পদ ও দক্ষতা বৃদ্ধির নিমিত্তে সংস্থা গড়ে তোলা।
1973-1975 (ত্রান ও পূণর্বাসন):
সকল ধরনের নির্মাণ কাজের মাধ্যমে অবকাঠামো মজবুত করা এবং কর্মসংস্থান, প্রশিক্ষন ও সেবাসমূহ বিশেষকরে শিশু যত্নের দ্বারা সামাজিক পরিবেশকে উন্নত করা। জনগণের আর্থিক ও সামাজিক স্বনির্ভারতার লক্ষ্যে এই সময়ে সমবায় সংস্থা সমূহের সাথে কাজ শুরু করা হয়। সরকারী পরিকল্পনায় সহায়তা প্রদান ও দেশের চাহিদা মেটাতে প্রকল্প সমূহ গৃহীত হয়।
1976-1983 (উদ্ভাবন):
এই সময়ে আরডিআরএস বাংলাদেশ ভিন্ন ভিন্ন খাতে কাজ শুরু করে। খাতগুলো হলো- কৃষি, নির্মান কাজ, স্বাস্থ্য ও পুষ্টি, পরিবার-পরিকল্পনা, মহিলা কার্যাক্রম, ব্যবহারিক শিক্ষা, ক্ষুদ্র শিল্প, দূর্যোগ মোকাবেলা প্রস্তুতি প্রভৃতি। এই কর্মাকান্ডগুলি আরডিআরএস বাংলাদেশ এর ভবিষ্যত প্রকল্পসমূহের ভিত্তি। জনগণের অংশগ্রহনে অবকাঠামো নির্মান কার্যক্রমটি সম্প্রসারিত হতে থাকে।
1984-1987:
আরডিআরএস এর নানাবিধ সামাজিক ও কারিগরী উদ্ভাবন এই সময়ে উল্লেখযোগ্য। যেমন- ট্রেডল পাম্প, অল্প খরচে দূর্যোগ প্রতিরোধমূলক নির্মান কাজ, মেয়েদের সাইকেল আরোহন, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নকশা, প্রশিক্ষন ম্যানুয়াল, ঘরে বসে সিল্ক সূতো কাটা, একক ও সমবায় ভিত্তিক কার্যক্রম থেকে সম্পদ স্থানান্তর করা হয় দলীয় কার্যক্রম পদ্ধতিতে। খাতওয়ারী সকল কার্যক্রম অব্যাহত থাকে।
1988-1995:
সকল মৌলিক কার্যক্রমে সমন্বিত কর্মসূচী ও রুরাল ওয়ার্কার্স প্রকল্পের সাথে একিভূত করা হয়। সেই সাথে মহিলা বিষয়ক কার্যক্রম, ঋনদান ও পরিবেশ বিষয়ে গুরুত্ব দেয়া হয়। অসহায় জনগোষ্ঠী যেমন-চরের অধিবাসী, ভূমিহীন ও ক্ষুদ্র চাষীর প্রতি বিশেষ সহায়তা প্রদান করা হয়। লালমনিরহাটে সামাজিক (কমিউনিটি) স্বাস্থ্য কার্যক্রম অব্যাহত থাকে। সর্বোপরি আরডিআরএস সংস্থাটিকেই ঢেলে সাজানো হয় এবং দক্ষতা বৃদ্ধির নিমিত্তে কর্মী প্রশিক্ষনের ব্যবস্থা করা হয়।
1996-2000:
স্থানীয়করণ ও স্বায়ত্বশাসিত বাংলাদেশী সংস্থায় রুপান্তরের মাধ্যমে সৃষ্ট ধর্মীয়, সামাজিক, অর্থনৈতিক ও পরিবেশ সচেতন কর্মসূচীর পূণ সমন্বিত পল্লি উন্নয়ন, যেখানে থাকবে সংগঠন সমূহের অংশগ্রহন, নারী উন্নয়ন ও পরিবেশের প্রতি যত্নশীলতা।
2000-2010:
ডা: সেলিমা রহমান (সামাজিক স্বাস্থ্য কর্মসূচী) সর্বপ্রথম মহিলা পরিচালক হিসাবে দায়িত্ব গ্রহন করেন। 2010 সালে সমন্বিত কর্মসূচীকে উন্নয়ন ও ক্ষুদ্রঋন এই দুইভাগে ভাগ করা হয়। এই সময়ে আদিবাসীদের উন্নয়নের জন্য আদিবাসী প্রকল্প হাতে নেয়া হয়। নর্থ বেঙ্গল ইনষ্টিটিউট প্রতিষ্ঠা লাভ করে। 2004 সালে অতি দরিদ্রদের জন্য ক্ষুদ্রঋন কর্মসূচী কাজ শুরু করে। 2005 সালে সর্বপ্রথম মহিলা পরিচালক নিয়োগপ্রাপ্ত হন। প্রান্তিক ও ক্ষুদ্র কৃষকদের নিয়ে ক্ষুদ্রঋন কাজ শুরু করে। জামালপুর, হবিগঞ্জ ও মৌলভিবাজর এ কাজ শুরু হয় এবং আরডিআরএস এন্টারপ্রাইজ প্রাইভেট লিমিটেড প্রতিষ্ঠা লাভ করে।
2006-2010:
প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা বৃদ্ধি;
বাজার অর্থনিতি;
সেল্ফ ফাইন্যান্স:
তৃনমূল জনসংগঠনের উপর অধিকতর গুরুত্বারোপ;
জেন্ডার বৈচিত্রতা;
পরিবেশ উন্নয়ন ও ঝুঁকি হ্রাস;
সুশাসন;
অধিকার ভিত্তিক পন্থা;
রিসোর্স মবিলাইজেশন;
উন্নয়ন অংশিদারিত্ব বৃদ্ধি।
আরডিআরএস বাংলাদেশ এর চার (4) ধরনের পদক্ষেপ:
প্রাতিষ্ঠানিক উন্নয়ন
সামাজিক সচেতনতা
অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি
নাগরিক সম্পৃক্ততা
আরডিআরএস বাংলাদেশ এর প্রধান কর্মসূচী সমূহ এবং উন্নয়ন অগ্রাধিকার:
সামাজিক ক্ষমতায়ন
মানসম্মত জীবন
প্রাকৃতিক সম্পদ ও পরিবেশ
অর্থনৈতিক ক্ষমতায়ন
লক্ষ্য: গ্রামীন দরিদ্র জনগোষ্ঠী স্বতন্ত্র ও সমষ্ঠিগত প্রচেষ্টায় অর্থবহ রাজনৈতিক, সামাজিক এবং অর্থনৈতিক ক্ষমতায়ন, মানসম্মত জীবনযাপন, ন্যায়বিচার এবং টেকসই পরিবেশ অর্জন করবে।
উদ্দেশ্য: আরডিআরএস বাংলাদেশ গ্রামীন দরিদ্র জনগোষ্ঠী এবং তাদের সংগঠনের সাথে কাজ করছে। যাতে তারা নাগরিক অধিকার সম্পর্কে জানে ও প্রতিষ্ঠা করতে পারে।ক্ষমতায়নের জন্য প্রয়োজনীয় যোগ্যতা ও আত্নবিশ্বাস এবং প্রতিবন্ধকতা মোকাবেলার সক্ষমতা অর্জন করতে পারে এবং স্থানীয় প্রতিষ্ঠানসমূহে সুশাসন উন্নয়ন করতে পারে এবং মানসম্মত জীবনযাপনের জন্য প্রয়োজনীয় সুযোগ, সম্পদ ও সেবায় প্রান্তিক জনগোষ্ঠির অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে পারে।