লগ ইন
 

Logo

গ্রাম উন্নয়ন কর্ম (গাক) এর সেবা সমূহ

ক্ষুদ্রঋণ কর্মসূচি

দরিদ্র ও অতিদরিদ্র জনগোষ্ঠীর আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে তাদেরকে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র দলে সংগঠিত করে স্ব-স্ব পর্যায়ে সামর্থ্য অনুযায়ী আয়বর্ন্ধন মূলক কর্মকান্ড পরিচালনার জন্য প্রশিক্ষণ প্রদান,  সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য বিষয়ভিত্তিক প্রশিক্ষণ প্রদান, সঞ্চয়মুখী করে গড়ে তোলা এবং আয়বর্ধনমূলক কর্মকান্ডে প্রয়োজনীয় ঋণ সহায়তা প্রদান করা। এরূপ কর্মকান্ড বাস্তবায়নের ফলে

ক. সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধি পেয়েছে। খ. পারিবারিক আয় বৃদ্ধির ফলে জীবন যাত্রার মানোন্নয়ন ঘটেছে। গ. কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হয়েছে। ঘ. নারীর ক্ষমতায়ন হয়েছে।

দরিদ্র মা’র জন্য মাতৃত্বকাল ভাতা প্রদান কার্যক্রম

জীবন দক্ষতা উন্নয়ন ও আয়বর্দ্ধনমূলক কর্মকান্ডের উপর প্রশিক্ষণ প্রদানের মাধ্যমে ব্যক্তিগত স্বাস্থ্য পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা, নিরাপদ মাতৃত্ব ও গর্ভবতী মায়ের পরিচর্যা, পুষ্টি, শিক্ষা, আয়বর্ধক কর্মকান্ডে অংশগ্রহণ, জেন্ডার ও নারীর অধিকার, বাল্য বিবাহ প্রতিরোধ, পরিবার পরিকল্পনা, যৌতুক, জন্ম নিবন্ধন, মাতৃদুগ্ধ পানের গুরুত্ব, মা ও শিশুর পরিচর্যা, দুর্যোগ ও ব্যবস্থাপনা বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি করা। (ক) ব্যক্তিগত স্বাস্থ্য, পুষ্টি ও শিক্ষার মানোন্নয়ন ঘটেছে। (২)  যৌতুকও বাল্য বিবাহ ও বহু বিবাহ হ্রাস পেয়েছে। (৩) নারীর অধিকার প্রতিষ্ঠায় অগ্রগতি হয়েছে। 

Programmed Initiative for Monga Eradication (PRIME) project

বছরে ২ বার মঙ্গা নিরসনে অতিদরিদ্র ও দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে বিভিন্ন দলে সংগঠিত করে কাজের বিনিময়ে খাদ্য এবং ক্ষুদ্রঋণ সহায়তার মাধ্যমে আয়বর্ধনমূলক কর্মকান্ডে সম্পৃক্ত করে তাদের দক্ষতা বৃদ্ধির মাধ্যমে টেকসই উন্নয়ন সাধন করা। বিশেষ করে দৈনন্দিন খাদ্য চাহিদা পূরণে স্ব-স্ব যোগ্যতার ভিত্তিতে আয়ের পথ বেছে নেয়া ও সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধিকল্পে বিভিন্ন বিষয় ভিত্তিক প্রশিক্ষণ প্রদান এবং মা ও শিশুর স্বাস্থ্য সেবা ও চিকিৎসার মাধ্যমে পারিবারিক স্বাস্থ্যের উন্নয়ন সাধন করা। সুদীর্ঘ সময় ধরে এ কার্যক্রম বাস্তবায়নের ফলে গাইবান্ধা জেলার মঙ্গা পীড়িত এলাকার হাজার হাজার উপকারভোগীদের বিভিন্ন আয়বর্ধনমূলক কর্মকান্ডের উপর প্রশিক্ষণ প্রদানের মাধ্যমে তাদের  খাদ্যের চাহিদা পূরণ, পুষ্টির মান বৃদ্ধি, স্বাস্থ্য সচেতনতা বৃদ্ধি, পারিবারিক আয় বৃদ্ধির পাশাপাশি সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধি পেয়েছে।

সমৃদ্ধি কর্মসূচি

দরিদ্র পরিবারের টেকসই উন্নয়নে স্বাস্থ্য, শিক্ষা, পুষ্টি সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টি করা। শিক্ষার হার বৃদ্ধিকল্পে স্কুল থেকে ঝড়ে পড়া ও স্কুল বিমুখ ছেলেমেয়েদেরকে উপানুষ্ঠানিক শিক্ষাকেন্দ্রের মাধ্যমে শিক্ষাদান, ভিক্ষুক পুনর্বাসন, এলাকার Public place এ স্বাস্থ্য সম্মত পায়খানা, টিউবওয়েল স্থাপন ও অবকাঠামো উন্নয়ন।

(ক) স্বাস্থ্য ও পুষ্টির মানোন্নয়ন হয়েছে। (খ) ভিক্ষুক পুনর্বাসিত হয়েছে। (গ) সদস্য সঞ্চয় বৃদ্ধির ফলে আয়বর্দ্ধনমূলক কাজে সফলতা এসেছে। (ঘ) বিনামূল্যে চক্ষু চিকিৎসার ফলে অন্ধত্ব নিবারণ হয়েছে।

ইউপিপি-উজ্জীবিত কর্মসূচি

ক্ষুধা ও দারিদ্র টেকসইভাবে হ্রাসকরণ, মহিলা প্রধান দরিদ্র পরিবারের টেকসই উন্নয়ন সাধন। ক্রয় ক্ষমতা বৃদ্ধি, খাদ্য ও পুষ্টির নিরাপত্তা বিধান এবং সম্পদ বৃদ্ধি করে সামাজিক মান মর্যাদা বৃদ্ধি করা। (ক) ক্ষুদ্র ও দারিদ্র অনেকাংশে হ্রাস পেয়েছে। (খ) প্রতিটি পরিবারের সার্বিক আর্থিক উন্নয়ন ঘটেছে। (গ) স্বাস্থ্য সচেতনতা বৃদ্ধি পেয়েছে। (ঘ) আয়বর্দ্ধনমূলক কর্মকান্ড গ্রহণ করে সংসারের আয় বৃদ্ধি পেয়েছে।

জনগোষ্ঠী ভিত্তিক জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ঝুঁকিহ্রাস করণ প্রকল্প

খরা পীড়িত বরেন্দ্র এলাকায় জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে বিরূপ প্রভাব মোকাবেলায় অভিযোজনমূলক কর্মকান্ড গ্রহণ করে ঝুঁকিহাস করণ। (ক) অভিযোজনমূলক কর্মকান্ড যেমনঃ মজা পুকুর পুনঃখনন করে খরা সহিষ্ণু চাষাবাদ বৃদ্ধি পেয়েছে। (খ) নিরাপদ পানির জন্য টিউবওয়েল স্থাপন করে পানি সরবরাহ বৃদ্ধি পেয়েছে।(গ) স্বাস্থ্য সম্মত পায়খানা স্থাপন করার ফলে পানিবাহিত রোগ ব্যাধি হ্রাস পেয়েছে। (ঘ) মাচা পদ্ধতিতে ছাগল/ভেড়া পালন করে সংসারের আয় বৃদ্ধি পেয়েছে।  (ঙ) বন্ধুচুলা স্থাপনের ফলে জ্বলানী খরচ কমেছে এবং শ্বাস কষ্টজনিত রোগব্যাধি হ্রাস পেয়েছে ও বাতাসে কার্বন নিঃসরণের পরিমাণ হ্রাস পেয়েছে। 

School Feeding Program (SFP

স্কুল ফিডিং প্রোগ্রাম এর উদ্দেশ্য হ’ল দারিদ্র পীড়িত এলাকার সরকারী, বেসরকারী প্রাথমিক স্কুল ও এবতেদায়ী মাদ্রাসায় অধ্যায়নরত ছাত্র-ছাত্রীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও পুষ্টির মান বৃদ্ধিকল্পে তাদেরকে উচ্চ  ক্ষমতাসম্পন্ন প্রোটিন বিস্কুট খাওয়ানো, ব্যক্তিগত স্বাস্থ্য পরিচর্যা, নিরাপদ পানি ও স্বাস্থ্য সম্মত পায়খানা ব্যবহার সম্পর্কে শিক্ষক, ছাত্র ও অভিভাবকগণের মাঝে সচেতনতা বৃদ্ধি করে তা নিশ্চিত করা এবং বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে ও ছাত্র-ছাত্রীদের বসতভিটার আঙ্গিনায় সবজি চাষ করে সারা বছর ব্যাপী সবজি উৎপাদন ও খাবারের মাধ্যমে পুষ্টিহীনতা দূরীকরণ। অন্যতম উদ্দেশ্য হ’ল বিদ্যালয়ে ছাত্র-ছাত্রীদের ভর্তির হার বৃদ্ধি করা ও স্কুল থেকে যেন ঝরে না পড়ে সে বিষয়ে প্রচার ও প্রচারণা চালানো। মূলত শিক্ষার হার বৃদ্ধি এ প্রকল্পের অন্যতম উদ্দেশ্য। কার্যক্রম বাসস্তবায়নের ফলে ইতোমধ্যে সকল বিদ্যালয়ে ছাত্র-ছাত্রী ভর্তির হার অনেকাংশে বৃদ্ধি পেয়েছে এবং স্কুল থেকে ছাত্র-ছাত্রী ঝরে পড়ার হার বহুলাংশে কমে গেছে। স্বাস্থ্য সচেতনতা বৃদ্ধি পেয়েছে এবং সুস্থ্য স্বাস্থ্যের অধিকারী হয়েছে।

Non-Formal Primary Education (NFPE)

দরিদ্র ও অতিদরিদ্র পরিবারের বিদ্যালয় বিমুখ ছেলে-মেয়েদেরকে বিদ্যালয়মুখী করে পাঠদানের মাধ্যমে শিক্ষার হার বৃদ্ধি কর এবং ছাত্র/ছাত্রীদের অভিভাবকদের শিক্ষা বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি করা। এরূপ শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনার ফলে  ক. শিক্ষার হার বৃদ্ধি পেয়েছে। খ.  সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধির ফলে অভিভাবকদের মাঝে শিক্ষা সজাগতা বৃদ্ধি পেয়েছে।

গাক শিশু বিকাশ শিক্ষা কার্যক্রম

(১) প্রত্যন্ত অঞ্চলে শিক্ষাকেন্দ্র স্থাপনের মাধ্যমে স্বল্প ব্যয়ে মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষা প্রদান করা।  (২) প্রাথমিক স্কুল  থেকে ঝড়ে পড়া এবং স্কুল বিমুখ ছেলেমেয়েদেরকে স্কুলমুখী করা। (৩) অংশিদারিত্বের ভিত্তিতে পরিচালিত শিক্ষাকেন্দ্রের প্রতি কমিউনিটির লিকানাবোধ সৃষ্টি করা। এর ফলে  শিক্ষার্থীর সংখ্যা ও শিক্ষার হার বৃদ্ধি পেয়েছে।

Primary Health Care & Family Planning

ঋণ কার্যক্রমকে টেকসই করার লক্ষ্য ক্ষুদ্রঋণের সাথে জড়িত সদস্য ও এলাকার অবহেলিত দরিদ্র জনগোষ্ঠীর প্রাথমিক স্বাস্থ্য পরিচর্যার মাধ্যমে সুস্থ্য সবল জীবন নিশ্চিত করার পাশাপাশি স্বাস্থ্য সচেতনতা বিষয়ক প্রশিক্ষণের মাধ্যমে স্বাস্থ্য সচেতনতা বৃদ্ধি করা। এ কার্যক্রম বাসত্মবায়নের ফলে বিভিন্ন রোগ ব্যাধির প্রকোপ হ্রাস পেয়েছে।

গাক চক্ষু হাসপাতাল

(১) ৫০ টাকার বিনিময়ে অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতির সাহায্যে চক্ষু বিশেষজ্ঞ সার্জন দ্বারা চক্ষু রোগের চিকিৎসা প্রদান।

(২) অতিদরিদ্র চক্ষু রোগীদের বিনামূল্যে ছানী অপারেশন।

(৩) স্বল্পমূল্যে SICS, নেত্রনালী ও ছানী অপারেশন।

(৪) বিত্তবান চক্ষু রোগীদের সুলভ মূল্যে ফ্যাকো অপারেশন।

এর ফলে

(ক) মাঠ পর্যায়ে এ পর্যন্ত ১১৬০৪ জন চক্ষু রোগীকে চিকিৎসা প্রদানের ফলে চোখের রোগ হ্রাস পেয়েছে । 

(খ) ৮৩১ জন চক্ষু রোগীর ছানী অপারেশন করার ফলে তারা চোখের দৃষ্টি ফিরে পেয়েছে। 

Providing Value Added Information Services on Vegetable Focused Cropping Practices to Farmers

বিভিন্ন ধরণের সবজি উৎপাদনে উন্নত চাষাবাদ পদ্ধতি ও প্রযুক্তি ব্যবহার করে বিষমুক্ত সবজি উৎপাদন বৃদ্ধি ও বাজারজাত করণের মাধ্যমে দরিদ্র কৃষকদের আয় বৃদ্ধি করা।

(ক) গণগত মানসম্পন্ন সবজি উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়েছে।

(খ) আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে বছরব্যাপী সবজি উৎপাদিত হচ্ছে।

(গ) পারিবারিক আয় বৃদ্ধি পেয়েছে। (ঘ) দরিদ্র কৃষকদের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হচ্ছে।

 

Vulnerable Group Development (VGD)

গ্রামীণ দুস্থ পরিবার সমূহের দৈনন্দিন খাদ্য চাহিদা পূরণে সহায়তা করা, বিপণনযোগ্য দক্ষতা বৃদ্ধিমূলক প্রশিক্ষণ, সঞ্চয়ের মাধ্যমে মূলধন সংগ্রহের জন্য উৎসাহিত করা এবং ঋণ প্রাপ্তিতে সুযোগ প্রদানের মাধ্যমে উপার্জনক্ষম করে গড়ে তোলা ও ব্যবহারিক শিক্ষার পাশাপাশি মানব উন্নয়ন সম্পর্কিত দক্ষতা উন্নয়ন, সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধি ও আয়বর্ধনমূলক কর্মকান্ডে   প্রশিক্ষণ প্রদান করা। লক্ষিত  উপকারভোগীগণ আয়বর্ধনমূলক কর্মকান্ডে সম্পৃক্ত হওয়ার ফলে তাদের খাদ্য চাহিদা পূরণের পাশাপাশি দৈনন্দিন আয়ের পথ প্রশসত্ম হয়েছে এবং জীবন ও জীবিকার মান উন্নয়ন হয়েছে।