লগ ইন
 

Logo

বেইস এর প্রকল্প সমূহ

বেইস ক্ষুদ্রঋণ কমর্সূচী

দাতা সংস্থা ব্রীজ অফ লাইট (জার্মানী) এর আর্থিক সহায়তায় ক্ষুদ্রঋণ কাযর্ক্রম শুরু হয় ১৯৯৫ সাল হতে। দিনাজপুর জেলার ৩টি উপজেলায় (বীরগঞ্জ ও কাহারোল এবং দিনাজপুর সদর এর আংশিক এলাকায়) এই কমর্সূচী সফলভাবে বাস্তবায়িত হয়ে আসছে।

এই কাযর্ক্রম এর উদ্দেশ্য হলো-

এই কাযর্ক্রমের আওতাধীন এলাকার দরিদ্র জনগণকে ঋণ কমর্সূচীর আওতায় আনা এবং তাদেরকে বিভিন্ন আয় বৃদ্ধিকারী প্রশিক্ষণ  দেয়া যাতে তারা ঋণের টাকা যথাযথ ব্যবহার করে জীবন যাত্রার মান উন্নয়ন করতে পারে।

দলীয় নেতা/নেত্রীদের নেতৃত্ব বিকাশ বিষয়ে প্রশিক্ষণ দিয়ে দল পরিচালনায় সক্ষম করে তোলা।

লক্ষভুক্ত জনগনের বিভিন্ন সামাজিক (প্রতিরোধমুলক স্বাস্থ্যসেবা ও স্বাস্থ্য পুষ্ঠি সম্পর্কে জ্ঞানদান, স্বাস্থ্য সম্মত পায়খানা ব্যবহার, বৃক্ষরোপন, আয়োজিন যুক্ত লবন গ্রহণ, পরিকল্পিত পরিবার গঠন ইত্যাদি) বিষয়ে প্রশিক্ষণ দিয়ে সচেতন করে গড়ে তোলা।

এই কাযর্ক্রমের আওতায় ২০১৮- ২০১৯ অর্থ বছরে ২৩,৩৭,৪৭,০০০/-(তেইশ কোটি সাইত্রিশ লক্ষ সাতচল্লিখ হাজার ) টাকা ঋণ বিতরণ করা হয়েছে।

একনজরে ক্ষুদ্রঋণ কমর্সূচীর তথ্য

মোট গ্রামের সংখ্যা=২০০টি, মোট দল সংখ্যা=৪৬২টি, মোট সদস্য সংখ্যা=৯,১৪৬টি, মোট ষ্টাফ সংখ্যা=৪৯জন, চলতি ঋণ সদস্য সংখ্যা=৭,৮৭৭জন, ২০১৮-২০১৯ অর্থ বছরে ঋণ বিতরণ=২৩,৩৭,৪৭,০০০/- (তেইশ কোটি সাইত্রিশ লক্ষ সাতচল্লিশ হাজার) টাকা, বতর্মানে ঋণের মাঠে স্থিতি =১২,৫৬,১১,১৬৯/-, আদায়ের শতকারা হার=৯৭%, উপকারভোগীদের আয়বধর্নমূলক প্রশিক্ষণ প্রদান=৭,৬৫০জন, উপকারভোগীদের মাঝে গাছের চারা বিতরণ=২,৪২০টি পরিবার, উপকারভোগীদের মাঝে স্যানেটারী লেট্রিন বিতরণ=১,৬০০টি পরিবার, উপকারভোগীদের মাঝে সবজী বীজ বিতরণ=২,৬৬৬টি পরিবার।

২০১৭ সালে ভয়াবহ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ১,৩১৬ টি পরিবারের মধ্যে ২০১৮ সালের জানুয়ারী মাসে নগদ অর্থ বিতরণ ৩৯,৪৮,০০০/- (ঊনচল্লিশ লক্ষ আটচল্লিশ হাজার ) টাকা

বৃত্তি মূলক কারিগরী প্রশিক্ষণ কর্মসূচি

বেইস মিতালী প্রশিক্ষণ কেন্দ্র (বিএমটিসি) প্রকল্পটি চালু হয় ১৯৯৯ সালে। প্রকল্পটি সফলভাবে বাস্তবায়ন হওয়ার কারনে দাতা সংস্থা ব্রীজ অফ লাইট ২০১৯ সাল পর্যন্ত আর্থিক সহযোগিতা প্রদানে সম্মতি প্রদান করেছে। ২০১৮-২০১৯ সালে এই প্রকল্পের মোট বাজেট ১,১৬,৫৬,৭৩৬ টাকা। ২০১৯ সালে এই প্রকল্পের জন্য বাজেট বরাদ্দ  ৫৮,৩১,১১৮/-টাকা।

প্রকল্পের উদ্দেশ্য হলো-

প্রকল্প এলাকার অর্ধ শিক্ষিত, বিদ্যালয় থেকে ঝরে পড়া গরীব বেকার যুবক-যুবতীদের জীবন মান উন্নয়নের জন্য ০৬ মাস ব্যাপী দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ /ভোকেশনাল ট্রেনিং (যেমন, সেলাই ও এমব্রয়ডারী, বাটিক প্রিন্ট ও টাই-ডাই, বৈদ্যুতিক কাজ, মেকানিক্যাল ও ওয়েলডিং, মোটর সাইকেল মেরামত, সঙ্গীত ও নৃত্য ) প্রদান করা।

প্রকল্প এলাকার শিক্ষিত বেকার যুবক-যুবতীদের প্রযুক্তিগত জ্ঞান বৃদ্ধি ও কর্ম সংস্থানের জন্য ০৩ মাস ও ০৬ মাস ব্যাপী কম্পিউটার ও আইটি বিষয়ে প্রশিক্ষণ প্রদান করা।

প্রশিক্ষকদের দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ প্রদান করা।

শিক্ষার্থীদের মানব উন্নয়ন ও নৈতিকতা বিষয়ে জ্ঞান দান করা। এছাড়াও সাধারণ গণিত, বাংলা, ইংরেজী ও সাধারণ জ্ঞান বিষয়ে জ্ঞানদান করা।

প্রকল্প এলাকার শিক্ষিত, অর্ধ শিক্ষিত ও ঝরেপড়া যুবক-যুবতীদের স্বাস্থ্য সম্মত পায়খানা ব্যবহার, বিশুদ্ধ পানি পান, প্রাথমিক স্বাস্থ্য পরিচর্যা, পরিবার পরিকল্পনা, বাল্য বিবাহ, বহু বিবাহ, যৌতুক প্রথা, তালাক, শিশু ও নারী নির্যাতন, মাদকাশক্তি নিরাময়, বৃক্ষরোপন ইত্যাদি বিষয়ে উদ্বুদ্ধ করা।

একনজরে এই প্রকল্পের তথ্যসমূহ -

জানুয়ারী-জুন ২০১৯ মেয়াদে প্রশিক্ষণ সমাপ্তকারী ছাত্র/ছাত্রীর সংখ্যা ৩৭৫ জন, বর্তমান জুলাই-ডিসেম্বর ২০১৯ মেয়াদে ছাত্র/ছাত্রীর সংখ্যা ৩৫১ জন। শতকরা গড় উপস্থিতির হার ৯৭%, মোট ট্রেডের সংখ্যা ০৭টি, প্রশিক্ষণ সমাপ্তকারী ছাত্র/ছাত্রীর সংখ্যা ৬,৯৬৯ জন, বর্তমান আবাসিক ছাত্র সংখ্যা=২০জন, বিদেশে কর্মরত ছাত্র/ছাত্রীর সংখ্যা ১৫ জন, স্বকর্মে নিয়োজিত ছাত্র/ছাত্রীর সংখ্যা= ২,৮০২ জন, বর্তমানে চাকুরীরত = ১,৬৪০ জন, সর্বমোট কারিগরি বোর্ডের পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারীর সংখ্যা=৬৬৩ জন, উত্তীর্ণ ছাত্র/ছাত্রীর সংখ্যা=৬৫৩ জন, পাশের হার ৯৮%।

২০১৮ সালে মোট ১৮১ জন প্রশিক্ষণার্থীর মাঝে বৃত্তি হিসাবে সেলাই মেশিন ও যন্ত্রপাতি বিতরণ করা হয় । জানুয়ারী-জুন ২০১৯ সেশনে বৃত্তি প্রাপ্ত ছাত্র/ছাত্রীর সংখ্যা ৯১ জন।

ইতোমধ্যে ২০১৮ এবং ২০১৯ সন দুই বছরের জন্য দাতা সংস্থার নিকট হতে আর্থিক সহায়তার প্রতিশ্রুতি পাওয়া গেছে যা এন জি ও বিষয়ক ব্যুরো কর্তৃক অনুমোদিত হয়েছে।

বেইস প্রাক প্রাথমিক শিক্ষা প্রকল্প

এই প্রকল্পটি ১৯৯৪ সাল হতে দাতা সংস্থা ব্রীজ অফ লাইট (জার্মানী) এর আর্থিক সহায়তায় বাস্তবায়িত হয়ে আসছে। প্রকল্পটির কাযর্ক্রম সফলভাবে বাস্তবায়ন হওয়ায় ২০১৯ সাল পযর্ন্ত দাতা সংস্থা আর্থিক সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। বতর্মানে প্রাক-প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংখ্যা ৭৫ টি। দিনাজপুর জেলার ২টি উপজেলায় (বীরগঞ্জ ও কাহারোল) এই কাযর্ক্রম পরিচালিত হচ্ছে। ২০১৮-২০১৯ মোট বাজেট=৮৪,৮৪,৩৯৬/-। ২০১৯ সালের জন্য এই প্রকল্পের বাজেটের পরিমান ৪২,৪২,১৯৮/-টাকা।  ২০১৯ সালে ৭৫টি প্রাক-প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভর্তি শিশু সংখ্যা ১,৬৮৯ জন।

প্রকল্পের উদ্দেশ্যঃ

পিতামাতাদের উদ্বুদ্ধ করে ৫+ বয়সের বিদ্যালয় গমন উপযোগী শিশুকে প্রকল্পের প্রাক প্রাথমিক শিক্ষা কেন্দ্রে ভর্তি করে ১ বৎসর পাঠদান শেষে প্রথম শ্রেনীতে ভর্তির উপযুক্ত করে গড়ে তুলে প্রাথমিক শিক্ষার মুল স্রোতে অঙ্গীভুত করা।

প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা কেন্দ্রের শিক্ষকদের প্রশিক্ষনের মাধ্যমে তাদের দক্ষতার উন্নয়ন করা।

এই কাযর্ক্রম এর আওতায় লক্ষভুক্ত শিশুর মায়েদের স্বাস্থ্য সম্মত পায়খানা ব্যবহার, বিশুদ্ধ পানি পান, প্রাথমিক স্বাস্থ্য পরিচর্যা, পরিবার পরিকল্পনা, বৃক্ষরোপন, শাকসবজির চাষ, মৎস্য চাষ, হাঁস মুরগী পালন ইত্যাদি বিষয়ে উদ্বুদ্ধ করা এবং বাল্য বিবাহ, বহু বিবাহ, যৌতুক প্রথা, তালাক, শিশু ও নারী নির্যাতন, মাদকাশক্তি ইত্যাদির কুফল সম্পর্কে সচেতন করা।

সেমিনার, ওয়াকসপ ও সাংস্কৃতিক কমর্সূচীর মাধ্যমে সমাজে সমাজিক সম্প্রীতি বৃদ্ধি করা ও শান্তি বজায় রাখা।

এক নজরে প্রাক-প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রকল্পের তথ্য  

মোট স্কুল সংখ্যা=৭৫টি, মোট কমর্রত শিক্ষক/শিক্ষিকা=৭৫জন, মোট শিক্ষক সংখ্যা=০৭জন, মোট শিক্ষিকা সংখ্যা=৬৮জন, প্রকল্পে কমর্রত মোট ষ্টাফ সংখ্যা=০৫ জন, ২০১৯ সালে মোট ছাত্র/ছাত্রী সংখ্যা=১,৬৮৯ জন, শতকরা উপস্থিতির হার=৯৫%, পুঞ্জিভুত ছাত্র/ছাত্রী সংখ্যা=৪৯,৩৮০ জন, ২০১৯ সাল পযন্ত সরকারী বিদ্যালয়ে ভর্তি =৪৯,৩৮০ জন।

ইতোমধ্যে ২০১৮ এবং ২০১৯ সন দুই বছরের জন্য দাতা সংস্থার নিকট হতে আর্থিক সহায়তার প্রতিশ্রুতি পাওয়া গেছে যা এন জি ও বিষয়ক ব্যুরো কর্তৃক অনুমোদিত হয়েছে।