লগ ইন
 

Logo

আরডিআরএস বাংলাদেশ এর সেবা সমূহ

Growing Togather Project

গ্রোয়িং টুগেদার প্রকল্পের মাধ্যমে কৃষকদের আধুনিক পদ্ধতিতে ফসল চাষাবাদ, ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধি, উৎপাদিত পণ্যের ন্যায্য মূল্য প্রাপ্তি, আর্থ সামাজিক অবস্হার পরিবর্তন এবং কর্মসংস্হান সৃষ্টির ল¶্য ও উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে গ্রোয়িং টুগেদার প্রকল্প সিনজেন্টা অর্থায়নে ভিএসও বাংলাদেশ সার্বিক সহযোগিতায় এবং আর ডি আর এস বাংলাদেশ এর বাসড়বায়নে দিনাজপুর জেলার, বিরামপুর উপজেলার জোতবানী, মুকুন্দপুর ও কাটলা ইউনিয়নে দরিদ্র ও মাঝারি কৃষকদের নিয়ে এই প্রকল্পের কার্যক্রম শুরু করা হয়।

১.কৃষক দল:

কৃষি কৃষ্টির মুল।  কৃষির অবস্হা উন্নয়ন করতে হলে অবশ্যই কৃষকদের জ্ঞান ও দ¶তায় উন্নয়নের প্রয়োজন।  তাই গ্রোয়িং টুগেদার প্রকল্পের মাধ্যমে দিনাজপুর জেলার বিরামপুর উপজেলার জোতবানী ইউনিয়নে প্রকল্পের পাইলটিং সময়ে ২০১৫ সালে শুর“ থেকে ৩৬টি কৃষক দল মোট ১০৮০ জন কৃষককে নিয়ে এই প্রকল্পের কার্যক্রম শুর“ করা হয়।  পরবতর্ীতে বিরামপুর উপজেলার মুকুন্দপুর ও কাটলা এই দুটি ইউনিয়নে মোট ৮৫ টি কৃষক দল  ২৬০০   জন কৃষকদের নিয়ে প্রকল্পের কার্যক্রম সমপ্রসারণ করা হয়।  চলতি কোয়াটারে ১২১টি কৃষক দলে প্রতি মাসে একটি করে মাসিক সভা অনুষ্টিত হয়।  প্রতিটি সভায় একটি কৃষি , একটি সামাজিত ও একটি দলীয় কার্যক্রম নিয়ে আলোচনা করা হয়।   কৃষক দলের মাধ্যমে কৃষকদের নিয়মিত নতুন নতুন প্রযুক্তি শেখানো হয় এর মাধ্যমে কৃষকদের ফসলের উৎপাদনের বৃদ্ধি করে ফসলের ন্যায্য মূল্য প্রাপ্তির জন্য যোগাযোগ ও লিংকেজের মাধ্যমে নিশ্চিত করা হয়।

২.নেতৃত্ব উন্নয়ন বিষয়ক প্রশি¶ণ :   

কৃষক দলের ও ইয়ুথ ক্লাবের দল নেতাদের ও সাধারন সদস্যদের জ্ঞান ও দ¶তা বৃদ্ধির ল¶্যে চলতি বছরে ৮৫ টি কৃষক দলের থেকে ২৫৫ দলীয় নেতা ও দলীয় নেতার মাধ্যমে ২৩৪৫ জন সাধারন কৃষক এবং ১৬ টি ইয়ুথ ক্লাব থেকে ৪৮০ ইয়থ দলের সদস্যদের প্রতিটি দলে নেতৃত্ব উন্নয়ন বিষয়ক প্রশি¶ণ দেওয়া হয়।

৩.আধুনিক পদ্ধতিতে ধান চাষাবাদের উপর প্রশি¶ণ:

কৃষক দলের সদস্যদের আধুনিক পদ্ধতিতে ধান চাষাবাদের উপর জ্ঞান ও দ¶তা বৃদ্ধি এবং ফসল উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য  ৮৫ টি কৃষক দল থেকে দুই জন করে মোট ১৭০ জন কৃষক দল নেতাদেরকে বিরামপুর উপজেলার কেটরা হাট  ও কাটলা ইউনিয়ন প্রকল্প অফিসে প্রশি¶ণ দেওয়া হয়।  এরপর তারা প্রশি¶ণ নেওয়ার পর ৮৫ টি কৃষক দলের মোট ২৬০০ জন সাধারণ কৃষক সদস্যদের প্রশি¶ণ দেন।

৪.আধুনিক পদ্ধতিতে সবজি  চাষাবাদের উপর প্রশি¶ণ:

কৃষক দলের সদস্যদের আধুনিক পদ্ধতিতে আলু চাষাবাদের উপর জ্ঞান ও দ¶তা এবং ফসল উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য  ১২১ টি কৃষক দল থেকে দুই জন করে মোট ২৪২ জন কৃষক দল নেতাদেরকে বিরামপুর উপজেলার কেটরা হাট ও কাটলা ইউনিয়ন প্রকল্প অফিসে প্রশি¶ণ দেওয়া হয়।  এরপর তারা প্রশি¶ণ নেওয়ার পর ১২১ টি কৃষক দলের মোট ২৬০০ জন সাধারণ কৃষক সদস্যদের প্রশি¶ণ দেন।

৫. প্রদর্শনী প্লট :

প্রশি¶ণ লব্ধ জ্ঞান হাতে কলমে শেখানো এবং বাস্তব ¶েত্রে প্রয়োগ করে কৃষকদের নিজেদের অবস্হা পরিবর্তনের জন্য দল ভিত্তিক প্রদর্শনী প্লট স্হাপন করা হয়।  ১২১ টি কৃষকদলের ১২১ টি ধানের প্রদর্শনী প্লট, সবজি প্রদর্শনী প্লট  ১১ টি এবং ২৩ টি ইয়ুথ ক্লাবে ৯ টি ধানের,৪টি মাছ, ৪ ঘাস চাষ, ২টি সবজি ও ৪টি আলু প্রদর্শনী প্লট করা হয়।

৬.ইয়ুথ ক্লাব:

তারুণ্যই শক্তি।  গ্রোয়িং টুগেদার প্রকল্প মাধ্যমে প্রকল্পের কর্ম এলাকায় বিরামপুর উপজেলা জোতবানী ইউনিয়নে ৭ টি এবং মুকুন্দপুর ও কাটলা ইউনিয়নে ১৬ টি মোট ২৩ টি ইয়ুথ ক্লাব গঠন করা হয়।  এই ইয়ুথ ক্লাবের মাধ্যমে যুবক ও যবতীদের কৃষি, স্বাস্হ্য এবং সামাজিক সচেতন মূলক শি¶া সম্পর্কে জ্ঞানও দ¶তা উন্নয়ন এবং বেকারত্ব দুরীকরণের কর্ম সংস্হার সৃষ্টির ল¶্যে চাহিদা ভিত্তিতে কারিগরী প্রশি¶ণের ব্যবস্হা করা হয়।  এই ক্লাবের মাধ্যমে কর্ম এলাকার ক্লাবের সদস্য বৃন্দ এলাকার সাধারণ জনগণের কৃষি, স্বাস্হ্য এবং সামাজিক বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি করে।

৭.কৃষক কেন্দ্র:

গ্রামীন কৃষকদের আধুনিক কৃষি প্রযুক্তির উপর জ্ঞান ও দ¶তা বৃদ্ধির মাধ্যমে তাদের ফসল উৎপাদন, ফসলের ন্যায্য মূল্য প্রাপ্তির মাধ্যমে আয় বৃদ্ধি করণ।  আর্থ সামাজিক অবস্হার উন্নয়ন, কৃষি ভিত্তিক কার্যক্রমের মাধ্যমে সদস্যদের কৃষি ব্যবসায় উন্নয়নের ল¶্যকে সামনে রেখে দিনাজপুর জেলার বিরামপুর উপজেলা  জোতবানী ইউনিয়নে কটুয়া মিজর্াপুর গ্রামে এই কৃষক কেন্দ্রটি স্হাপন করা হয়।  যার নাম  কচুয়া মিজর্াপুর কৃষক কেন্দ্র।  কৃষক কেন্দ্রটি সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য কমিটি গঠন করা হয়।  কৃষক কেন্দ্রের কাছাকাছি ১৬ টি গ্রুপ থেকে দুই জন করে ৩২ জন এবং ৪ টি ইয়ুথ ক্লাব থেকে ৪ জন মোট  ৩৬ জন সদস্য নিয়ে কমিটি গঠন করা হয়।  এর মধ্যে পুরষ ২৭ জন এবং নারী ৯ জন।  কৃষক কেন্দ্রটি সকল কার্যক্রম ভালভাবে পরিচালনার জন্য ৫ টি উপকমিটি তৈরি/ গঠন করা হয়।  এই কমিটি গুলো হলো :- (১) বাজার জাত করণ কমিটি (২) উপকরণ সরবরাহ কমিটি (৩) সরকারী প্রতিষ্ঠানের সাথে যোগাযোগ কমিটি (৪)  বেসরকারী প্রতিষ্ঠানের সাথে যোগাযোগ কমিটি (৫) ঋণ প্রদান কারী সংস্হার/ ব্যাংকে এর সাথে যোগাযোগ কমিটি।  উক্ত কমিটির সদস্য গণ কৃষকদের ফসলের ক্রয় ও বিক্রয়ের জন্য বিভিন্ন ধরনের শাক সবজির আড়ৎদার, অটো রাইচ মিল, রাইচ মিলার সাথে যোগাযোগ করেন।  গুণগত উপকরণ সরবরাহের জন্য বি এ ডি সি সারও বীজের ডিলার, এস সি আই বীজ ও কীটনাশক ডিলার এবং সিনজেন্টা বীজ ও কীটনাশকের ডিলারে সাথে যোগাযোগ করেন।  সরকারী প্রতিষ্ঠান কৃষি সমপ্রসারণ অধিদপ্তর, মৃত্তিকা গবেষণা কেন্দ্র, যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর এবং সমাজ সেবা অধিদপ্তর সাথে যোগাযোগ  করেন।  বেসরকারী প্রতিষ্ঠান এসি আই, সিনজেন্টা, গাড়ী, পারটেক ্র এবং এগ্রোকনসান এর সাথে যোগাযোগ করেন।  ঋণ প্রদানকারী ব্যাংক রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক এবং গ্রামীন ব্যাংক এর সাথে যোগাযোগ করেন।

চলতি কোয়াটর্ারে কৃষক কেন্দ্রের মাধ্যমে ঃ

মাসিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয় ৩টি।

লিংকেজ সভা ২টি।

ব্যবসা পরিকল্পণা প্রশিক্ষণ ২ টি।

ধান বিক্রয় ১৬২ মণ, সবজি ২৫ মণ, পাট ২১ মণ, রাসায়নিক সার ৫৮ মণ, কীটনাশক এবং ছত্রাকনাশক ৫০ প্যাকেট।

কৃষি যন্ত্রপাতির ব্যবহারঃ

পাওয়ার টিলার ব্যবহার করে ৬৫ একর জমি চাষ।

উইডার ব্যবহার নিড়ানী জন্য ৪ একর।

স্প্রে মেশিন ব্যবহার ১০ একর।

Harvest Plus Challenging Project

. কৃষক প্রশিণঃ 

প্রতিবেদনকালে গত ২৮/০৮/২০১৬ ইং তারিখে বোচাগঞ্জ উপজেলায় আরডিআরএস অফিস ২৫ জন কৃষকে জিংক সমৃদ্ধ ব্রিধান-৬২ কৃষক প্রশি দেওয়া হয়  উপস্হিত ছিলেন সৈয়দা নাজমা পারভীন কৃষি কর্মকর্তা আরডিআরএস বাংলাদেশ দিনাজপুর, সৈয়দা নূহেরা বেগম, সহকারী সমন্বয়কারী (কৃষি), আরডিআরএস বাংলাদেশ, হারভেষ্ট ­াস বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা উন্নয়ন কর্মকর্তা হুল আমিন মন্ডল, রংপুর ২৫ জন কৃষক

 

.মিনিকেট প্রদশর্নী ­ এর সাইন বোর্ড বিতরণঃ 

প্রতিবেদনকালে গত ০৭/০৯/২০১৬ ইং তারিখে তারিখে বোচাগঞ্জ উপজেলার নাফানগর ছাতইল ইউনিয়নের ডহরা, চেংগন, বনহারা, ছাতইল, যশোর, বেলবাস, জংলীপীর, হিগাঁও গ্রামের ১২০ জন কৃষকের মাঝে জিংক সমৃদ্ধ ব্রিধান ৬২ এর সাইন বোর্ড বিতরণ করা হয়  উপস্হিত ছিলেন সৈয়দা নাজমা পারভীন কৃষি কর্মকর্তা আরডিআরএস বাংলাদেশ দিনাজপুর, ছাতইল এবং নাফানগর ফেডারেশন সভাপতি

 

. মিনিকেট উঠান বৈঠকঃ

প্রতিবেদনকালে গত ২৩/০৮/২০১৬, ২৪/০৮/২০১৬, ২৭/০৮/২০১৬, ৩১/০৮/২০১৬ইং তারিখে জিংক সমৃদ্ধ ব্রিধান-৬২, ১০৫০ জন কৃষকে উঠান বৈঠক করা হয়  বোচাগঞ্জ উপজেলার নাফানগর, ছাতইল ইউনিয়নের, ডহন্ডা, যশোর, বেলবাশ, চেংগন, বনহারা, হিগাও  নাফানগর এবং ছাতইল ইউনিয়ন ফেডারেশন সভপতি, সেক্রেটারী, ক্যাশিয়ার, উপস্হিত ছিলেন  সৈয়দা নাজমা পারভীন, কৃষি কর্মকর্তা, আরডিআরএস বাংলাদেশ, দিনাজপুর

 

ফলাফল জিংক ব্রীধান-৬২, ১০০ দিনে কর্তন করা যায়  অপুষ্টির কারণে বিশাল জনগোষ্ঠীর প্রায়শঃ নানাবিধ রোগে আক্রান্ত হচ্ছে- নিউমোনিয়া, ডাইরিয়া. মেলিরিয়া ইত্যাদি  নীয়ভাবে দৃর্শমান আমাদের দেশে ১৫-১৯ বছরের মেয়েরা খাটো হয়ে যাচ্ছে যা পৃথিবীর মধ্যে ঘুয়েতে মালার পরে বাংলাদেশ

Micro Finance

আরডিআরএস বাংলাদেশ ১৯৯১ সাল থেকে ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রম পরিচালনার মাধ্যমে দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে সঞ্চয়ে উদ্বর্ুদ্ধকরণ ও ক্ষুদ্রঋণ দিয়ে তাদের নিজস্ব দক্ষতা ও অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে আত্বকর্মসংস্হান সৃষ্টি ও আয় বৃদ্ধির মাধ্যমে দারিদ্র বিমোচনের লক্ষ্যে কাজ করে আসছে।  দিনাজপুর ইউনিটের অধীনে ১১ টি ব্রাঞ্চঅফিসের মাধ্যমে এই কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে।

 

নিম্নে উপজেলা ও ব্রাঞ্চ ভিত্তিক দলীয় সদস্যদের তথ্য দেয়া হলো।

উপজেলা 

ব্রাঞ্চ অফিস 

 

ভূমিহীন প্রানতিক চাষী 

 

 

উপজাতি 

মোট 

দল

 

সদস্য

 

দল

 

সদস্য

 

দল

 

সদস্য

 

বীরগঞ্জ

 

বীরগঞ্জ সদর

৬৯

১৪০১

৩৫

৬২৮

১০৪

২০২৯

কাহারোল

কাহারোল সদর

 

৭৯

১৭৫২

৪৫

৮৫

১৭৯৭

দশমাইল

 

৬৭

১৪৪৫

৬৭

১৪৪৫

বোচাগঞ্জ

বোচাগঞ্জ সদর

 

৯০

১৮৫৬

১১

১৮৯

১০১

২০৪৫

হাটরামপুর

১০৩

১৭৮৪

১০৩

১৭৮৪

বিরল

বিরল সদর

 

৮০

১৫২৭

২৬

৩৮১

১০৬

১৯০৮

মঙ্গলপুর

 

০৯

১০৩

০৯

১০৩

বিরামপুর

 

বিরামপুর সদর

 

৮৫

১৪৯৮

৮৫

১৪৯৮

ফুলবাড়ী

 

ফুলবাড়ী সদর

 

১০৫

১৯১২

 

 

১০৫

 

১৯১২

হাকিমপুর

 

হাকিমপুর সদর

 

৮৮

১৪৪৬

 

 

৮৮

১৪৪৬

পার্বতীপুর

 

আমবাড়ী

 

০৩

৩০

 

 

০৩

৩০

দিনাজপুর

দিনাজপুর সদর

 

৮১

১৩৬১

৪১

৮৪

১৪০২

মোট

৮৫৯

১৬১১৫

৮১

১২৮৪

৯৪০

১৭৩৯৯

 ২.ঋণ সম্পর্কিত তথ্য ঃ

সূচক / নির্দেশক 

 

মোট টাকা 

 

প্রতিবেদন কালের শুরচ্তে মোট ঋণ স্হিতি

 

১৯৩৮৭৫৩৪১

 

প্রতিবেদন কালে মোট বিতরণ কৃত ঋনের পরিমাণ

 

৮৭৪৫৮০০০

প্রতিবেদন কালে মোট আদায় কৃত ঋণের পরিমাণ

 

৭৪৩৭৩৭৬৭

প্রতিবেদনকাল শেষে মোট ঋণ স্হিতি

 

২০৬৯৫৯৫৭৪

 

৩.সঞ্চয় সর্ম্পিকত তথ্য ঃ

সূচক / নির্দেশক

মোট টাকা

 

প্রতিবেদন কালের শুরুতে সঞ্চয় স্হিতি

 

৬৮৮৬০৫৬৮

 

প্রতিবেদন কালে মোট জমা কৃত সঞ্চয়

 

৮৬০৯৭৮৮

 

প্রতিবেদন কালে মোট সঞ্চয় উত্তোলনের পরিমান

 

৫১৯৬৮৫৬

 

প্রতিবেদনকাল শেষে সঞ্চয় স্হিতি

 

৭২২৭৩৫০০

 

 

Sustainable & Resilient Farming Systems Intensification (SRFSI)

অস্ট্রেলিয়ান আন্তর্জাতিক কৃষি গবেষণা কেন্দ্র (এসিআইএআর) এর অর্থায়নে আন্তর্জাতিক ভুট্টা ও গম উন্নয়ন কেন্দ্র (সিমিট) এর সহযোগিতায় আরডিআরএস বাংলাদেশ এবং গম গবেষণা কেন্দ্র, দিনাজপুর জেলার বীরগঞ্জ উপজেলার মোহনপুর ইউনিয়নে এসআরএফএসআই প্রকল্প প্রকল্প দিনাজপুর ইউনিটের তত্ত্বাবধানে বাস্তবায়ন করছে।

১.আমন মৌসুমের ট্রায়াল :

চলতি আমন মৌসুমে ৩৪ জন কৃষকদের মাঝে ২টি ট্রিটমেন্ট পদ্ধতির মাধ্যমে (কাদা করে ও কাদা না করে) ব্রি ধান৫২ জাতের ধানের প্লট বাস্তবায়ন করা হয়। 

২.রাইস ট্রান্সপ্ল্যান্টার মেশিনের মাধ্যমে ধানের চারা রোপণ :

রাইস ট্রান্সপ্ল্যান্টার মেশিনের মাধ্যমে ৬ জন কৃষকের মাঝে ২৭০ শতাংশ জমিতে সরাসরি চারা রোপণ করা হয়। 

৩.ইনোভেশন প্লাটফর্ম কমিটির মিটিং :

ইনোভেশন প্লাটফর্ম কমিটির মাসিক মিটিং মোহনপুর ইউনিয়নে অনুষ্ঠিত হয়।  এই মিটিং কৃষি সম্পর্কিত বিভিন্ন আলোচনা করা হয় এবং আসন্ন রবি মৌসুমে কি কি কার্যক্রম হবে সেনিয়েও আলোচনা হয়। 

৪.কৃষি কমিউনিটি ক্লিনিক পরিদর্শন:

কৃষকরা প্রতিদিন কৃষি কমিউনিটি পরিদর্শন করেন।  তারা নানা ধরনের সমস্যা নিয়ে আসেন এবং এর সমাধান উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা’র ও আরডিআরএস এর প্রতিনিধি এর নিকট থেকে পেয়ে থাকেন।

৫.ফলজ, বৃক্ষ ও কৃষি প্রযুক্তি মেলায় অংশগ্রহণ :

আরডিআরএস বাংলাদেশ দিনাজপুর ইউনিটের আওতায় ঝজঋঝও প্রকল্পের অধীনে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের আয়োজনে বীরগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন চত্ত্বরে অংশ গ্রহণ করা হয়।

Socio-Economic Empowerment with Dignity and Sustainability (SEEDS)

ল¶্য ঃ

২০১৮ সাল শেষে বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলের ৬০০০ প্রান্তিক আদিবাসী পরিবার মর্যাদাপূর্ন উন্নত সামাজিক এবং অর্থনৈতিক সুবিধা ভোগ করবে।

উদ্দেশ্য ঃ

সামাজিক, অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক উন্নতি ঘটানোর মাধ্যমে আদিবাসীদের বর্তমান জীবনযাত্রার মানের ইতিবাচক পরিবর্তন ঘটানো।

সংলাপ :

দিনাজপুর জেলার  ৫ টি উপজেলার (বীরগঞ্জ, বিরল, বিরামপুর, নবাবগঞ্জ এবং ঘোড়াঘাট) আদিবাসী কিশোরীদের জীবন সম্পৃক্ত বিষয়ে শি¶া প্রদানসহ ১৬ টি বিভিন্ন সামাজিক ইস্যু এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য (যেমন ব্যক্তিগত পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা, বয়ঃসন্ধিকাল, এইচআইভি এইডস, অধিকার/মানবাধিকার, নারী আধিকার, খাদ্য ও পুষ্টি ইত্যাদি) সচেতনতা সৃষ্টির ল¶্যে ৪৭ টি সংলাপ কেন্দ্রের মাধ্যমে ৯৮৬ জন কিশোরী জীবন দ¶তা, নারী ও শিশু অধিকার, বিভিন্ন সরকারী -বেসরকারী সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান সমুহ,আয়বৃদ্ধিমূলক কাজ, ইত্যাদি পাঠ সমুহ সম্পন্ন করছে।  কিশোরীদের বিভিন্ন কার্যক্রম-এ সহায়তা দেওয়ার ল¶্যে প্রতি মাসে সংলাপ সাপের্াট টীম (এসএসটি)ও অভিভাবক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।  চলতি মাসে সেন্টারগুলিতে কিশোরীদের গড় উপস্হিতির হার ছিল ৭৮%।  এ ছাড়াও কিশোরীদের আত্ননির্ভরশীল করে গড়ে তোলার জন্য সংলাপ সেন্টারে সঞ্চয় তহবিল গড়ে তোলার প্রয়াস চালানো হচ্ছে যার মধ্যমে কিশোরীদের মধ্যে একদিকে যেমন সঞ্চয়ের মনোভাব গড়ে উঠবে অন্যদিকে তাদের ভবিষ্যত জীবনের উন্নতির সহায়ক হিসাবে কাজ করবে ।  এ ছাড়াও সংলাপ পরিচালনার ক্ষেত্রে প্রতিমাসে মাসিক রিফ্রেশার্স এর  মাধ্যমে পরবর্ত্তী মাসের পাঠ পরিকল্পনা এবং সংলাপ পরিচালনার ক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরনের সহায়তা প্রদান করা হয় ।

বিরামপুর উপজেলায় আন্তর্জাতিক আদিবাসী  দিবস পালিত ঃ

“আদিবাসীদের ভুমি ও জীবনের অধিকার” এই প্রতিপাদ্য কে সামনে রেখে গত ৯ আগষ্ট পালিত হলো আন্তর্জাতিক আদিবাসী  দিবস।  আদিবাসী সমাজ উন্নয়ন সমিতি বিরামপুর এর  আয়োজনে শ্যামপুর, গিরিংগি ও প্রাননাথপুর সংলাপ কেন্দ্র এবং সেল্‌ফ রিলায়েন্ট গ্রুপের (এসআরজি) অংশগ্রহণে বিরামপুর পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ প্রাঙ্গনে দিবসটি উদযাপন করা হয়।  উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্হিত ছিলেন জনাব আলহাজ্ব মো: পারভেজ কবির,চেয়ারম্যান,বিরামপুর উপজেলা পরিষদ।  আরোও উপস্হিত ছিলেন আদিবাসী সমাজ উন্নয়ন সমিতি, বিরামপুর এর চেয়ারম্যান জনাব বার্নাবাস মুরমু।  বক্তব্যে চেয়ারম্যান বার্নাবাস মুরমু  বলেন “সরকারের কাছে আকুল আবেদন আদিবাসীদের তাদের নিজের জমিতে যেন তাদের অধিকার নিশ্চিত হয়”।  এ ছাড়াও উপস্হিত ছিলেন সম্পাদক কেরোবিন হেমরম, সম্পাদক, আদিবাসী সমাজ উন্নয়ন সমিতি, বিরামপুর।  অনুষ্ঠান উপলক্ষ্যে র্যালী, আলোচনা সভা এবং সংলাপ কিশোরীদের অংশগ্রহনে মনোজ্ঞ সাংষ্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।  দিবসের প্রথমভাগে   র্যালি শহরের গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা প্রদক্ষিন করে র্যালী শেষে আলোচনা  সভায় বক্তারা আদিবাসীদের বিভিন্ন সমস্যা যেমন ভুমি অধিকার ও বিকল্প পেশা, চাকুরীতে আদিবাসীদেও কোটা কার্যকর, বিভিন্ন জুলুম নির্যাতনের বিষয় তুলে ধরেন ।  প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপজেলা চেয়ারম্যান জনাব মো: পারভেজ কবির  বলেন “কিশোরীদের ব্যাপক অংশগ্রহণই বলে দিচ্ছে আগামী দিনে তারাই তাদের অধিকার আদায় করবে”।  আলেচনা শেষে সংলাপ কিশোরীরা তাদের নিজস্ব সাংষ্কৃতিক ঐতিহ্যের নৃত্য এবং সংগীত পরিবেশন করে।

ঘোড়াঘাট উপজেলায় আর্ন্তজাাতিক আদিবাসি দিবস-২০১৬ উদযাপিত:

গত ৯ আগস্ট/২০১৬ আন্তর্জাতিক আদিবাসী দিবস উদযাপন উপলক্ষ্যে দাতা সংস্হা স্ট্রমী ফাউন্ডেশরে অথর্ায়নে আরডিআরএস বাংলাদেশ কর্তৃক বাস্তবায়নধীন সীডস প্রকল্পের আত্ননির্ভরশীল দলের সদস্যবৃন্দ,সংলাপ ও সংলাপ-২ এর কিশোরীবৃন্দ এবং স্হানীয় জনগণের অংশগ্রহনে ঘোড়াঘাট উপজেলার বুলাকিপুর, পালসা, সিংড়া ও ঘোড়াঘাট ইউনিয়নে র্যালী, আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে দিবসটি উদযাপন করা হয়।  কিশোরী আইভি মুরমু এর সাথে উপস্হিত সবাই একমত হয়, “আদিবাসী দিবসের অঙ্গীকার নেশা মুক্ত হোক আদিবাসী সমাজ”।   কিশোরী সোনামুনি কুজুর এর মতে, “ভবিষ্যতে কিশোরীরা সর্বক্ষেত্রে ক্ষমতায়িত হোক এই আমাদের প্রত্যাশা”।  আদিবাসী নেতা মাথিয়াস মাডর্ী এর মতে,কিশোরীরা সুশিক্ষিত হয়ে সরকারি চাকুরী না হলেও যে কোন বেসরকারী উন্নয়ন সংস্হায় চাকুরীর জন্য তৈরী হতে হবে।

সংলাপ আইজিএ প্রশিক্ষণ ঃ

দিনাজপুর জেলার  ৫ টি উপজেলার (বীরগঞ্জ, বিরল, বিরামপুর, নবাবগঞ্জ এবং ঘোড়াঘাট) ৪৭ টি সংলাপ কেন্দ্রের ৯৮৬ জন সংলাপ কিশোরীকে এ প্রান্তিকে কৃষি (৯ টি সেশন) এবং প্রাণি সম্পদ (৪ টি সেশন) বিষয়ে  প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে ।  প্রতিটি সেশন উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা এবং উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা পরিচালনা করেন ।  প্রশিক্ষণ শেষে হাতে কলমে বিষয়গুলিকে শেখানো হয় যাতে কিশোরীরা বিষয়গুলিকে সহজে অনুধাবন করতে পারে ।  উপরে উল্লেখিত

কৃষি বিষয়ক ৯ টি বিষয়ের মধ্যে ছিল -

বসত বাড়ীতে সবজি চাষের গুরুত্ব ;

সবজি বীজ পরিচিতি এবং ব্যবস্হাপনা ;

সব্‌জি উত্তোলন এবং নার্সারী ব্যবস্হাপনা ;

বসত বাড়ীতে লাউ, মিষ্টিকুমড়া ও চালকুমড়া উৎপাদনের উন্নত কলা কৌশল;

বসত বাড়ীতে সীম, বরবটি  উৎপাদনের উন্নত কলা কৌশল;

বসত বাড়ীতে বেগুন, টমেটো ও ঢেঁড়শ  উৎপাদনের উন্নত কলা কৌশল;

বসত বাড়ীতে লালশাক, পালংশাক, পুঁইশাক, কলমি শাক, ডাটাশাক, বাটিশাক এবং বিলাতি ধনেপাতা  উৎপাদনের উন্নত কলা কৌশল;

বসত বাড়ীতে পিঁয়াজ, রসুন, আদা, হলুদ ও মরিচ  উৎপাদনের উন্নত কলা কৌশল;

বসত বাড়ীতে পেঁপে, লেবু, পেয়ারা এবং কুল উৎপাদনের উন্নত কলা কৌশল ।

 

প্রাণী সম্পদ বিষয়ক ৪ টি সেশনের মধ্যে ছিল - 

বসত বাড়ীতে মুরগী পালনের উন্নত কলা কৌশল;

বসত বাড়ীতে হাঁস পালনের উন্নত কলা কৌশল;

বসত বাড়ীতে ছাগল পালনের উন্নত কলা কৌশল;

বসত বাড়ীতে গরু পালনের উন্নত কলা কৌশল ।

নবাবগঞ্জে  উপজেলায় সংলাপ কিশোরীদের আইজিএ প্রশিক্ষণ ঃ

 কিশোরী মেয়েদের পারিবারিক পযায়ের্ৃ আয় বৃদ্ধিমূলক কর্মকান্ডে অংশগ্রহনের জন্য মোট ০৯ টি সংলাপ কেন্দ্রের ১৮৩ জন কিশোরীকে কৃষি বিষয়ক ৫ দিনেরএবং  প্রাণি সম্পদের বিষয়ক ৩ দিনের  প্রশিক্ষণ আয়োজনের করা হয়।  কৃষি বিষয়ক প্রশিক্ষণটি পরিচালনা করেন কৃষি কর্মকর্তা জনাব মোঃ আসাদুজ্জামান ও কৃষি সম্প্রসারন কর্মকর্তা জনাব মোঃ হাসানুজ্জামান।  এবং প্রানী সমপদ বিষয়ক প্রশিক্ষণটি পরিচালনা করেন উপজেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা জনাব মোঃ জাহাঙ্গীর আলম।  এই প্রশিক্ষণের মূল বিষয় ছিল বসত বাড়িতে সবজি চায় ও হাঁস মুরগি শুকুর গরু ছাগল পালন।  প্রশিক্ষণ শেষে হাতে কলমে কৃষি কর্মকত  সজনে গাছের প্রনিং বিষয়ে শেখান যেন  যাতে কিশোরীরা বিষয়গুলিকে সহজে অনুধাবন করতে পারে ।

প্রাক - প্রাথমিক শি¶া কার্যক্রম (প্রি-স্কুল):

অবহেলিত আদিবাসী শিশুদের শারীরিক, সামাজিক ও আবেগিক, বুদ্ধি বৃত্তির বিকাশের ল¶্যে দিনাজপুর জেলায় মোট ২৭ টি  (বীরগঞ্জ - ৩ টি, বিরল - ১ টি, বিরামপুর - ৪ টি, নবাবগঞ্জ -১৫ এবং ঘোড়াঘাট - ৪ টি) প্রি-স্কুেল ৫৪৭ জন শি¶াথর্ী (ছাত্র - ২৭৮: ছাত্রী - ২৬৯) নিয়ে জানুয়ারী /২০১৬ থেকে এ স্কুলের কাজ শুরু হয়েছে।

প্রত্যেকটি স্কুলে  সিএমসি ও অভিভাবক কমিটি গঠন করা হয়েছে।  প্রত্যেক সিএমসি এবং অভিভাবক সভা প্রত্যেক মাসে অনুষ্ঠিত হবে।  ফলে অভিভাবকগণ শিশুদের শি¶ার প্রতি আরো বেশি যত্নশীল হবে।  এছাড়াও পাঠদান পদ্ধতির মানোন্নয়নে শি¶কদের মাসিক রিফ্রেসার্স প্রশি¶ণ সুষ্ঠু ভাবে প্রদান করা হচ্ছে।  অভিভাবক সভার আলোচ্য বিষয় হবে শি¶াথর্ীদের মুল ধারার শি¶া ব্যবস্হায় অন্তভর্ূক্তি, ব্যক্তিগত পরিষ্কার- পরিচ্ছন্নতা, নিয়মিত এবং সময় মত ক্লাসে উপস্হিতিতি, স্বাস্হ্য ও পুষ্টি ইত্যাদি।  সেন্টার ম্যানেজমেন্ট কমিটির (সিএমসি) সদস্যগণ নিয়মিত সেন্টারগুলি পরিদর্শন করবেন এবং সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য সমস্ত রকম কারিগরী সহযোগিতা করছেন যা শিশুসহ অবিভাবকদের শি¶ার প্রতি আগ্রহী করে তুলেছে।  প্রতি স্কুলে ২টি করে মোট ৪টি কমিউনিটি মিটিং অনুষ্ঠিত হবে ।  অভিভাবক সভার আলোচ্য বিষয় হবে ১।  পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা ২।  শিশুদের স্বাস্হ্য ও পুষ্টি ৩।  সময়মত উপস্হিতি ৪।  মৌসুমি ফল খাওয়ানো ৫।  বিভিন্ন ধরণের রোগ প্রতিরোধ ৬।  শিশু অধিকার ৭।  মূলধারার শিক্ষা ব্যবস্হায় অন্তভর্ূক্তি ইত্যাদি ।  এ ছাড়াও শিশুদের শিক্ষার প্রতি মনোযোগ বাড়ানো এবং প্রতিযোগিতামূলক মনোভাব সৃষ্ঠির উদ্দেশ্যে বিভিন্ন ধরণের চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা, ছড়াগান প্রতিযোগিতা স্কুল পর্যায়ে সম্পন্ন হবে ।  এ প্রকল্প স্কুল থেকে গত ২০১৫ সালের বের হওয়া ১০০% শিশুকে শিক্ষার মূল স্রোতধারার সাথে যুক্ত করা হয়েছে।  প্রত্যেকটি স্কুল পর্যায়ে বিশ্ব শিশু অধিকার বুঝানো হয়।  অভিভাবকগণ এবং স্হানীয় সুশীল সমাজ এই কর্মসূচীর জন্য তারাও আর্থিক সহযোগিতা প্রদান করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।

শিক্ষার আলোয় আলোকিত বীরগঞ্জের আদিবাসী শিশুরা:

মূল পাঠ সহ পাঠ্যক্রমিক শিক্ষা প্রদান ও অবহেলিত শিশুদের শিক্ষার জন্য আরডিআরএস বাংলাদেশ এর সীড্‌স প্রকল্প কমিউনিটি ভিক্তিক প্রি-স্কুল তৈরী করেছে।  শিশুদের মানষিক বিকাশ,আবেগীক বিকাশ,শারীরিক বিকাশ, মেধারবিকাশ সহ সামাজিক বিকাশ সাধন হচ্ছে এর মূল বৈশিষ্ট্য। ্‌প্রকল্পের বীরগঞ্জ কর্ম এলাকায় তিনটি প্রি-স্কুল চলমান রয়েছে।  এমন একটি কুতুলপুর প্রি-স্কুল।  ্‌্‌্‌স্হানীয় আত্নর্নিভর দলের মধ্য থেকে কমিটি তৈরী করে স্কুুলটি  তাদের দ্বারা পরিচালিত।  মোট ছাত্র-ছাত্রী সংখ্যা ২০ জন ,আদিবাসী অধ্যষিত হওয়াতে স্কুলে শিক্ষীকা সহ ১৪ জন শিক্ষার্থীই আদিবাসী।  স্কুল ভীতি দূরকরণ,স্কুল মুখীকরণ,ভাষাশিক্ষা সহ আনন্দঘন পরিবেশে চলছে পাঠদান।  অবকাঠামোগত দিক দর্ূবল হলেও নীতি শিক্ষা,মূল পাঠের বিষয়ের আলোকে স্হানীয় শিক্ষা উপকরণের ব্যবহার,নিয়মিত পাঠদানের ফলে শিশুদের শিক্ষার প্রতি মনোসংযোগ তৈরী করেছে।  মাসিক গড়ে উপস্হিতি শতকরা ৯৯ ভাগ।  শিশুুদের উপস্হিতি এলাকার বিভিন্ন মহলের নজর কেড়েছে।  স্হানীয় ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মো: আ: আজিজ স্কুল পরিদর্শনে গেলে শিশুদের তিন তালি দিয়ে বরণ তাকে হতবাক করে।  তিনি বলেন এই নীতি শিক্ষা শিশুদের ভবিষতে আর্দশ নাগরিক হিসেবে গড়তে অনেক সহযোগিতা করবে।

মানসম্মত শি¶া কার্যক্রম  ঃ

“সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রমকে সহায়তা প্রদানের মাধ্যমে মানসম্মত শি¶া নিশ্চিতকরণে সহায়তা প্রদান  করার ল¶্যে আরডিআরএস বাংলাদেশ সীড্‌স প্রকল্প সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সাথে ২০১৪ সাল থেকে কাজ শুরু করে ।  শুরুতেই বি ও সি গ্রেডের স্কুলের সাথে চুক্তিবদ্ধ হয়।  স্কুলের মানসন্মত শিক্ষা নিশ্চিত করনে মূল উপাদান শিক্ষার্থী, শিক্ষক, অবকাঠামো, সি এম সি, পিটিএ ও অভিভাবকদের প্রতি গুরুত্ব আরোপ করা হয়।  এই গুরুত্বগুলোকে তিনটি স্তরে পর্যায়ক্রমে বিভিন্ন ভাবে সক্রিয় করন করা হয়।  তার মধ্যে স্কুলের সাথে সরাসরি জড়িত :

শিক্ষক, সিএমসি, পিটিএ

শিক্ষার্থী

অভিভাবক, সুশিল সমাজ ও শিক্ষানুরাগী ব্যক্তিবর্গ।

এই তিনটির সমন্বিত প্রচেষ্টায় শিক্ষার্থীদের স্কুলমুখি করন ও ঝরে পড়া রোধে সরকারের সাথে সমান তালে কাজ করছে আরডিআরএস বাংলাদেশ এর সীড্‌স প্রকল্প ।

দিনাজপুর জেলার ৫ টি ্‌পজেলা (বীরগঞ্জ, বিরল, বিরামপুর এবং ঘোড়াঘাট  উপজেলার ৫৫টি (বীরগঞ্জ -  ১২ টি, বিরল - ১২ টি, বিরামপুর - ১০ টি, নবাবগঞ্জ ু ১৫ টি এবং ঘোড়াঘাট - ৬ টি) সরকারী ও বেসরকারী আদিবাসী প্রাথমিক বিদ্যালয় এই কার্যক্রমের আওতায় আনা হয়েছে।  এ সকল স্কুলে (পিটিএ)‘র সভা অনুষ্ঠিত হবে ফলে শিক্ষক অভিভাবক সম্পর্ক উন্নত হবে যার ফলে শিক্ষার্থীদের উপস্হিতির হার বাড়বে  এবং পরীক্ষা পরবতর্ী ফলাফল আশানুরুপ পর্যায়ে উন্নীত হবে ।  এসএমসি মিটিং নিয়মিতভাবে মাসিক অনুষ্ঠিত হবে।  এছাড়াও বিদ্যালয় গুলিতে মাসসম্মত শি¶া নিশ্চিতকরণের জন্য সহপাঠক্রমিক কাজের চর্চা যেমন: ছড়াগান, কবিতা আবৃত্তি, অংকন প্রতিযোগিতার আয়োজন সহ স্কুল ব্যবস্হাপনা কমিটি (এসএমসি) কে সক্রিয়করনের ল¶্যে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা, মা / অভিভাবক সমাবেশ করা হবে।  মা সমাবেশে অভিভাবকগন মুক্ত আলোচনায় সক্রিয় অংশগ্রহণের ফলে দায়িত্ব কর্তব্য সম্পর্কে সচেতনতাবোধ বড়াবে এবং সেই অনুযায়ী তারা নিজ নিজ সন্তানের প্রতি যত্নশীল হবেন ।  যা শিক্ষা কার্যক্রমকে এগিয়ে নেওয়ার পথে প্রশংশনীয় অভিভাবকদের দায়িত্ব ও কর্তব্যের গুরুত্ব আরোপ করার জন্য প্রতিটি স্কুলে মা সমাবেশ করা হবে ।  সংশ্লিষ্ট স্কুলগুলিতে এসব কর্মকান্ড পরিচালনার ফলে শি¶ক, ছাত্র-ছাত্রী, অভিভাবক সহ এলাকাবাসীদের মধ্যে মানসম্মত শি¶া নিশ্চিতকরণের ল¶্যে এক নতুন প্রেরণার সঞ্চার হবে বলে আশা করা হচ্ছে যা স্কুলের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা পালন করবে বলে সুধীমহল আশা প্রকাশ করেছেন।  প্রকল্প সংশ্লিষ্ট স্কুলে স্বাস্হ্য সমম্মত পায়খানা প্রদান করা হবে যার ফলে স্বাস্হ্য সম্মত পায়খানার ব্যবহার এর অভ্যাস গড়ে উঠবে।  পূর্বে এমন রীতিনীতি ছিলনা এখন থেকে শিক্ষক, অভিভাবক, এসএমসি সদস্য, সুশীল সমাজ, স্হানীয় সরকারের সদস্য, এবং এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গের সাথে সম্পর্ক উন্নয়নের ফলে বিদ্যালয়ের বিভিন্ন প্রকার অনুষ্ঠান যেমন দিবস উদ্‌যাপন, ক্রীড়া প্রতিযোগিতা, ছড়াগান, কবিতা আবৃত্তি, চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা এর পাশাপাশি সমাপনী শিক্ষার্থীদের বিদায় অনুষ্ঠানও আয়োজন করে থাকে ।  যার ফলে অভিভাবকগন বিদ্যালয়ের নানান রকম উন্নয়ন কাজে এগিয়ে আসে এবং শিক্ষকগনকে, আরডিআরএস বাংলাদেশকে তাদের এই উন্নয়নের অংশীদার হিসাবে দাবী করে ।

সরকারী  প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মা সমাবেশ ঃ

বিরল উপজেলার ৪ টি ইউনিয়নে ১২টি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে সিডস প্রকল্প বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে তারই ধারাবাহিকতায় ১২ টি বিদ্যালয়ের মধ্যে ৪ টি বিদ্যালয়ে প্রকল্পের সামান্য আর্থিক সহযোগীতার পাশাপাশি বিদ্যালয় কতর্ৃপক্ষের আর্থিক সহযোগীতায় মা সমাবেশ খুব আনন্দঘন পরিবেশে সম্পন্ন হয়েছে।  মা সমাবেশে শিক্ষার্থীদের অভিভাবক, এসএমসি সদস্যবৃন্দ ও এসআরজি সদস্যদের উপস্হিতিতে অনুষ্ঠিত হয়।  মা সমাবেশে প্রতি বিদ্যালয়ে গড়ে প্রায় ১০০ থেকে ১৫০জন অভিভাবক উপস্হিত ছিলেন ।  মা সমাবেশে চলমান আলোচনা গুলোর ছাড়া ও  ৩য়-৫ম শ্রেনির শিক্ষাথর্ীরা যাতে নিয়মিত দুপুরের টিফিন সঙ্গে আনে এটা নিশ্চিত করার জন্য মাদের উদ্বুদ্ধ করা হয।  উপস্হিত সংশ্লিষ্ঠ বিদ্যালয়ের শিক্ষকবৃন্দ ও এসএমসি সদস্যবৃন্দ বলেন যে, “বিদ্যালয়ের উন্নয়ন তথা মানসম্মত পরিবেশের কথা চিন্তা করলে প্রথমে অভিভাবকদের মনের ইতিবাচক মনোভাব তৈরী করা দরকার যা এই মা সমাবেশের মাধ্যমে সম্ভব”।  এ কারনে সরকারী ভাবে নির্দেশনা আছে প্রতি তিন মান অন্তর এক বার মা সমাবেশ করার কথা।  তাই আমরা মনে করি আরডিআরএস বাংলাদেশের সিডস প্রকল্প আমাদের সাথে যেভাবে কার্যক্রম করছে সেখানে বিদ্যালয় এবং এসএমসির সহযোগীতা অবশ্যই থাকবে।  এই মা সমাবেশ কার্যক্রম কে উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার গন সাধুবাদ জানিয়েছেন।

স্টুডেন্ট কাউন্সিল ঃ

“শিক্ষাঙ্গনের পরিবেশসহ মানসন্মত শিক্ষা নিশ্চিত ও আনন্দঘন পরিবেশে শিখন মনোনিবেশই শিশুর উজ্জল ভবিষ্যতের হাত ছানি” এই মন্ত্রে উজ্জিবিত হয়ে ভাবকি স্কুলের শিক্ষার্থীদের উপসথিতি নিশ্চিত, শিক্ষা পরিবেশ তৈরী ওর্ িশক্ষকদের বিভিন্ন ভাবে সহযোগীতার জন্য তৈরী হয় স্টুডেন্ট কাউন্সিল ।  কাউন্সিলের নিজ নিজ দায়িত্ব ও কর্তব্য কি তা বিভিন্ন পর্যায়ে শেখানোর ব্যবস্হা করা হয়।  কাউন্সিলের  দলনেতা অনুপস্হিত  ছাত্র- ছাত্রীদের শিক্ষকদের সহযোগীতায় হোম ভিজিট করে।  শিক্ষকের সহায়তায় তারা নিজেরা তৈরী করে কাব-দল।  বর্তমানে বিভিন্ন খেলাধুলা ,বিতর্ক প্রতিযোগীতা ,দিবস পালনসহ বিভিন্ন ধরনের সহপাঠ কার্যক্রম  তাদের উদ্যোগেই  পরিচালিত হয়।  শিক্ষার্থীদের এই উদ্যোগগুলো অভিভাবক ,এসএমসি ও পিটিএসহ আরো অনেককেই অনুপ্রানিত করে।  বর্তমানে ভাবকি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা ২০০ জনের উপরে।  তার মধ্যে আদিবাসী ছাত্র-ছাত্রী ২২ জন।  আজকের এ অবস্হানের পিছনে যারা সহযোগীতা করেন বিশেষ করে আরডিআরএস বাংলাদেশ সীড্‌স প্রকল্পের অবদান অপরিসীম।  প্রধান শিক্ষীকা বলেন-এই ভাবে প্রতি স্কুলের শিক্ষাঙ্গন হোক আনন্দমুখর আর এটা সম্ভব হয়েছে সকলের অবস্হান থেকে সক্রিয় অংশগ্রহনের ফলে।  সকল শিশুর শিখন হোক আনন্দঘন পরিবেশে এই হোক আমাদেও সবার অঙ্গীকার।

স্টুডেন্ট কাউন্সিল সদস্যদের আয়োজনে ছড়া আবৃত্তি ও চিত্রাংকন প্রতিযোগীতা/২০১৬:

প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সৃজনশীলতা বিকাশের উদ্দেশ্যে বিরল উপজেলার ৪টি ইউনিয়নে সিডস প্রকল্পের সহযোগিতায় চলমান ১২ টি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে স্টুডেন্ট কাউন্সিল সদস্যদের আয়োজনে, বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সহযোগিতায় শিশু থেকে ৫ম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে সিড্‌স প্রকল্পের আয়োজনে বিভিন্ন সহ-পাঠ্যক্রমিক কার্যক্রম যেমন- ছড়া আবৃত্তি, ছবি আঁকা, রচনা প্রতিযোগীতা ও বিভিন্ন খেলাধুলার আয়োজন করা হয়।  অনুষ্ঠানে উপস্হিত ছিলেন এসএমসি কমিটির সদস্য, অভিভাবক, সেল্‌ফ রিলায়েন্ট গ্রুপ (এসআরজি) সদস্য বৃন্দ।  প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্হিত ছিলেন ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক সদস্য।  প্রতিযোগিতা শেষে বিজয়ীদের হাতে পুরুষ্কার তুলে দেন এমবাগ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি মুকিত হাসান চৌধুরী এবং সহকারী শিক্ষক জুলফিকার আলী ।  ছবি আঁকা ও খেলাধুলা শেষে খেলাধুলা গুলো পরিচালনার ক্ষেত্রে সার্বিক সহযোগীতা করেন বিদ্যালয়ের শিক্ষকবৃন্দ।  এমবাগ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৩য় শ্রেনির শিক্ষাথী লিলি ঋষি পুরষ্কার পাবার পর তার অনুভূতি প্রকাশ করে বলেন, “পুরুষ্কার পেয়ে আমি খুবই আনন্দিত কারন এই উপকরন টি আমি আমার পড়ালেখার কাজে ব্যবহার করব। ” সহকারী শিক্ষা অফিসার, বিরল জনাব আজিজার রহমান বলেন, “বিরল উপজেলার প্রকল্পভূক্ত বিদ্যালয়ে এই ধরনের খেলাধুলার আয়োজন করার জন্য উপজেলা শিক্ষা অফিসের পক্ষ থেকে, আরডিআরএস বাংলাদেশের  সিডস প্রকল্পকে ধন্যবাদ জানাই। ” অনুষ্ঠান শেষে বিজয়ী ছাত্র/ছাত্রীরা প্রধান অতিথির হাত থেকে পুরষ্কার প্রহন করে।

এসএমসি ওরিয়েন্টেশন ঃ

জুলাই/২০১৬ ইং নবাবগঞ্জ উপজেলায় মোট ১৫টি মুলস্রোতধারারসরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এসএমসি ওরিয়েন্টেশন অনুষ্টিত হয়।  এসএমসি ওরিয়েন্টেশন আলোচনায় চলে আসে কেন এই এসএমসি, এসএসসি কমিটির দায়িত্ব ও কর্তব্য, কোন পদেও দ্বায়িত্ব ও কর্তব্য কি এবং  কিভাবে কাজ করতে হয়, কিভাবে সভা আহববান করতে হয়, তার প্রক্রিয়, সভাার কোরাম পূরণ, এসএমসি সদস্যদের বাড়ী পরিদর্শন, বিদ্যালয়ে কিভাবে ভুমিকা পালন করবে ইত্যাদি বিষয়ে আলোচনা করা হয়।  উক্ত সামবেশ গুলোতে উপস্হিত ছিলেন সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক, সহকারি শিক্ষক,আরডিআরএস প্রতিনিধি, বিদ্যালয়ে সহকারি উপজেলা শিক্ষা অফিসার বৃন্ধ,উপজেলা শিক্ষা কমিটির সদস্যগণ।  ওরিয়েন্টেশনগুলো  পরিচালনা করেন উপজেলা শিক্ষা অফিসার/উপজেলা সহকারি শিক্ষা অফিসার বৃন্ধগণ।

ব্রিজ স্কুল:

ব্রিজ স্কুল এমন এক ধরনের উপ- আনুষ্ঠানিক শিক্ষা কেন্দ্র যেখানে ঝরেপড়া শিশুদের আধুনিক পদ্ধতিতে পাঠদান করে অগ্রগামী শিশুদের সমকক্ষ করে গড়ে তোলা হয় এবং এক পর্যায়ে তাদের মূলধারার শিক্ষা (প্রাথমিক বিদ্যালয়) কার্যক্রমে ফিরিয়ে দিয়ে তাদের শিক্ষা জীবনকে কাঙখিতভাবে চলমান রাখার প্রচেষ্ট চালানো হয় ।  প্রাথমিক শিক্ষা চক্র থেকে যে শিশু বিচ্যুত হয়েছে তাকে ব্রিজ স্কুলের কর্মকান্ডের মাধ্যমে মুলধারার স্কুলের সাথে সেতুবন্ধন করিয়ে দেওয়া হয় ।  যাতে শিশুরা কমপক্ষে প্রাথমিক শিক্ষা চক্র (৫ম শ্রেণী পর্যন্ত) সফলভাবে সম্পন্ন করতে পারে ।

ব্রিজ স্কুলের উদ্দেশ্য:

দরিদ্র এবং পান্তিক পরিবারের শিশু, যারা স্কুল থেকে ঝরেপড়ে, তাদের পুনরায় মুলধারার শিক্ষা কার্যক্রমে ফিরিয়ে নেওয়া ।

মুলধারার শিক্ষায় অন্তভর্ূক্তির পাশাপাশি স্কুলে টিকে থাকার জন্য সক্ষম করে গড়ে তোলা, যাতে করে প্রাথমিক শিক্ষা চক্র সম্পন্ন করের পরবর্ত্তী ধাপে শিক্ষা অর্জনের সুযোগ তৈরী করা। 

সুবিধা বঞ্চিত ঝরেপড়া  শিশুদের  নিয়ে এ প্রকলে্‌পর মাধ্যমে দিনাজপুর জেলায় মোট ১১ টি ব্রিজ স্কুল (বীরগঞ্জ - ২ টি, বিরল - ১ টি, বিরামপুর - ১ টি, নবাবগঞ্জ -৫ এবং ঘোড়াঘাট - ২ টি) চলমান রয়েছে ।   যেখানে  ১৪৬  জন শি¶াথর্ী (ছাত্র - ৬৮: ছাত্রী - ৭৮) নিয়ে জানুয়ারী /২০১৬ থেকে এ স্কুলের কাজ শুরু হয়েছে। 

ব্রিজ স্কুলে মা সভা ঃ

নবাবগঞ্জ উপজেলায়  আরডিআরএস বাংলাদেশ এর সিড্‌স প্রকল্প মাধ্যমে পরিচালিত  ৬ টি ব্রিজ স্কুল শিক্ষার্থীদের  মা-দের অংশ গ্রহনে অনুষ্ঠিত হয়  মা সভা।  সভায়  শিশুদের অগ্রগতি  পর্যালোচনা এবং শিশুদের কোন কোন বিষয়ে ঘাটতি আছে তা সুনিদির্ষ্ট করা হয়।  এই ঘাটতি পূরণের জন্য সুনিদিষ্ট পরিকল্পনা তৈরী করা হয়।  এ সভায় যে সব বিষয় আলোচনা করা তার মধ্যে  সন্তানদের নিয়মিত স্কুলের পাঠানো, বাড়ীতে নিয়মিত সন্ধ্যায় পড়তে বসানো, পুষ্টি চাহিদা পূরণ এছাড়া ও রক্ত সল্পতা কারণ এবং তা থেকে উত্তোরনের উপায় আলোচনা করা।  এ ছাড়াও জলাতংক রোগের  জীবানু কি, কোন কুকুরের কামড়ে জলাতংক রোগ হয়ে থাকে থাকে, কুকুর কামড়ালে আমাদের করণীয় বিষয়ে আলোচনা করা হয়।   সভায় খাবার আগে সাবান দিয়ে হাত ধোয়ার উপকারীতা সম্পর্কে আলোচনা করা হয়। 

কিশোরী বাগান ঃ

সিডস প্রকল্পের আওতায় দিনাজপুর জেলার ৫ টি উপজেলা (বীরগঞ্জ, বীরল, বিরামপুর, নবাবগঞ্জএবং ঘোড়াঘাট) ২১ টি সংলাপ ফোরাম এলাকা বাসীর অংশগ্রহন এবং এসএসটি কমিটির সহযোগীতায় সম্পন্ন হয়েছে।  এ সভার মাধ্যমে এখানে সকল কিশোরী  মাসে দুই বার একসাথে বসার সুযোগ হয়েছে।  বছরের শুরুতে সকল কিশোরীদের বাষির্ক কর্মপরিকল্পনা ও সুপারগার্লের তালিকা তৈরী করা হয়েছে।  সে অনুযায়ী কিশোরীরা মাসে দুবার বসে এবং সংলাপে শিক্ষনীয় বিষয়গুলো নিয়ে তাদের মধ্যে আলাপ আলোচনা হয় যাতে সবাই বিষয়গুলো ভালভাবে জানতে ও চর্চা করতে পারে।  কিশোরী এবং এলাকাবাসী সবাই মিলে প্রত্যেকটি কিশোরী বাগানে বাল্য বিবাহ প্রতিরোধ,স্বাস্হ্যসম্মত পায়খানা ব্যবহার,মাদক সেবন প্রতিরোধ বিষয়ে র্যালী ও আলোচনা সভা সম্পন্ন  করেছে।  এছাড়া কিশোরীদের স্ব-উদ্যোগে জাতীয় দিবস ও আদিবাসীদের বিভিন্ন দিবস গুলো স্হানীয় ও উপজেলা পর্যায় অংশগ্রহনের মাধ্যমে উৎযাপন করেছে।  এলাকায় জনসচেতনা সৃষ্টির জন্য অনেক সময় বিভিণ্ন নাটক উপস্হাপন করে থাকে।  এই সমস্ত কার্যক্রম পরিচালনার ফলে কিশোরীরা যেমন নিজে অনেক বিষয় জানতে পারছে তেমনি পরিবার এবং এলাকায় প্রভাব  পরেছে।  মহান স্বাধীনতা দিবস উৎযাপন উপলক্ষে কিশোরীদের বিভিন্ন খেলাধুলা ও পুরুস্কার বিতরন অনুষ্ঠান কেন্দ্র ভিত্তিক হয়েছে।  কিশোরীদের দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য একটি বিষয়ের উপর বিতর্ক প্রতিযোগীতা অনুষ্ঠান কেন্দ্র পযর্ায়ে অনুশীলন করার ফলে কিশোরীদের মধ্যে আত্নবিশ্বাস তৈরী হয়েছে ।

কিশোরী আইজিএ (কিশোরী বাগান ) :

সংলাপ গ্রেজুয়েট কিশোরীদের পেশাগত দ¶তা বৃদ্ধি ও আত্মনির্ভরশীল করার জন্য বিভিন্ন পেশায় যেমন: হাঁস-মুরগী / গরুছাগল পালন, দর্জি, ম্যাট তৈরী, সহ বিভিন্ন বিষয়ে দ¶তামূলক কাজের জন্য ঋণ প্রদান করা হয়।  বিগত ২০১৫ সালে সংলাপ গ্রেজুয়েট কিশোরীদের ম্যাট তৈরী, শুকরপালন, সবজিচাষ, গরু ও ছাগল পালনের জন্য প্রকল্প কর্মএলাকায় সূদমুক্ত ঋণ বিতরনের কার্যক্রম সম্পন্ন হয়েছে ।  এ প্রান্তিকে পর্যন্ত প্রকল্পভ্হক্ত ৪ টি উপজেলা (বিরামপুর, বীরগঞ্জ, বীরল এবং ঘোড়াঘাট) ১২ টি কিশোরী বাগানের  মাধ্যমে ৬৩ জন কিশোরীর মধ্যে ২,৬০,০০০/- টাক িঋণ বিতরণ করা হয়েছে এবং সুদ মুক্ত কিস্তি উত্তোলন অব্যহত রয়েছে ।  কিশোরীরা আয়বৃদ্ধিমূলক কাজে অংশগ্রহন করে একদিকে যেমন নিজের ব্যয় নির্বাহ করছে অপরদিকে পরিবারের অর্থনৈতিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করছে। 

ঘোড়াঘাট উপজেলায় কিশোরীদের মাঝে ঋণ বিতরণ:

আরডিআরএস বাংলাদেশ সিডস প্রকল্পের অধীনে কিশোরী ক্ষমতায়ন কর্মসূচীর আওতায় দাতা সংস্হা স্ট্রমি ফাউন্ডেশনের অথর্ায়নে ঘোড়াঘাট উপজেলার পালশা,সিংড়া,ঘোড়াঘাট ও বুলাকীপুর ইউনিয়নের  ৩৪ জন কিশোরীর মাঝে মোট ১,৫২,০০০/=বিভিন্ন আয় বৃদ্ধিমুলক কাজের জন্য ঋন বিতরন করা হয়।  ঋণ গ্রহনকারী কিশোরীরা হাঁস-মুরগী পালন, ছাগল-ভেড়া পালন, শুকর পালন,ক্ষুদ্র ব্যবসা প্রভৃতি আয় বৃদ্ধিমুলক কাজের মাধ্যমে বাড়তি আয় করে নিজেদের পরিবারের ব্যয় কমাতে আশাবাদী।  সাংলাপ কিশোরী অলিভিয়া হেমব্রম বলেন, ঋনের টাকা নিয়ে ছাগল পালন করছি,ভবিষ্যতে ছাগলের খামার করে পরিবারের সচ্ছলতা ফিরে আনতে চাই ।  এসআরজি সদস্য ভেলেন্টিনা তিরকি বলেন,কিশোরীদের আয়মুলক কাজে প্রশিক্ষন দিয়ে ঋন প্রদান করার ফলে পরিবারের আয় বৃদ্ধির পাশাপাশি সমাজে সম্মানও বাড়বে।

ঐক্য বদ্ধ হচ্ছে কিশোরীরা ঃ

সংলাপের এক বছর মেয়াদী কোর্ষ শেষ হওয়ার পর সংলাপের বিষয় ভিক্তিক জ্ঞান গুলোকে  র্চচা,নতুন কিশোরীদের সংলাপের বিষয় শেখানো পাশাপাশি সামাজিক দ্বায়বদ্ব তৈরী এবং কিশোরীদের নেতৃত্ব দক্ষতা তৈরী জন্য বীরগঞ্জ উপজেলায়  বাঘঘিরা  গ্রামে কিশোরাী সংলাপ ২ পরিচালিত।  সংলাপ ২ এর বিষয় ভিক্তিক অনুশীলনের পাশাপাশি সময় উপযোগি সামাজিক ইস্যু নিয়ে আলোচনা করে।  বাঘঘিরা কিশোরীরা নিজেদের আরো সুসংগঠিত করার জন্য তুলশীপুর কিশোরীদের সাথে মতবিনিময় সভা করে সেই অনুষ্ঠানে মোহনপুর ইউনিয়ন পরিষদের ফেডারেশনের নেত্রীদের আহবান করে নিজেদের ফেডারেশনের সহযোগিতা ও এক সাথে কাজ করার  আহবান জানানো হয়।  উক্ত মতবিনিময় অনুষ্ঠানে ফেডারেশনের নেত্রী প্রনতি মুর্মু বলেন বিভিন্ন সামাজিক উন্নয়ন মূলক কাজ করার জন্য এবং ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যদের  সাথে যোগাযোগ করে আমরা একযোগে কাজ করব এতে করে সরকারী বেসরকারী বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা অদায় সহ নানাধরনের তথ্য সুবিধা ভোগ করব।  উক্ত অনুষ্ঠানে উপস্হিত ছিলেন-১০নং মোহনপুর  ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য জনাব রইসুল ইসলাম।  কিশোরীদের উদ্দ্যেশে তিনি বলেন “আজকের কিশোরীদের এই ছোট্ট সংলাপ ফোরাম আগামিতে সমাজ ও দেশের উন্নয়নে বড় ভুমিকা রাখবে”।                                          

পরিবার উন্নয়ন পরিকল্পনা (এফডিপি)

দিনাজপুর জেলার ৫ টি উপজেলা (বীরগঞ্জ, বিরল, বিরামপুর নবাবগঞ্জ এবং ঘোড়াঘাট ) ২২ টি  ইউনিয়নের আদিবাসী ৬০০০ আদিবাসী পরিবার নিয়ে আগামী ২০১৪ - ২০১৮ পরিবার উন্নয়ন পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা হবে ।  প্রাথমিকভাবে পরিবারের বাড়ী বাড়ী গিয়ে বাস্তবে তাদের সাথে কথা বলার মাধ্যমে প্রাথমিক পযর্ায় পরিবারের তথ্য সংগ্রহ  করা হয় এবং  পিপিআই (চড়াবৎুঃ চৎড়মৎবংং ওহফরপধঃড়ৎ) ফরমেট পুরন করা হয়।  এখান থেকে ৬০০০ টি পরিবাররের পিপিআই ফরমেট পুরন এর মাধ্যমে প্রাথমিকভাবে এ সব পরিবারগুলোকে প্রকল্পভ্হক্ত করা হয় ।  এ সব পরিবারের বেসলাইন এর মাধ্যমে পরিবারগুলোকে স্হায়ীভাবে প্রকল্পভ্হক্ত করা হয় ।  এসব পরিবার কে আগামী ২০১৮ সাল পর্যন্ত তাদের মাধ্যমে প্রস্তুতকৃত পরিবার উন্নয়ন পরিকল্পনা বাস্তবায়ন সহায়তা করা হবে । 

বেইজলাইন সম্পন্ন করার পর পরিবার উন্নয়ন পরিকল্পনার কাজ চলছে এক্ষেত্রে দুটি পর্যায় সম্পন্ন হচ্ছে একটি হলো আদিবাসী কমিউনিটি পর্যায় মিটিং অন্যটি হলো পরিবার উন্নয়ন পরিকল্পনা প্রস্তুত ।  এ পর্যন্ত ৬০০০ পরিবারের মধ্যে  ৩০ শে সেপ্টেম্বর/২০১৬ খ্রী: তারিখ পর্যন্ত ৬০০০ (বীরগঞ্জ - ৭০০, বিরল - ৭০০ বিরামপুর - ১২০০ এবং ঘোড়াঘাট -  ১২৭৭, এবং নবাবগঞ্জ -  ২১২৩) টি পরিবারের পরিবার উন্নয়ন পরিকল্পনা রিভিউ করা হয়েছে।  উল্লেখ্য ২০১৫ সালের অক্টোবর মাস থেকে শুরু হওয়া নবাবগঞ্জ উপজেলার ২১২৩ পরিবারের মধ্যে ২১২৩ টি পরিবারের এফডি পি সম্পন্ন হয়েছে এবং পরিবার ভিত্তিক এসব পরিকল্পনা বাস্তবায়ন চলছে।   এ প্রান্তিকে এ পর্যন্ত ৫০২  টি (বীরগঞ্জ - ৬৫, বিরল - ৫৮ বিরামপুর - ৯২ এবং ঘোড়াঘাট -  ১১২, এবং নবাবগঞ্জ -  ১৭৫) আত্ননিভৃরশীল দল (এসআরজি) গঠন করা হয়েছে ।  উল্লেখ্য এ প্রান্তিকে এসআরজি এর সসন্বয়ে ৬৩ টি ওয়ার্ড কমিটি গঠন করা হয়েছে ।

উপস্হাপণ দক্ষতা উন্নয়ন বিষয়ক প্রশিক্ষণ ঃ

বিরল উপজেলায় চারটি ইউনিয়নে চলমান ৫৮ টি আত্ননির্ভর দলের প্রত্যেক দল থেকে ৩ জন করে সদস্য (সভাপতি,সেক্রেটারী এবং সিএফ) মোট ১৭৪ জন সদস্যদের নিয়ে ১৩ টি ব্যাচে  ৪ টি ইউনিয়নের ১৩ টি ভেনুতে  ১ দিন ব্যপি উপস্হাপন দক্ষতা উন্নয়ন বিষয়ক প্রশিক্ষণ স্হানীয় পর্যায় অনুষ্ঠিত হয়।  প্রশিক্ষণে অংশগ্রহন কারীদের উপস্হিতি ছিল চোখে পড়ার মত।  প্রশিক্ষণ সমুহ পরিচালনা করেন সংশ্লিষ্ঠ ইউনিয়নের ফিল্ড ফ্যাসিলিটেটর গন এবং সার্বিক সহযোগীতা করেন উপজেলা ম্যানেজার ।  এই প্রশিক্ষণ সমুহ পরিচালনার পূর্বে প্রশিক্ষণ সিডিউল তৈরী করা হয় এবং  ফ্যাসিলিটেটরদের নিয়ে উপজেলা ম্যানেজার উপস্হাপনার কৌশল সর্ম্পকে প্রস্তুতি গ্রহন করেন এবং সে মোতাবেক  ফিল্ড পর্যায় প্রশিক্ষণ পরিচালনা করা হয়।  বিশেষ করে দলের দল সহায়ক (সিএফ) প্রশিক্ষণে অংশগ্রহন করতে পেরে নিজেকে অনেক দক্ষ মনে করছে কারন এখানে উপস্হাপন কৌশল শেখানো হচ্ছে যা তাদের  দলের কাজে লাগবে।

প্রস্তাবিত ওয়ার্ড কমিটি গঠন প্রক্রিয়া ঃ

সর্বোচ্চ ৫ টি দল (এসআরজি) নিয়ে ওর্য়াড কমিটি গঠন প্রক্রিয়া অংশগ্রহন করতে পারবে। 

প্রতিটি দল থেকে সর্বোচ্চ ৪ জন (৩ জন নারী এবং ১ জন পুরুষ) করে নির্বাচন প্রক্রিয়ায় প্রতিনিধিত্ব করতে পারবে।

কিশোরী বাগান / সংলাপ - ২ (যদি থাকে ) হতে ১ জন কিশোরী প্রতিনিধি নির্বাচন প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহন করতে পারবে।

ওয়ার্ড কমিটির কর্যকরী সদস্য ৭/৯ জন বিশিষ্ট হলেই উত্তম হবে।

পদ সমূহ- সভাপতি ১ জন, সম্পাদক ১ জন, ক্যাশিয়ার ১ জন,  প্রচ

Women's Rights

নারীদের অধিকার সংরক্ষণ, ক্ষমতায়ন ও জেন্ডার সমতায়নের পাশাপাশি কর্মএলাকায় সুবিধা বঞ্চিত, নির্যাতনের শিকার নারী ও শিশুদের দোরগোড়ায় ন্যায় বিচার পৌছানোর নিমিত্তে ১৯৭২ সাল থেকে আরডিআরএস বাংলাদেশ কাজ করে যাচ্ছে।

আরডিআরএস বাংলাদেশ এর নারী অধিকার ইউনিট কর্ম এলাকায় আইন শিক্ষা প্রদান, প্রশিক্ষণ, কর্মশালা, সেমিনার, মতবিনিময় সভা, গণশুনানি, গ্রামীণ চলচ্চিত্র প্রদর্শনী, গণ নাটক, লোক সঙ্গীত ও বিভিন্ন প্রকাশনার মাধ্যমে সচেতনতা বৃদ্ধি  এবং বিভিন্নভাবে নির্যাতনের শিকার নারী ও শিশুদের চিকিৎসা সহায়তা, আইনী সহায়তা প্রদান এবং পূর্নবাসনে ফেডারেশন এনজি ও নেটওর্য়াক ও পেশাজীবি ফোরামের সহযোগিতায় সক্রিয়ভাবে কাজ করে যাচ্ছে।  এরই ধারাবাহিকতায় আরডিআরএস বাংলাদেশ দিনাজপুর এর নয়টি উপজেলায় বিভিন্ন ধরনের কার্যক্রম বাসতবায়ন করে আসছে।  বাংলাদেশের অন্যান্য জেলার ন্যায় দিনাজপুর জেলার বিভিন্ন প্রত্যনত অঞ্চলের নারী ও শিশুদের অবস্হা তুলনামূলকভাবে পশ্চাদপদ।  সরকারী এবং বে-সরকারী উন্নয়ন সংস্হাগু্রলোর কর্মপ্রয়াস পরিচালনা সত্বেও গ্রামাঞ্চল গুলোতে শিশূ ও নারীর সাধারণ মৌলিক অধিকার সমূহ খুব কমই যথাযথভাবে সংরক্ষিত হয়।  ফলে নারী নির্যাতন, শিশু বিবাহ, শিশূ পাচার এক অন্যতম সমস্যা তেমনি নারীদের  ক্ষেত্রে  বিরাজমান লিঙ্গ বৈষম্য, যৌতুক, তালাক, শারিরীক ও মানসিক নির্যাতন, এসিড সন্ত্রাস, অপহরণ, ধর্ষণ অনেক বেশী প্রকট।  এসব সমস্যা নারী-শিশু অধিকার প্রসারতায় প্রধানতম বাধাঁ হয়ে দাড়িয়েছে।  অথচ দেশের সার্বিক উন্নয়ন এবং উন্নয়ন প্রক্রিয়ায় তাদের অংশগ্রহণ একানতভাবে বাঞ্চনীয়।  স্হায়িত্বশীল ও সমৃদ্ধ উন্নয়নে এর কোন বিকল্প নেই।

বার্ষিক পরিকল্পনা অনুযায়ী প্রতিবেদনকালে (জুলাই হতে সেপ্টেম্বর, ২০১৬) নারী অধিকার ইউনিটের আওতায় যে সকল কার্যক্রম বাস্তবায়িত হয়েছে তা নিম্নে তুলে ধরা হলো। আমরা আশাকরি, ত্রৈমাসিক লক্ষমাত্রা অনুযায়ী সকল কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করা হইয়াছে যা কর্মএলাকার গরীব মানুষের উন্নয়নে ভুমিকা রাখতে সক্ষম হবে।  প্রতিবেদনকালে বাস্তবায়িত কর্মকান্ড ঃ

১.নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধে  পেশাজীবি ফোরামের সভা ঃ

নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধে উপজেলা পেশাজীবি ফোরামের সভা  ১৮/৯/২০১৬ তারিখে জেলা পর্যায় ও ২২/০৯/২০১৬ তারিখে বিরল উপজেলায় পেশাজীবী ফোরামের সভা অনুষ্ঠিত হয়।  সভায় ফোরামের কার্যক্রম, ফোরামের পরবর্তী কার্যক্রম, নারী নির্যাতন ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধে আরো করণীয় সম্পর্কে আলোচনা করা হয়।   সিডও সনদ নিয়েও আলোচনা করা হয়।  তারা আরো বলেন, বিভিন্ন ঝুঁকিপূর্ণ কাজে শিশুরা নিয়োজিত।  এতে শিশুরা যেমন শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হয়, তেমনি তাদের সুস্হ্য বিকাশ বাধাগ্রস্হ হয়।  এ বিষয়ে অভিভাবকদের সচেতন করতে হবে।  এছাড়া বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে প্রশাসনকে আরো স্বোচ্চার হতে হবে এবং ফোরামের সকল সদস্য এ বিষয়ে প্রশাসনকে অবগত করবে এবং নিজেরাই সচেতনতা বৃদ্ধিতে আরো উদ্যোগি হবে। 

২.বাল্যবিবাহ  ও শিশু শ্রম প্রতিরোধ বিষয়ে আলোচনা সভা ঃ

জেলা পেশাজীবি ফোরামের উদ্যেগে বাল্যবিবাহ ও শিশু শ্রম প্রতিরোধ বিষয়ে ২১/০৯/২০১৬ তারিখে পশ্চিম বালুয়াডাঙ্গায় আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।  সভায় ১৪ জন নারী ও ১৩ জন পুরুষ অংশগ্রহণ করেন।

Community Health

ইউনিয়ন পরিষদ শিক্ষা স্বাস্হ্য ও পরিবার পরিকল্পনা ষ্টান্ডিং কমিটির সভা

২০ আগষ্ট ২০১৬ আরডিআরএস বাংলাদেশ সামাজিক স্বাস্হ্য প্রকল্পের আওতায় দিনাজপুর জেলার বোচাগঞ্জ উপজেলার ইশানিয়া ইউনিয়ন পরিষদ শিক্ষা স্বাস্হ্য ও পরিবার পরিকল্পনা ষ্টান্ডিং কমিটির দায়িত্ব ও কর্তব্য বিষয়ে অবহিতকরণ সভা অনুষ্ঠিত হয় ইশানিয়া ইউনিয়ন ফেডারেশনে।  উক্ত সভায় সভাপতিত্ব করেন ইউনিয়ন পরিষদ শিক্ষা স্বাস্হ্য ও পরিবার পরিকল্পনা ষ্টান্ডিং কমিটির সভাপতি জনাব আনজুয়ারা।  আলোচনা সভায় ইউনিয়ন পরিষদের ষ্টান্ডিং কমিটির দায়িত্ব ও কর্তব্য বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়।  এ ছাড়া ষ্টান্ডিং কমিটির মিটিং দুই মাস পর  করতে হবে ,ইউনিয়ন পর্যয়ে স্বাস্হ্য সেবার মান কিভাবে বৃদ্ধি করা যায় সে বিষয়ে মাসিক মিটিং এ ইউনিয়ন পরিষদকে অবহিত করতে হবে।  ষ্টান্ডিং কমিটিতে কি জন্য কো আপ সদস্য নেওয়া প্রযোজন এবং তাদের কাজ কি হবে সেবিষয়ে বিস্তারিত আলোটনা করা হয়।  উক্ত আলোচনায় সভায় ষ্টান্ডিং কমিটির সকল সদস্য ছাড়াও প্রাধান আতিথি হিসেবে উপস্হিত ছিলেন জনাব তপন কুমার সাহা।  পিএম (এফ সি) আরডিআরএস বাংলাদেশ দিনাজপুর।  প্রাধান আতিথি কমিটির সকল সদস্যদের কাছে প্রস্তাব রাখেন যে উক্ত ইউনিয়নে হেল্‌থ কার্ড চালুকরা যায় কিনা।

Agriculture & Environment

কৃষি ও কৃষকের  জীবন মান উন্নয়নে এবং নারীদের কর্মসংস্হানের সৃষ্টির লক্ষ্যে আরডিআরএস বালাদেশ কৃষি ও পরিবেশ ইউনিট কৃষক ফোরামের মাধ্যমে কাজ করে আসছে।  দিনাজপুর জেলার ২ টি উপজেলায় ৪ টি ফেডারেশনের মাধ্যমে এই কাজটি বাসতবায়িত হচ্ছে।  সদর উপজেলার আউলিয়াপুর ইউনিয়ন ফেডারেশন ও শেখপুরা ইউনিয়ন ফেডারেশন এবং বীরগঞ্জ উপজেলার মোহনপুর ইউনিয়ন ফেডারেশন ও ভোগনগর ইউনিয়ন ফেডারেশন।  এই ৪টি ফেডারেশনের মাধ্যমে ৪০টি কৃষক মাঠ স্কুল গঠন করা হয়েছে, যেখানে ১১৮০ জন সদস্য রয়েছে।  উক্ত ৪০ টি কৃষক মাঠ স্কুলের মাধ্যমে ১১৮০ জন সদস্যকে মাঠ পযর্ায়ে হাতে কলমে  কৃষি বিষয়ক নতুন নতুন টেকনোলজি বিষয়ে কৃষকদের দক্ষতা উন্নয়নে  কাজ করছে।  পাশাপাশি শস্যনিবিরতায় একই জমিতে ৪ ফসল উৎপাদন, ভারমি কম্পোস্ট এর মাধ্যমে সবজী বাগান, ধান ক্ষেত, মাছ চাষ, ছোট পুকুরে গিপ্ট তেলাপিয়া মাছ চাষ, কমিউনিটিতে ধান ব্যাংক ও গবাদি পশুকে টিকা প্রদান ইত্যাদি বিষয়ে কাজ করছে।  এ সকল কার্যক্রম কৃষক ফোরামের মাধ্যমে করার ফলে সদস্যদের সরকারী সেবা গ্রহণের সক্ষমতা বৃদ্ধি পেয়েছে।  আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে পশ্চাদপদতা, প্রাকৃতিক দূর্যোগ, পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তনসহ বিভিন্ন কারনে দূর্যোগ মোকাবেলায় মানুষের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে কৃষি ও পরিবেশ  ইউনিট।  দূযোগ মোকাবেলায় জরুরী ত্রাণ সরবরাহ ও পূর্নবাসনে এই ইউনিট নিরলসভাবে  কাজ করে যাচ্ছে।  পাশাপাশি জলবায়ু পরিবর্তন ও দূর্যোগ ব্যবস্হাপনা বিষয়ে প্রশিক্ষণ প্রদান,পথ নাটক/ ফোরাম থিয়েটার নাটক, গণসংগীত ও বিভিন্ন প্রচার মাধ্যমে গণ সচেতনতার উপর ও কাজ করে যাচ্ছে।  বার্ষিক পরিকল্পনা অনুযায়ী প্রতিবেদনকালে (জুলাই হতে সেপ্টেম্বর, ২০১৬) কৃষি ও পরিবেশ ইউনিটের আওতায় যে সকল কার্যক্রম বাসবায়িত হয়েছে তা নিম্নে তুলে ধরা হলো।

আমরা আশাকরি, ত্রৈমাসিক লক্ষমাত্রা অনুযায়ী সকল কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করা হয়েছে যা কর্মএলাকার কৃষি উন্নয়নে ভুমিকা রাখতে সক্ষম হবে।

প্রতিবেদনকালে বাস্তবায়িত কর্মকান্ড ঃ

১. ধান ক্ষেতে মাছ চাষ ঃ

প্রতিবেদন কালে গত ২১/০৭/২০১৬ ইং তারিখে বোচাগঞ্জ উপজেলার নাফানগর ইউনিয়নে মোট ৫ জন সদস্যের মাঝে ধান ¶েতে মাছ চাষের উপর প্রশি¶ণ ও পোনা বিতরন করা হয়।  উপস্হিত ছিলেন নাফানগর ইউনিয়ন কৃষক ফোরাম সভাপতি মো: আব্দুল মালেক ও সৈয়দা নাজমা পারভীন, কৃষি কর্মকর্তা আরডিআরএস বাংলাদেশ দিনাজপুর।

২. ছোট পুকুরে তেলাপিয়া মাছ চাষ ঃ

প্রতিবেদনকালে গত ২৪/৭/২০১৬, ২৫/৭/২০১৬ ও ২৭/৭/২০১৬ তারিখে সদর উপজেলার শেখপুরা ইউনিয়নের, গোপালপুর (গাবুড়া) ০৪ জন, কাহারোল উপজেলার মুকুন্দপুর ইউনিয়নের বিক্রমপুর গ্রামের ০৩ জন, বোচাগঞ্জ উপজেলার নাফানগর ইউনিয়নের ডহরা গ্রামের ০৬ জন, ছাতইল ইউনিয়নের বনহারা গ্রামে ০১ জন এবং চেংগন ইউনিয়েনর ০১ জন সদস্যকে তেলাপিয়া মাছ চাষ প্রশি¶ণ ও ২৬-২৭/৭/২০১৬ ইং তারিখে পোনা বিতরন করা হয়।  উপস্হিত ছিলেন নাফানগর ইউনিয়নের কৃষক ফোরামের সভাপতি আব্দুল মালেক, অন্যান্য কৃষকগণ, সৈয়দা নাজমা পারভীন, কৃষি কর্মকর্তা, আরডিআরএস বাংলাদেশ, দিনাজপুর।

৩. এসআরআই প্রদর্শনী ঃ

প্রতিবদেন কালে গত ১৭/০৭/২০১৬ ইং তারিখে বোচাগঞ্জ উপজেলার ছাতইল ইউনিয়নের বনহারা, চেংগন গ্রামের ১৩ জন, নাফানগর ইউনিয়নের ডহরা গ্রামের ১৭ জন মোট ৩০ জন কৃষককে এসআরআই প্রশি¶ণ প্রদান করা হয়।  এবং ব্রিধান-৬২ এসআরআই পদ্ধতিতে ৩০টি প­ট স্হাপন করা হয়।  উপস্হিত ছিলেন ফেডারেশন সভাপতি কৃষক ফোরাম সভাপতি সৈয়দা নাজমা পারভীন, কৃষি কর্মকর্তা, আরডিআরএস বাংলাদেশ, দিনাজপুর।

৪. গবেষণা ও শি¶ণ প্লট ঃ

প্রতিবেদন কালে গত ২৮/০৭/২০১৬ ইং তারিখে বাদশাভোগ, চীনা আতপ, জিরা কাঠারী, কাঠারীভোগ, কালোজিরা, চিনিগুড়া ধান এবং ৩০/০৭/২০১৬ ইং তারিখ ব্রিধান-৫৬, ব্রিধান-৫৭, ব্রিধান-৬৬, ব্রিধান-৭১ জাতের ধানের উপর শি¶ন প­ট তৈরি করা হয়।  উপস্হিত ছিলেন ফেডারেশন সভাপতি এবং কৃষক ফোরাম সভাপতি ও সৈয়দা নাজমা পারভীন, কৃষি কর্মকর্তা, আরডিআরএস বাংলাদেশ, দিনাজপুর। 

৫. খরা সহিষ্ণু ব্রিধান-৫৬ঃ

প্রতিবেদন কালে গত ০৮/০৭/২০১৬ ইং তারিখে বোচাগঞ্জ উপজেলার ডহরা ৫০ জন কৃষকের মাঝে ব্রিধান-৫৬ এর বীজ বিতরণ করা হয়।  উপস্হিত ছিলেন ফেডারেশন সভাপতি এবং কৃষক ফোরাম সভাপতি ও সৈয়দা নাজমা পারভীন, কৃষি কর্মকর্তা, আরডিআরএস বাংলাদেশ, দিনাজপুর। 

৬. প্রাণী সম্পদ ভ্যাকসিনেশন কর্মসূচীঃ

প্রতিবেদন কালে গত ১৮/০৮/২০১৬ ইং তারিখে বোচাগঞ্জ উপজেলা ছাতইল ইউনিয়নের বনহারা এবং খোদ্য নারায়নপুর এক হাজার গর“ ও এক হাজার ছাগলকে তরকা ও পি পি আর রোগের ভেকসিন দেওয়া হয় আদিবাসী এলাকায়।  এ সময় উপস্হিত ছিলেন বোচাগঞ্জ উপজেলার ছাতইল ইউনিয়ন ফেডারেশনের সেক্রেটারী মো: আব্দুল বাছেদ এবং ক্যাশিয়ার মো: সহিদুর রহমান।  ভ্যাকসিনেশন প্রয়োগ করেন উপজেলা প্রানি সম্পদ সহকারী মোঃ জহুর“ল ইসলাম।  সৈয়দা নাজমা পারভীন, কৃষি কর্মকর্তা, আরডিআরএস বাংলাদেশ, দিনাজপুর।

৭. গ্রামীণ বিক্রয় ও সেবা কেন্দ্রঃ

প্রতিবেদন কালে গত ২২/০৯/২০১৬ ইং তারিখে বোচাগঞ্জ উপজেলার নাফানগর ইউনিয়নের গ্রামীণ বিক্রয় ও সেবা কেন্দ্র মিটিং এবং গ্র“প তৈরি করা হয়।  উক্ত মিটিংএ উপস্হিত ছিলেন নাফানগর ফেডারেশন সভাপতি, কৃষক ফোরাম সভাপতি, র“রাল সেলস্‌ সার্ভিস সেন্টার এর সভাপতি, অন্যান্য কৃষকগণ ও সৈয়দা নাজমা পারভীন, কৃষি কর্মকর্তা, আরডিআরএস বাংলাদেশ, দিনাজপুর।

৮. বৃ¶ রোপনঃ

প্রতিবেদন কালে গত ৩০/০৭/২০১৬ বিরল উপজেলার মঙ্গলপুর গ্রামে ও ০৬/০৯/২০১৬ ইং তারিখে বোচাগঞ্জ উপজেলা আটগাঁ গঙ্গাপুর যুব ফোরামের জমিতে ৬০০টি বনজ ও ঔষধী গাছের চারা রোপন করা হয়।  ১) মেহগনি ৪০০ টি ২) নিম ২০০ টি।   উপস্হিত ছিলেন মোঃ মমিনুল হক, আটগাঁ ফেডারেশন সভাপতি সাধারন সম্পাদক সুরেশ চন্দ্র রায় ক্যাশিয়ার আমিন চাঁদ, মঙ্গলপুর যুব ফোরামের সভাপতি, যুব ফোরামের সদস্যবৃন্দ ও সৈয়দা নাজমা পারভীন, কৃষি কর্মকর্তা, আরডিআরএস বাংলাদেশ, দিনাজপুর।

৯.  ফলদ ও বনজ বৃ¶ মেলা ২০১৬ ঃ       

প্রতিবেদন কালে গত ০২-১৪/০৮/২০১৬ইং তারিখে “জীবিকার জন্য গাছ, জীবনের জন্য গাছ” প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে দিনাজপুর গোরা শহীদ বড়মাঠে ফলদ ও বনজ বৃ¶ মেলা উদ্বোধন করেন দিনাজপুর জেলা প্রশাসক মীর খায়র“ল আলম।  উদ্বোধন শেষে আরডিআরএস বাংলাদেশে এর স্টোল পরিদর্শন করেন, জেলা প্রশাসক মীর খায়র“ল আলম, জনাব মোঃ গোলাম মোস্তাফা, উপপরিচালক, কৃষি সমপ্রসারণ অধিদপ্তর খামার বাড়ী।  পুলিশ সুপার মোঃ র“হুল আমিন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোঃ আবু রায়হান মিয়া, বিভাগীয় বন কর্মকর্তা, মোঃ আউয়াল সরকার দিনাজপুর শাখার সাধারন সম্পাদক মোঃ সাখাওয়াত হোসেন।  সৈয়দা নাজমা পারভীন, কৃষি কর্মকর্তা, আরডিআরএস বাংলাদেশ, দিনাজপুর।

ফলাফল ঃ

(১) ধান ¶েতে মাছ চাষ এবং পুকুরের তেলাপিয়া মাছ চাষ করে, আমিষের ঘাটতি পুরন সম্ভব হয়েছে।  সিমিত সম্পদের সুষ্টু ব্যবহার করতে পেরেছে ৩০ জন কৃষক।

(২) প্রাণি সম্পদ তরকা, পিপিআর, ভ্যাকশিন দেওয়ার ফলে গুর“ ছাগলের রোগ মুক্ত করা সম্ভব হয়েছে।  ১০০০ গর“ ও ১০০০ ছাগল।

(৩) বৃ¶ রোপনের মাধ্যমে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় পদ¶েপ গ্রহণ করা হয়েছে।  ফল উৎপাদনের মাধ্যমে পুষ্টির চাহিদা পুরন হবে।

শি¶াণীয়ঃ

স্বল্প মেয়াদী দান চাষ করতে হবে ফলে আগাম ফসল পাওয়া যাবে এবং আগাম রবি শষ্য চাষ করা যাবে। 

চ্যালেঞ্জ/বাঁধাঃ

কৃষকের নতুন প্রযুক্তি খাপ খায়না।

জলাবায়ু পরিবর্তনের কারনে ফসল উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। 

উপজেলা ওয়াইছ কৃষকের চাহিদা অনুযায়ী শষ্য নির্বাচন করা। 

কৃষি জমিতে ইঁদুরের উপদ্রব, তাতে কৃষকেরা ¶তি গ্রস্হ হয়।  

সুপারিশঃ সরকারী ও বেসরকারী প্রতিষ্ঠানের সাথে কৃষকদের যোগাযোগ করতে হবে।

সরকারী ও বেসরকারী প্রতিষ্ঠানের সাথে আরডিআরএস এর সম্বনয় বৃদ্ধি করা।

কৃষকের  প্রশি¶ণ বাড়াতে হবে।

Social Organization

আরডিআরএস বাংলাদেশ ২০০৬ ইং সাল থেকে দিনাজপুর ইউনিটের আওতায় অত্র জেলার ৯টি উপজেলার (দিনাজপুর সদর, কাহারোল, বোচাগঞ্জ, বীরগঞ্জ, বিরল, ঘোড়াঘাট, হাকিমপুর, বিরামপুর ও ফুলবাড়ী, ) দরিদ্র ও অবহেলিত, সুযোগ সুবিধা ও অধিকার বঞ্চিত জনগনকে সংগঠিত করে তাদের আর্থ-সামাজিক অবস্হা ও অবস্হানের উন্নয়নে বিভিন্ন সেবামূলক কার্যক্রম বাসড়বায়ন করে আসছে।  এছাড়াও দরিদ্র মানুষের ¶মতায়ন, মানবাধিকার, গণতন্ত্র ও সুশাসন প্রতিষ্ঠা, দূযের্াগ মোকাবেলা, নারী অধিকার, নারীর ¶মতায়ন ইত্যাদি বিষয়কে সামনে রেখে দরিদ্র মানুষের সংগঠন ইউনিয়ন ফেডারেশনের কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।  যাতে করে গ্রামীণ দরিদ্র মানুষ তাদের নিজেদের সমস্যা নিজেরাই চিহ্নিত, উপস্হাপন ও সমাধান করতে এবং অধিকার আদায় করতে পারে।  ৯টি উপজেলার ৪৩ টি ইউনিয়নে গঠন করা হইয়াছে  ৪৩ টি ইউনিয়ন ফেডারেশন।  এই সব ফেডারেশনকে শক্তি শালী করার জন্য ২০১৬ সালে বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কার্যক্রম বাসড়বায়িত করা হয়েছে।  উক্ত বাসতবায়িত কার্যক্রমের তৃতীয় কোয়াটারের (জুলাই-সেপ্টেম্বও, ২০১৬) সংখ্যাগত ও বর্ণনামূলক প্রতিবেদন  তুলে ধরা হলো। 

আমরা আশাকরি, বার্ষিক ল¶মাত্রা অনুযায়ী সকল কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করা হয়েছে যা অত্র জেলার কর্মএলাকার গরীব মানুষের উন্নয়নে ভুমিকা রাখতে স¶ম হবে।  ল¶্যমাত্রা অনুযায়ী অর্জন সমুহঃ

১.ফেডারেশনের সদস্যবৃদ্ধি বিষয়ক সভা ঃ

প্রতিবেদনকালে কর্মএলাকার নতুন ৫ টি ইউনিয়ন ফেডারেশনে বিশেষ করে পিছিয়েপড়া,হতদরিদ্র,প্রতিবন্ধী ও সুবিধাবঞ্চিতদের ফেডারেশনে অর্নতভূক্ত করার জন্য  সদস্যবৃদ্ধিকরণ বিষয়ক সভা অনুষ্টিত হয় ।  সভায় ফেডারেশন ও ফেডারেশনের অংগসংগঠনের নেতৃবৃন্দ তাদের বিভিন্ন কার্যক্রমের সফলতা তুলে ধরেন।  প্রতিটি  সভায় সংশি­ষ্ট এলাকার জনপ্রতিনিধি,শি¶ক,সুশীল সমাজের প্রতিনিধি সহ  জনসাধারণ উপস্হিত ছিলেন । সভায় উপস্হিত অতিথিরা বলেন দরিদ্র মানুষের অধিকার প্রতিষ্টার জন্য প্রয়োজন সবার একতাবদ্ধতা।  ফেডারেশনের সদস্যসংখ্যা বৃদ্ধির জন্য এ ধরনের অনুষ্ঠানের আয়োজন করার জন্য ফেডারেশনকে ধন্যবাদ জানান।  উক্ত সভাগুলোতে কমিউনিটি মবিলাইজার ও  উর্দ্ধতন সামাজিক উন্নয়ন কর্মকর্তা উপস্হিত ছিলেন।

২.উপজেলা ফেডারেশন সমন্বয় কমিটির সভা ঃ

প্রতিবেদনকালে কর্মএলাকার ৩ টি উপজেলায়  উপজেলা ফেডারেশন সমন্বয় কমিটির ষান্মাসিক  সভা অনুষ্ঠিত হয়।  উক্ত সভায় ২২ জন নারী ৪ জন পুরূষ মোট ২৬ জন ফেডারেশন নেতৃবৃন্দ উপস্হিত ছিলেন।  সভায় ফেডারেশন নেতাগণ তাদের ফেডারেশনের সমস্যা সমাধানের উপায়, উপজেলা/জেলা পর্যায়ে তাদের নেটওয়র্াক শক্তিশালীকরণ এবং বিধিমালা অনুযায়ী ফেডারেশন পরিচালিত হওয়ার বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করে সিদ্ধানড় গ্রহণ করেণ । উক্ত সমন্বয় সভায়  উর্দ্ধতন সামাজিক উন্নয়ন কর্মকর্তা এবং কর্মসূচি ব্যবস্হাপক (মাঠ সমন্বয়)।  অন্যান্যদের মধ্যে জেলা ফেডারেশন সমন্বয় কমিটির প্রতিনিধিগণ  উপস্হিত ছিলেন।

৩.ইউনিয়ন পরিষদের সাথে ফেডারেশন নেতৃবৃন্দের অধিকার বিষয়ক সংবেদনশীলতা শীর্ষক সভা

প্রতিবেদনকলে দিনাজপুর জেলার কর্ম এলাকার  রামচন্দ্রপুর ও পলিপ্রয়াগপুর  ইউনিয়ন পরিষদের সাথে সংশ্লিষ্ঠ ইউনিয়ন ফেডারেশন নেতৃবৃন্দের অধিকার বিষয়ক সংবেদনশীলতা শীর্ষক সভা অনুষ্ঠিত হয়ে।   সভায় সংশ্লিষ্ঠ  ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, সচিব সহ পরিষদের সকল সদস্যবৃন্দ. বিভিন্ন স্টান্ডিং কমিটির সদস্যবৃন্দ এবং সুশিল সমাজের প্রতিনিধিগণ উপস্হিত ছিলেন।  সভায় মৌলিক অধিকার, মানবাধিকার, তথ্য অধিকার ইত্যাদি গুর“ত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে এবং ফেডারেশনের সদস্যগণ উ­েখিত অধিকারসমূহের আওতায় ফেডারেশন সদস্যরা কিভাবে উপকৃত হতে পারে, বিভিন্ন অধিকারসমূহের ধারা-উপধারা, বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতা ও তা সমাধানের উপায় নিয়ে বিসড়ারিত আলোচনা করা হয়। ইউনিয়ন পরিষদ হতে বিভিন্ন সেবা প্রদানের ক্ষেত্রে ফেডারেশনের চাহিদা,যোগ্যতা বিবেচনা করে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে । সভায় মোট ৬২ জন (৩৮ জন পুর“ষ ২৪ জন নারী) অংশগ্রহন করেন ।

ফলাফল ঃ

ইউনিয়ন পরিষদে  ভিজিএফ বিতরনের সময় ফেডারেশনের নেতৃবৃন্দের  প্রদানকৃত তালিকাকে  অগ্রাদিকার দেওয়া ।

ইউনিয়ন পরিষদের প্রদানকৃত বিভিন্ন সেবা প্রাপ্তির নীতিমালা অনুযায়ী যোগাযোগ করা ।

ইউনিয়ন পরিষদের উন্নয়ন সভায় ফেডারেশনের অংশগ্রহন ।

৪.ইউনিয়ন পরিষদের স্ট্যান্ডিং কমিটির অগ্রগতি সভা ঃ

প্রতিবেদনকলে দিনাজপুর জেলার কর্ম এলাকার  কাহারোল উপজেলার রামচন্দ্রপুর  ইউনিয়ন পরিষদের সকল স্ট্যান্ডিং কমিটির  অগ্রগতি  সভা অনুষ্ঠিত হয়ে।   সভায় সংশি­ষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও সচিব সহ পরিষদের সকল সদস্যবৃন্দ. বিভিন্ন স্টান্ডিং কমিটির সদস্যবৃন্দ এবং সুশিল সমাজের প্রতিনিধিগণ উপস্হিত ছিলেন।   সভায় সংশি­ষ্ট  ইউনিয়ন পরিষদের সচিবগণ তাদের পরিষদের পরিকল্পনা ও বাজেটের অগ্রগতির উপর  ধারনা প্রদান করেন।  উম্মুক্ত আলোচনার সংশি­ষ্ট চেয়ারম্যান ও সচিবগন বিভিন্ন প্রশ্নের উল্টর দেন ।   সভায় উপস্হিত বক্তারা ইউনিয়ন পরিষদের উন্নয়ন কর্মকান্ডে জনগণকে সম্পৃক্ত করে এ ধরনের আয়োজনের জন্য সংশি­ষ্ট ইউনিয়ন ফেডারেশন ও আরডিআরএস বাংলাদেশ কে ধন্যবাদ জানান এবং পাশাপাশি ইউনিয়ন পরিষদের সাথে জনগণের সম্পর্কের উন্নয়ন হবে বলে মত প্রকাশ করেন।

৫.ফেডারেশন নির্বাচন ঃ

গত ৩০ সেপ্টেমবর ২০১৬ বোচাগঞ্জ উপজেলার নাফানগর ইউনিয়ন ফেডারেশনের কার্যনির্বাহী কমিটির নির্বাচন সকাল ৯ টা হতে বিকাল ৩টা পযর্ন্ত উৎসাহ ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশের মধ্য দিয়ে ফেডারেশনের  কার্যালয়ে  অনুষ্ঠিত হয় । এতে ফেডারেশনের ৫৬৭ ভোটারের মধ্যে ৪৯৮ জন সদস্য ভোট প্রদান করেন।  নির্বাচনে চেযারম্যান পদে আব্দুল রউফ আনারস প্রতীক নিয়ে ১৬৮ টি ভোট পেয়ে বিজয়ী হন,তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দী আব্দুল মালেক ছাতা প্রতীক ১৫৪টি ভোট পায় ।  সেক্রেটারি  পদে মাজেদুর রহমান পাপ্পু   দোয়াতকলম প্রতীক নিয়ে ২৬৮ টি ভোট পেয়ে বিজয়ী হন,তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দী আনারূল ইসলাম মাছ প্রতীক ১৭৩ টি ভোট পায় এবং ক্যাশিয়ার পদে মোঃ বাবুল ইসলাম মোবাইল ফোন প্রতীক নিয়ে ২১৯টি ভোট পেয়ে বিজয়ী হন,তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দী আব্দুর রহমান ফুটবল প্রতীক ১৯৮ টি ভোট পায় ।  সাধারণ সদস্য পদে মোসলেম উদ্দীন ১২৫ টি ভোট,হাফিজুর রহমান ১০৬ এবং তহিদুল ইসলাম ৯৬ টি ভোট পেয়ে বিজয়ী হন।  অন্যান্য ভাইস চেয়ারম্যান ও ২ টি সংরক্ষিত সদস্য পদে একজন করে প্রাথর্ী থাকায় প্রাথর্ীরা বিনা প্রতিদন্দ্বিতায় নিবর্াচিত হয়।  নির্বাচনে সংশ্লিষ্ঠ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, ইউপি সদস্য, স্হানীয় গন্যমান্য ব্যক্তি,উপজেলা/জেলা ফেডারেশন সমন্বয় কমিটির প্রতিনিধি সহ আরডিআরএস বাংলাদেশ  দিনাজপুর  অফিসের কর্মকর্তাগণ উপস্হিত ছিলেন।  আগামীতে নবনির্বাচিত কমিটির নেতৃত্বে ফেডারেশন এগিয়ে যাবে সদস্যরা এই প্রত্যাশা করছে।

৬.উপজেলা সমাজসেবা অধিদপ্তর থেকে চেক গ্রহণ করলো বোচাগঞ্জের ৩ টি ফেডারেশনঃ

ফেডারেশন সমুহের সুসাংগঠনিক রূপ ও স্হায়িত্বকরণের স্বীকৃতিস্বরূপ জেলা সমাজসেবা অধিদপ্তর, দিনাজপুর  জেলার বোচাগঞ্জ উপজেলার আটগাঁও, রনগাঁও ও মূর্শিদহাট ফেডারেশন কে গত ১৫জুলাই ২০১৬ বোচাগঞ্জ উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয়ে উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা কাছ থেকে ১০০০০/=টাকার চেক গ্রহন করেন।  ফেডারেশনের পক্ষ থেকে চেক গ্রহণ করেন ফেডারেশনের সভাপতি ও সেক্রেটারী।  চেকগ্রহণ অনুষ্ঠানে উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা বলেন যে, বোচাগঞ্জ উপজেলায় আরডিআরএস বাংলাদেশ কতর্ৃক পরিচালিত গরীব মানুষের সংগঠন ফেডারেশনগুলো বিভিন্নভাবে গরীব মানুষের সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য কাজ করে থাকে।  এরই ধারাবাহিকতার  স্বীকৃতিস্বরূপ আটগাঁও, রনগাঁও ও মূর্শিদহাট  ফেডারেশনকে ১০০০০/= টাকার অনুদানের চেক প্রদান করা হয়।  চেক গ্রহণের পর ফেডারেশন সভাপতি আজহারূল ইসলাম বলেন অনুদান প্রাপ্তিতে ফেডারেশন ও ফেডারেশনের অংগসংগঠনের গতিশীলতা বৃদ্ধি পাবে।