ওয়ার্ল্ড ভিশন সম্পর্কে
ওয়ার্ল্ড ভিশন-এর পরিচিতি:
ওয়ার্ল্ড ভিশন, একটি খ্রিষ্টান, মানবিক ত্রাণ, উন্নয়ন এবং এ্যাডভোকেসি সংস্থা যা বিশ্বের বৃহত্তম আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর একটি। সমাজের হতদরিদ্র শিশু এবং পরিবারকে সহায়তা করে তাদের জীবন-মানন্নোয়ন এবং দারিদ্রতা দূরীকরনে সংস্থাটি বদ্ধ পরিকর। ১৯৫০ সালে ড. বব পিয়ার্সের প্রতিষ্ঠিত ওয়ার্ল্ড ভিশন আজ বিশ্বের শতাধিক দেশে সেবা দিচ্ছে এবং জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবার সাথে অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে একযোগে কাজ করছে। ১৯৭০ সালে ওয়ার্ল্ড ভিশন দেশের দক্ষিণাঞ্চলের জলোচ্ছ্বাসে ক্ষতিগ্রস্থ মানুষের মাঝে জরুরী ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করে। ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধে ভারতে আশ্রয় নেয়া শরনার্থীদের জরুরী ত্রাণ সহায়তা দেয় সংস্থাটি। ১৯৭২ সালে ওয়ার্ল্ড ভিশন যুদ্ধ-বিদ্ধস্ত বাংলাদেশকে পুর্নগঠন করার জন্য নেত্রকোনা জেলার বিরিশিরির দুর্গাপুরে কার্যক্রম শুরু করে।
সংস্থাটি সরকারের এনজিও ব্যুরো কর্তৃক নিবন্ধিত। সাম্প্রতিক সময়ে ওয়ার্ল্ড ভিশন দারিদ্রের মূল কারণগুলি সনাক্ত করে সমাজের হতদরিদ্র এবং সবচেয়ে অবহেলিত বিশেষ করে পিছিয়ে থাকা সমাজ, পথশিশু, কর্মজীবি শিশু, আদিবাসী ও সমাজের নিগৃহীত শিশুদের জীবন ও জীবিকার উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে। এ সংস্থাটি বিভিন্ন অংশীদার, বিশেষ করে সরকার এবং সুশীল সমাজের সাথে কাজ করে। এছাড়া দুর্যোগে দ্রুত সাড়া দেয় এবং দূর্যোগ কবলিত জনগণ বিশেষ করে শিশুদের জীবন রক্ষা, নিরাপত্তা ও উন্নয়ন নিশ্চিতকরণে কাজ করে।
সংস্থার লক্ষ:
ওয়ার্ল্ড ভিশন আন্তর্জাতিক খ্রিষ্টান, অংশীদারিত্বে বিশ্বাসী একটি সংস্থা, যার লক্ষ হল সৃষ্টিকর্তার প্রদর্শিত পথ অনুসরণ করে কথা, কাজ এবং জীবনাচরণের মধ্য দিয়ে দরিদ্র ও নিপীড়িত মানুষের জীবনে ইতিবাচক পরিবর্তন আনা, ন্যায্যতা প্রতিষ্ঠা করা এবং সমাজে শান্তির প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করা ।
স্বপ্নপ্রতিটি শিশুর জন্য আমাদের স্বপ্ন
জীবন তার ভরে উঠুক পরিপূর্ণতায়
প্রতিটি হৃদয়ের জন্য আমাদের প্রার্থনা,
অর্জিত হয় যেন তা ইচ্ছার দৃঢ়তায়
সংস্থার কাজের প্রধান বিষয় সমূহ:
ওর্য়াল্ড ভিশন বাংলাদেশ চারটি মৌলিক বিষয় নির্ধারন করেছে যা সমন্বিত অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে, অংশিদারিত্বের দর্শনে এবং মানবীয় পরিবর্তনে এবং উন্নয়নের জন্য এবং উদ্দেশের প্রতি বিশ্বসত থেকে করা হবে।
চারটি মৌলিক বিষয় নিম্নরুপ:
১. স্বাস্থ্য, পুষ্টি , নিরাপদ পানি ও পয়: নিষ্কাশন কর্মসুচী:
(৫ বছরের কম বয়সি শিশু, কিশোরী, গর্ভবতী ও দুগ্ধদানকারী মায়েদের স্বাস্থ্য সেবার সুযোগ বৃদ্ধি করে পুষ্টিহীনতার হার কমানো) ।
২. জীবিকায়ন ও অর্থনৈতিক উন্নয়ন কর্মসুচী
(ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর দারিদ্রতা হ্রাস এবং যুব সম্প্রদায়ের কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও নারীর ক্ষমতায়নের মাধ্যমে জীবন মান উন্নয়ন) ।
৩. ব্যবহারিক শিৰা ও জীবন দৰতার বিকাশ কর্মসুচী
(ই.সি.সি.ডি. মডেল বাস্তবায়নের মাধ্যমে ৩-৫ বছর বয়সী শিশুদের বিদ্যালয়ে গমনের হার বৃদ্ধি করা এবং ৬-১১ বছর বয়সী স্কুল ঝরে পড়া ও কর্মজীবি শিশুদের জন্য আনুষ্ঠানিক, উপানুষ্ঠানিক শিক্ষার সুযোগ তৈরি করা) ।
৪. জন সম্পৃক্তকরণ ও স্পন্সরশীপ পরিকল্পনা
(ওয়ার্ড/গ্রাম ভিত্তিক উন্নয়ন দল গঠন ও উন্নয়ন পরিকল্পনায় জন- সম্পৃক্তকরণ, শিশু সুরক্ষা ও তাদের অধিকার বিষয়ে এ্যাডভোকেসি করার দক্ষতা বৃদ্ধি, ও দুর্যোগ প্রস্তুতি ও সাড়াদান) ।