লগ ইন
 

Logo

আরডিআরএস বাংলাদেশ এর তথ্য সমূহ

Information

১. ভূমিকা ঃ

১৯৭২ সালের ৮ ফেব্রুয়ারী যুদ্ধবিধ্বসত বাংলাদেশের উত্তর পশ্চিমাঞ্চলের মানুষকে ত্রান, পূর্ণবাসন ও পূর্ণগঠনে সহায়তা প্রদানের জন্য আন্তর্জাতিক দাতা সংস্হা লুথেরান ওয়ার্ল্ড ফেডারেশন বাংলাদেশে আরডিআরএস (রংপুর দিনাজপুর রিহ্যাবিলেটেশন সার্ভিস) প্রতিষ্ঠা করেন।  বৃহত্তর রংপুর দিনাজপুর অঞ্চলে গ্রামীন জনগনের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নের লক্ষ্যে ধীরে ধীরে আরডিআরএস এর কাজের পরিধি প্রসারিত হতে থাকে।  ১৯৯৭ সালে আরডিআরএস (রংপুর দিনাজপুর রুরাল সার্ভিস) দেশীয় বেসরকারী উন্নয়ন সংস্হা হিসাবে নবযাত্রা শুরু করে।

আরডিআরএস বাংলাদেশ ২০০৬ ইং সাল থেকে দিনাজপুর ইউনিটের আওতায় অত্র জেলার ১২টি উপজেলার (দিনাজপুর সদর, কাহারোল, বোচাগঞ্জ, বীরগঞ্জ, বিরল, ঘোড়াঘাট, হাকিমপুর, বিরামপুর ও ফুলবাড়ী, খানসামা, চিরির বন্দর, নবাবগঞ্জ) দরিদ্র ও অবহেলিত, সুযোগ সুবিধা ও অধিকার বঞ্চিত জনগনকে সংগঠিত করে তাদের আর্থ-সামাজিক অবস্হা ও অবস্হানের উন্নয়নে বিভিন্ন সেবামূলক কার্যক্রম বাসতবায়ন করে আসছে।  এছাড়াও দরিদ্র মানুষের ক্ষমতায়ন, মানবাধিকার, গণতন্ত্র ও সুশাসন প্রতিষ্ঠা, দূযের্াগ মোকাবেলা, নারী অধিকার, নারীর ক্ষমতায়ন ইত্যাদি বিষয়কে সামনে রেখে দরিদ্র মানুষের সংগঠন ইউনিয়ন ফেডারেশনের কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।  যাতে করে গ্রামীণ দরিদ্র মানুষ তাদের নিজেদের সমস্যা নিজেরাই চিহ্নিত, উপস্হাপন ও সমাধান এবং অধিকার আদায় করতে পারে।  দিনাজপুর জেলায় ক্ষুদ্রঋণ কর্মসূচির আওতায় বর্তমানে ৯২০ টি দলের মোট ১৪০৪৩ জন দলীয় সদস্য/সদস্যার মধ্যে ঋণ সুবিধা দেওয়া হচ্ছে যার ৯৫% নারী।  ১২টি উপজেলার ৮টি পৌরসভা এবং ৭৮ টি ইউনিয়নে সর্বমোট প্রায় ৪০৬১৮ জনসাধারনের মাঝে সরাসরি সেবামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে।  

আরডিআরএস বাংলাদেশ, দিনাজপুর ইউনিটের আওতায় বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে বার্ষিক লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী জুলাই হতে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ মাসে বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কার্যক্রম বাসতবায়িত করেছে।  উক্ত বাসতবায়িত কার্যক্রমের উল্লেখযোগ্য অংশ এই প্রতিবেদনের মাধ্যমে তুলে ধরা হলো।  আমরা আশাকরি, বার্ষিক লক্ষমাত্রা অনুযায়ী আগামী কোয়াটারে সকল কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করা হবে যা অত্র জেলার দরিদ্র জনগোষ্ঠির উন্নয়নে ভুমিকা রাখতে সক্ষম হবে।

২. লক্ষ্য ঃ

গ্রামের দরিদ্র জনগোষ্ঠির ব্যক্তিগত ও সমষ্ঠিগতভাবে স্ব প্রচেষ্টায় অর্থবহ রাজনৈতিক, সামাজিক এবং অর্থনৈতিক ক্ষমতায়নের মাধ্যমে শানতি, ন্যায়বিচার এবং টেকসই পরিবেশ অর্জন করবে।

৩. উদ্দেশ্য ঃ

গ্রামীন দরিদ্র জনগোষ্ঠী ও সংগঠন ব্যক্তিগত ও সমষ্টিগতভাবে যেন স্ব- প্রচেষ্টায় তাদের নাগরিক অধিকার প্রতিষ্ঠা, ক্ষমতায়নের জন্য প্রয়োজনীয় যোগ্যতা অর্জন ও আত্ববিশ্বাস বৃদ্ধি এবং সুশাসন প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে জাতীয় সম্পদ ও সেবায় নিজেদের প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করতে পারে।

৪. মূলধারার কার্যক্রম ঃ

কার্যক্রমসমূহকে চারটি প্রধান ধারায় বিভক্ত করে আরডিআরএস বাংলাদেশ কৌশলপত্র বাসতবায়িত হয়।  সুনির্দিষ্ট উন্নয়ন উদ্যোগের ভিত্তি হিসেবে এ কার্যক্রমসমূহ কৌশলগত লক্ষ্য পূরণের নিমিত্তে উন্নয়নের বিভিন্ন শাখায় ভাগ করে নেওয়া হয়।  মূলধারার কার্যক্রমসমূহ নিম্নে উল্লেখ করা হলো

প্রাধান্য ১: সামাজিক ক্ষমতায়ন

সক্রিয় নাগরিক, সুশীল সমাজ ও ন্যায়বিচার

নাগরিকগণ, কমিউনিটিভিত্তিক সংগঠন, সুশীল সমাজের সংগঠনের ক্ষমতায়ন

 জবাবদিহিমূলক স্হানীয় সুশাসন

লিঙ্গ সমতা ও নারীর ক্ষমতায়ন

পারিবারিক সহিংসতা, পাচার/অপহরণ ও অবিচার প্রতিরোধ

সচেতনতা ও দক্ষতা উন্নয়ন 

প্রাধান্য ২: মানসম্মত জীবন

জীবানুঘটিত রোগ ও এইচআইভি/এইডস্‌ সহ প্রজনন স্বাস্হ্য

নিরাপদ পানি, পয়:ব্যবস্হা ও স্বাস্হ্যকর অভ্যাস ও পরিবেশ

প্রাথমিক স্বাস্হ্যসেবায় প্রবেশাধিকার

শিশু, কিশোর-কিশোরীদের মানসম্মত শিক্ষা

 

প্রাধান্য ৩: খাদ্য, পরিবেশ ও দুর্যোগ মোকাবিলা

জলবায়ু পরিবর্তন অভিযোজন ও  মোকাবিলা

দুর্যোগজনিত ঝুঁকি হ্রাসকরন

খাদ্য নিরাপত্তা ও স্বনির্ভরতা

 জীবনযাপনের জন্য প্রয়োজনী

 সম্পদ, দক্ষতা ও প্রযুক্তিতে প্রবেশ

 

প্রাধান্য ৪: অর্থনৈতিক ক্ষমতায়ন

আর্থিক সেবা প্রাপ্তি

বাণিজ্যিক উদ্যোগ ও বাজারের সাথে সংযোগ (মঙ্গার প্রভাব) মৌসুমী বেকারত্ব ও ক্ষুধা দূরীকরণ