লগ ইন
 

Logo

Logo

আশা সম্পর্কে

১৯৭৮ সালের মার্চ মাসে মানিকগঞ্জ জেলার শিবালয় উপজেলার টেপরা নামক স্থান থেকে ‘আশা’র যাত্রা শুরু হয়। একটি বিকল্প উন্নয়ন ধারা অনুসন্ধানের ইচ্ছা থেকেই  মূলতঃ ‘আশা’র জন্ম। জন্মলগ্ন থেকে ‘আশা’ বিভিন্ন উন্নয়ন পন্থাগুলো প্রয়োগ করে বর্তমানে বিশ্বের অন্যতম বৃহত আত্মনির্ভর ক্ষুদ্র অর্থায়নকারী প্রতিষ্ঠান তথা Microfinance Institute (MFI) হিসেবে স্বীকৃত।

আশার ভিশন (Vision of ASA)  দারিদ্রমুক্ত বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা।
আশার মিশন (Mission of ASA) সমাজের দরিদ্র, অনগ্রসর ও প্রান্তিক শ্রেণীর নারী ও পুরুষের আর্থিক ক্ষমতায়ন।
আশার লক্ষ্য (Goal of ASA) আর্থিক সেবা তথা ঋণ কর্মসূচির মাধ্যমে দরিদ্র, প্রান্তিক ও অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর আত্ম-কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করে তাদের জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন করা।


আশা যে ধরনের কার্যক্রম পরিচালনা করছেঃ ক্ষুদ্র ঋণ, সঞ্চয়, ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা ঋণ, কৃষি ঋণ, শিক্ষা ঋণ, শিক্ষা উন্নয়ন, প্রাথমিক স্বাস্থ্য সেবা, ফিজিওথেরাপি চিকিৎসা সেবা, স্যানিটেশন উন্নয়ন কার্যক্রম, কৃষি সহায়তা, পরিবেশ সংরক্ষণ কার্যক্রম ইত্যাদি।
 গোটা বাংলাদেশে ৬৪টি জেলায় ২,৯৩২টি ব্রাঞ্চ কার্যালয়ে মাধ্যমে নিম্নবর্ণিত কর্মসূচি বাস্তবায়িত হচ্ছে:
 ক. ক্ষুদ্রঋণ ও সঞ্চয় কর্মসূচি।
 খ. রেমিটেন্স সেবা কর্মসূচি।


 এছাড়া, নন-ফিন্যান্সিয়াল সেবার আওতায় নিম্নলিখিত কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে;
ক. প্রাথমিক স্বাস্থ্য সেবা কার্যক্রম।
খ. প্রাথমিক শিক্ষা শক্তিশালীকরণ কার্যক্রম।
গ. ফিজিওথেরাপি চিকিৎসা সেবা কার্যক্রম।
ঘ. স্যানিটেশন উন্নয়ন কার্যক্রম।
ঙ. সদস্যদের চিকিৎসা অনুদান কার্যক্রম।


 আশার রয়েছে তিনটি সহযোগী প্রতিষ্ঠান। এগুলো হলো, আশা ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ (আশাইউবি), আশা মেডিকেল এ্যাসিসটেন্ট ট্রেনিং স্কুল (ম্যাট্স্) ও হোপ ফর দ্য পুওরেস্ট (এইচপি)। আশা একটি শতভাগ আত্মনির্ভরশীল প্রতিষ্ঠান এবং প্রতিষ্ঠানটি কোন ধরনের বিদেশী কিংবা দেশী অনুদান গ্রহণ করে না। ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রম থেকে প্রাপ্ত উদ্বৃত্ত আশার আয়ের প্রধান উৎস। এ আয় থেকেই আশা সব ধরনের প্রাতিষ্ঠানিক ও পরিচালন ব্যয় নির্বাহ করে। এছাড়া, উদ্বৃত্ত আয়ের একটি অংশ দিয়ে নন-ফিন্যান্সিয়াল কর্মসূচি যেমন, স্বাস্থ্যসেবা, প্রাথমিক শিক্ষা শক্তিশালীকরণ কার্যক্রম, স্যানিটেশন, ফিজিওথেরাপি, চিকিৎসা অনুদান ইত্যাদি কার্যক্রমের ব্যয়ভার নির্বাহ করে।  সংস্থায় বর্তমানে কর্মকর্তা-কর্মীর সংখ্যাঃ ২৫,০০০ জন।

 ক. ক্ষুদ্রঋণ কর্মসূচিঃ আশা ১৯৯১ সাল থেকে ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। বর্তমানে আশার ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রমের সুবিধাভোগীর সংখ্যা প্রায় ৭২ লাখ মানুষ, যাদের ৯৭ ভাগ হচ্ছে নারী। টেকসই ব্যবস্থাপনা ও দ্রুততার সঙ্গে আর্থিক সেবা পৌঁছে দেয়ার জন্য আশার ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রম দেশে ও বিদেশে বিপুল সুনামের অধিকারী। দেশের বাইরে এশিয়া ও আফ্রিকা মহাদেশের ১৩টি দেশে ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রম সম্প্রসারণ ও বাস্তবায়নে আশা কারিগরি সহায়তা দিচ্ছে।

খ. রেমিটেন্স কার্যক্রমঃ ২০০৮ সাল থেকে ওয়েস্টার্ন ইউনিয়ন ও ন্যাশনাল ব্যাংকের সহায়তায় আশা রেমিটেন্স কার্যক্রম চালিয়ে আসছে। আশার ২,৬০০টি ব্রাঞ্চ থেকে বর্তমানে রেমিটেন্স সেবা প্রদান করা হচ্ছে।

গ. স্বাস্থ্য সেবা কার্যক্রমঃ দরিদ্র ও সুবিধাবঞ্চিত মানুষের জন্য আশা স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রম পরিচালনা করছে। বর্তমানে বছরে প্রায় ১০ লাখ মানুষ আশার স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রমের সুফল ভোগ করছে।

ঘ. ফিজিওথেরাপি কার্যক্রমঃ শ্রমনির্ভর দরিদ্র মানুদের পক্ষাঘাত ও নানাবিধ শারীরিক বৈকল্যের চিকিৎসা দেয়ার লক্ষ্যে এ কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। বর্তমানে বছরে ৫০ হাজার পক্ষাঘাতগ্রস্ত মানুষ এ কর্মসূচির সুফল ভোগ করছে।

ঙ. শিক্ষা কার্যক্রমঃ আশার শিক্ষা কার্যক্রম প্রাথমিক স্কুল থেকে শিক্ষার্থী ঝড়ে পড়া রোধে পরিচালিত হচ্ছে। দরিদ্র পরিবারের শিক্ষার্থীদের পাঠ সহায়তা দিয়ে শিক্ষার মানোন্নয়নের মাধ্যমে শিক্ষার্থী ঝড়ে পড়া হ্রাসে আশার শিক্ষা কর্মসূচি বাস্তবায়িত হচ্ছে। বর্তমানে প্রায় ৩,০০,০০০ (তিন লাখ) শিক্ষার্থী এ র্কমসূচির আওতায় শিক্ষা সহায়তা পাচ্ছে।

চ. স্যানিটেশন কার্যক্রমঃ দরিদ্র ও স্বল্প আয়ের মানুষের স্যানিটেশন উন্নয়নে এ কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। এ কর্মসূচির মাধ্যমে স্বাস্থ্যসম্মত শৌচাগার নির্মাণে নির্মাণকর্মীদের প্রশিক্ষণ প্রদান, স্যানিটারি ব্যবসায়ী ও ব্যবহারকারীদের স্বসুদে ঋণ দেয়া হচ্ছে।