লগ ইন
 

Logo

ওয়ার্ল্ড ভিশন এর প্রকল্প সমূহ

নর্দান বাংলাদেশ রিজিওনাল ইন্টিগ্রেটেড কমিউনিটি ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম

দিনাজপুর জেলায় ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশের কার্যক্রম

ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ-এর আওতায় দিনাজপুর জেলার ফুলবাড়ী ও বিরামপুর উপজেলায় ২০০৬ খ্রীষ্টাব্দের সেপ্টেম্বর  হতে কার্যক্রম শুরু করে। বর্তমানে দিনাজপুর জেলার ৭টি উপজেলায় ওয়ার্ল্ড ভিশন ৭টি এপি ও ২টি বিশেষ প্রকল্পের মাধ্যমে কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। উপজেলাগুলো হলোঃ ঘোড়াঘাট, বিরামপুর, ফুলবাড়ী, দিনাজপুর সদর, বিরল, কাহারোল ও বীরগঞ্জ। এ সাতটি উপজেলায় এপি মডেলে কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। 

দিনাজপুর জেলায় ওয়ার্ল্ড ভিশনের কার্যক্রম সমূহ:

.  স্বাস্থ্য, পুষ্টি, নিরাপদ পানি পয়: নিষ্কাশন কর্মসুচী ( মা শিশু স্বাস্থ্য  পুষ্টি কার্যক্রম):

.মা ও কিশোরীদের মধ্যে পুষ্টি বিষয়ক সচেতনতা আনয়ন করা। অপুষ্টিজনিত মা ও শিশুদের পুষ্টিমান বৃদ্ধি ও গর্ভবতী মা, দুগ্ধদানকারী মা, সাধারন মা ও কিশোরকে পুষ্টি বিষয়ে সচেতন করা। অপুষ্টিজনিত শিশুকে পিডি-হার্থ (পুষ্টি) কার্যক্রমের মাধ্যমে পুষ্ট করা।

. পানি ও মল বিষয়ে জনগণকে সচেতন এবং উদ্বুদ্ধ করনে সচেতনতা মূলক সেশন সেমিনার ও সমাবেশ করা।  এলাকায় ডায়রিয়া ও পানি বাহিত রোগ প্রতিরোধের জন্য স্বাস্থ্যকর পায়খানা স্থাপন করা এবং ইহা ব্যবহারের বিষয়ে জনগণকে সচেতন করা।

 . জীবিকায়ন অর্থনৈতিক উন্নয়ন কর্মসুচী (দরিদ্র অতি দরিদ্র পরিবারের অর্থনৈতিক উন্নয়ন কার্যক্রম):

 ১. কৃষকদের শাক সবজী, শস্য, হাস, পশুপালন  ইত্যাদি বিষয়ে আধুনিক পদ্ধতি সম্পর্কে প্রশিক্ষণ প্রদান করা বীজ, সার ও কৃষি সামগ্রী প্রদানের মাধ্যমে সহায়তা করা ।

২. কমিউনিটির বেকার যুবক যুবতীকে বিভিন্ন ট্রেড কোর্সের মাধ্যমে যেমনঃ সেলাই, ড্রাইভিং, মেকানিক্স, মোটর মেকানিক্যাল, কম্পিউটার ও ইলেকটনিক্র বিষয়ে প্রশিক্ষণ প্রদান করা এবং আত্ন কর্মসংস্থানের জন্য প্রয়োজনীয় উপকরণ সরবরাহের মাধ্যমে সহায়তা করা

৩. দূর্যোগ কালীন ও দুর্যোগ পরর্বতী সময়ে  ক্ষতিগ্রস্তদের সহযোগিতা প্রদান। দূর্যোগ পূর্ব, দূর্যোগ কালীন ও দুর্যোগ পরর্বতী সময়ে করণীয় সর্ম্পকে সচেতনতা মূলক কার্যক্রম। 

. জন সম্পৃক্তকরণ  স্পন্সরশীপ পরিকল্পনা (শিশু অধিকার  নিরাপত্তা এবং স্পন্সরশীপ কার্যক্রম):

১. শিশু অধিকার ও সুরক্ষার জন্য সচেতনতা বৃদ্ধি

২. শিশুদের জন্ম নিবন্ধন সম্পর্কে  সচেতনতা মূলক কার্যক্রম পরিচালনা করা

৩. বাল্য বিবাহ সম্পর্কে  সচেতনতা মূলক কার্যক্রম পরিচালনা করা

৪. শিশু শ্রম হ্রাস করনে কার্যক্রম পরিচালনা করা।

৫. শিশু কেন্দ্রিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে শিশুদের সামগ্রীক উন্নয়নের লক্ষ্যে স্পন্সরশীপ বিষয়ক কার্যক্রম পরিচালনা করা ও শিশু অধিকার সর্ম্পকে অবহিত করা।

৬. শিশু ফোরামের শিশুদের ক্ষমতায়ন ও তাদের অধিকার বিষয়ে সচেতন করার জন্য শিশুদের সংগঠিত করা। সেই সাথে তাদের মানসিক বিকাশের জন্য সাংস্কৃতিক চর্চার  সুযোগ তৈরি করা।

৭. কমিউনিটি ভিত্তিক শিশু ব্যবস্থাপনা কমিটি মাধ্যমে স্পন্সরশীপ কার্যক্রম  সুষ্ঠ  ভাবে সম্পাদনের জন্য কমিউনিটির জনগণ ও ওয়ার্ল্ড ভিশন যৌথভাবে কার্যক্রম পরিচালনা করা।

দিনাজপুর জেলায় লক্ষিত কর্ম এলাকায়,ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশের লক্ষিত জনগোষ্ঠি:

৫ বছরের নীচে বয়সী শিশু, গর্ভবতী মা, প্রসূতি মা,  কিশোর -কিশোরী বিশেষ করে কিশোরী মেয়ে, অতি দরিদ্র পুরুষ ও নারী, ক্ষুদ্র কৃষক পুরুষ ও নারী, নারী প্রধান পরিবার, অপুষ্ট শিশু (০-৫৯ মাস) , বিপদাপন্ন শিশু , দরিদ্র পরিবারের শিশু, স্কুল থেকে ঝরে পড়া শিশু, শ্রমজীবী শিশু, তালিকভূক্ত শিশু, নৃ-তাত্ত্বিক  জনগোষ্ঠী,  পিতা-মাতা, ছেলে, মেয়ে, নারী ও পুরুষ।

দিনাজপুর জেলায় লক্ষিত কর্ম এলাকায়,অংশীদার/পার্টনার সমূহ : 

১. উপজেলা প্রশাসন, উপজেলা কৃষি অফিস, উপজেলা পশুসম্পদ অফিস, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ অফিস, কমিউনিটি ক্লিনিক, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস, উপজেলা শিক্ষা অফিস, উপজেলা মহিলা বিষয়ক অফিস, ইউনিয়ন পরিষদ ও পৌরসভা।

২. লক্ষিত এনজিও যেমন পলৱীশ্রী, সিবিও এবং গ্রাম উন্নয়ন কমিটি (ভিডিসি)

৩. চাইল্ড ফোরাম (সিএফ) ও  চাইন্ড ম্যানেজমেন্ট কমিটি (সিএমসি)

৪. কাঙক্ষিত পরিবার সমূহ।

ইভিপিআরএ প্রকল্প কার্যক্রম

ইভিপিআরএ প্রকল্প কার্যক্রমঃ 

দিনাজপুর সদর, ফুলবাড়ী ও বিরামপুর  উপজেলায় “সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী কর্মসূচিতে অতিদরিদ্র জনগণের অধিকার এবং প্রবেশাধিকার নিশ্চিতকরণ (ইভিপিআরএ)  প্রকল্প নামে  বিশেষ প্রকল্প চালু আছে।

.ইভিপিআরএ প্রকল্পের  লক্ষ:

বাংলাদেশ সরকারের জাতীয় সামাজিক নিরাপত্তা কর্মকৌশল বাস্তবায়নে সহায়তা করার জন্য ইভিপিআরএ প্রকল্প; স্থানীয়, অতিদরিদ্র জনগোষ্ঠীর সংগঠন ও স্থানীয় কর্তপক্ষের সক্ষমতা  বৃদ্ধি, সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসুচিতে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিতকরণের মাধ্যমে অতিদরিদ্র জনগোষ্ঠীর প্রবেশাধিকার ত্বরান্বিত  করবে।

 খ. ইভিপিআরএ প্রকল্পের উদ্দেশ্য:

প্রকল্পটি তিনটি সুনিদিষ্ট উদ্দেশ্য অর্জনের জন্য কাজ করে-

১. স্থানীয় নৃ-তাত্ত্বিক/আদিবাসী সংগঠনের সৰমতা বৃদ্ধির মাধ্যমে টিকিয়ে রাখতে সহায়তা প্রদান করা;

২. সরকারের সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির স্বচ্ছতা এবং জবাবদিহিতা বৃদ্ধি করা;

৩. সরকারের সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচিতে অতিদরিদ্র মানুষের প্রবেশাধিকার বাড়ানোর দাবিতে সৰমতা বৃদ্ধি করা।

. ইভিপিআরএ প্রকল্পের লক্ষিত জনগোষ্ঠী:

 প্রকল্পটি ২৭৮,৬৬৮ জন দরিদ্র ও দুঃস্থ জনগণের জন্য কাজ করবে, যার মধ্যে রয়েছে ৩৯৯৫৩ জন সমতল ভুমির আদিবাসী সংখ্যালঘু সম্প্রদায় (সাঁওতাল, উরাও, মাহালি, মালো, মাহাতো, পাহান, বর্মন, কুরিন, মুন্ডা, রবিদাস, কর্মকার এবং হরিজন), বয়স্ক, প্রতিবন্ধী, বিধবা, স্বামী পরিত্যক্তা, দুঃস্থ নারী, দরিদ্র দুগ্ধদানকারী মাতা, বিদ্যালয়গামী শিশু, ভুমিহীন শ্রমিক এবং মৌসুমী বেকার কৃষক।

 . ইভিপিআরএ প্রকল্পের কার্যক্রম সমূহ:

১. প্রকল্পটি বাস্তবায়নে সামাজিক জবাবদিহিতা পদ্ধতি কমিউনিটি ভয়েস এবং অ্যাকশন প্রয়োগ করা হবে; যা সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসুচির সেবার মান উন্নয়নের জন্য জনসমষ্টি, সামাজিক সংগঠন এবং সরকারি সেবা প্রদানকারীদের মধ্যে সংলাপ সংঘটিত করবে। ফলে, পরিবারের তথা শিশুদের জীবন মান উন্নয়ন হবে।

২. যে সব স্থানীয় নৃতাত্ত্বিক জনগোষ্ঠী/আদিবাসী সামাজিক সংগঠন আছে তাদেরকে পুনরায় সচল করা অথবা নতুন করে গঠন করে তাদের কমিউনিটি ভয়েস এবং অ্যাকশন এর উপরে প্রশিক্ষণ প্রদান ও দক্ষতা বৃদ্ধি করা।

৩. বিভিন্ন ধরনের সভা, আদিবাসী ভাষায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও আচরণ পরিবর্তন(বিসিসি) উপকরণের মাধ্যমে সামাজিক নীতি, অধিকার ও মানবাধিকার বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি করা।

৪. অধিপরামর্শমূলক কার্যক্রম পরিচালনার মাধ্যমে অতিদরিদ্র নৃতাত্ত্বিক জনগোষ্ঠী/আদিবাসীদের সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসুচিতে প্রবেশাধিকার বৃদ্ধি করা।

তাকেদা হেলদি ভিলেজ প্রকল্প:

তাকেদা হেলদি ভিলেজ প্রকল্প:

বিরল ও বীরগঞ্জ উপজেলায় “ডাবিৱউ ভি তাকেদা হেলদি ভিলেজ প্রজেক্ট” প্রকল্প নামে দুটো বিশেষ প্রকল্প চালু আছে।

. তাকেদা হেলদি ভিলেজ প্রকল্পের লক্ষ: 

১. ৫ বছরের কম বয়সি শিশুদের মধ্যে খর্বাকায় শিশুর সংখ্যা শতকরা ৪০ ভাগে আনা

২. গর্ভবতী নারীদের মধ্যে রক্ত স্বল্পতা মাত্রা শতকরা ৫০ ভাগে আনা

৩. কম ওজনের শিশু জন্মানোর মাত্রা শতকরা ৩০ ভাগে আনা

৪. শিশুর ৬ মাস বয়স পর্যন্ত মায়ের দুধ গ্রহণের শতকরা ৫০ ভাগে বৃদ্ধি করা

৫. রুগ্ন/পাতলা শিশুর সংখ্যা শতকরা ৫ ভাগের নিচে নামিয়ে আনা

. তাকেদা হেলদি ভিলেজ প্রকল্পের উদ্দেশ্য:

প্রকল্পটি দুইটি সুনিদিষ্ট উদ্দেশ্য অর্জনের জন্য কাজ করে-

১. গর্ভবতী মা ও নবজাতক শিশুদের জন্মের পূর্ববতী ও পরবর্তী ঝুকি হ্রাসের জন্য কর্মএলাকায় সরকারী বে-সরকারী সংস্থা এবং কমিউনিটি পর্যায়ের লোকদের দক্ষতা বৃদ্ধি করা। স্বাস্থ্য ও পুষ্টি সেবা এবং পুষ্টির জন্য অত্যাবশ্যকীয় সেবাসমূহ প্রাপ্তি স্থানে মহিলা, বালক ও বালিকাদের সেবা গ্রহণ বৃদ্ধি সরকারী ও বেসরকারী সেবা কেন্দ্রসমূহের উপযোগ বৃদ্ধি এবং ৫ বছরের নিচে শিশুদের পরিচর্যাকারী, গর্ভবতী মা ও দুগ্ধদানকারী মা এবং বালক ও কিশোরী মেয়েদের অত্যাবশ্যকীয় স্বাস্থ্য সেবাসমূহ গ্রহণ ও প্রাপ্তি বৃদ্ধিকল্পে সেবা কেন্দ্রের সেবক, সুপারভাইজার ও অন্যান্য কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ প্রদান।

২. অপুষ্টিতে ভোগা মা, শিশু ও নবজাতক শিশুদের অত্যাবশ্যকীয় স্বাস্থ্য সেবাসমূহ প্রাপ্তি নিশ্চিতকল্পে প্রস্তাবিত প্রকল্পের আওতায় স্বাস্থ্য সেবা প্রদানকারী কেন্দ্রসমূহের কার্যকরকরণ ও জনগণের বিশেষত অপুষ্টিতে ভোগা শিশুদের পুষ্টি নিশ্চিতকল্পে অপুষ্টির কারণ নির্ণয়ে সমাজভিত্তিক ব্যবস্থাপনায় কাজ করে। পাশাপাশি তাদের সচেতনতা ও দকক্ষ বৃদ্ধির লক্ষে প্রশিক্ষণ পৃদান করা।

  . তাকেদা হেলদি ভিলেজ প্রকল্পের লক্ষিত জনগোষ্ঠী:

৫ বছরের নিচে শিশু ও শিশুদের পরিচর্যাকারী, গর্ভবতী মা ও দুগ্ধদানকারী মা এবং কিশোরী অত্যাবশ্যকীয় স্বাস্থ্য সেবা কেন্দ্র, স্বাস্থ্য  সেবক/সেবিকা ও স্বাস্থ্য  সুপারভাইজার।

 . তাকেদা হেলদি ভিলেজ প্রকল্পের কার্যক্রম সমূহ:

১. সময় মত অপুষ্টির স্ক্রিনিং করা, গুরুতর মাত্রার অপুষ্টিজনিত রোগের যথাযথ চিকিৎসার ব্যবস্থা করা।

২. পুষ্টি শিক্ষার সম্প্রসারন ও পুষ্টির জন্য প্রয়োজনীয় উপকরন বিতরন।

৩. গর্ভকালীন সেবা, নিরাপদ প্রসব, প্রসব পরবর্তী সেবা এবং নবজাতকের স্বাস্থ্য পরিচর্যা।

৪. ই.পি.আই. কর্মসূচীর মাধ্যমে টিকা দান কর্মসূচী অব্যহত রাখা।

৫. ডায়েরিয়া রোগীদের জন্য খাবার স্যালাইন, ফলিক এসিড/আয়রন সরবরাহ নিশ্চিত রাখা।

৬. বিসিসি ও অন্যান্য উপকরনের মাধ্যমে জনগনের সচেতনতা বৃদ্ধি করা

৭. স্বাস্থ্য সেবা প্রদানের সাথে সম্পর্কিত ব্যক্তিদের নিয়মিত প্রশিক্ষনণর ব্যবস্থা করে দক্ষ করে তোলা